খোয়াই ও মেঘনার ভাঙনের মুখে তিন গ্রাম
অষ্টগ্রাম
উপজেলার মেঘনা নদীর খরস্রোতের ফলে তিনটি গ্রামে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। শত শত
মানুষ গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। বাজুকা হচ্ছে খোয়াই নদী অধ্যুষিত
একটি গ্রাম। গ্রামটি কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলা আব্দুল্লাপুর
ইউনিয়নে অবস্থিত। অষ্টগ্রাম উপজেলার শেষ প্রান্তে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচঙ্গ
উপজেলার সীমান্তবর্তী। শত শত বছরের পুরাতন বাজুকা গ্রামটি ভাঙনের কবলের
স্বীকার প্রতিনিয়ত। খোয়াই নদীর প্রবল স্রোতের ফলে এ ভাঙনের সৃষ্টি। গ্রামটি
ভাঙনের ফলে নদীর গতিপথ প্রায় ৫ শত মিটারের অধিক পরিবর্তন হয়ে গেছে। এবারো
খোয়াই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং খরস্রোতের কারণে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
নিরুপায় হয়ে জনগণ সব ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। কেউ কেউ আবার বাজুকা ছেড়ে
হবিগঞ্জ জেলার অন্তর্বর্তী গ্রামে বসবাস করছেন। এভাবে গ্রামটি ভাঙনের ফলে
তার পরিচিতি একদিন বিলীন হয়ে যাবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব নতুন করে নদীর গতিপথ
পরিবর্তন করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে গ্রামবাসী কিশোরগঞ্জ ৪ আসনের মাননীয়
সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহম্মেদ তৌফিক মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি এলাকা
সরজমিনে পরিদর্শন করে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের জন্য ব্যবস্থা নেয়ার কথা
জানান। জানা যায়, বাজুকা গ্রামে ৩ হাজারের অধিক ভোটার রয়েছে। গ্রাম ভাঙনের
ফলে এক তৃতীয়াংশ ভোটার হবিগঞ্জ জেলার পার্শ্ববর্তী ইকরাম ও সুজাতপুর
ইউনিয়নে বসবাস করছে। সরজমিনে গিয়ে এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি আবদুর রাজ্জাক
মিয়ার সঙ্গে কথা বলি। তিনি জানান, তার শত শত বছরের ২০ শতকের ভিটে মাটি
সম্পূর্ণ নদীর গর্ভে চলে যায়। এখন তারা ছেলে মেয়ে নিয়ে অন্যের বাড়িতে থাকতে
হচ্ছে। এলাকার এ রকম ৪০-৫০ পরিবার গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছেন। বিগত
ত্রিশ বছর পূর্বে এ ভাঙনের সৃষ্টি। কিন্তু সরকার বা স্থানীয় প্রতিনিধিকে
অবগত করলেও কোনো লাভ হয়নি। তাই লোকজন ভিটে মাটি সবকিছু হারিয়ে সর্বস্বান্ত
হয়ে বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে।
এমনিভাবে খোয়াই ভাঙন অব্যাহত থাকলে একদিন ইতিহাস থেকে বাজুকা গ্রামটি মুছে যাবে। অন্যদিকে একেই ইউনিয়নের কদমচাল বাজারটি ও মেঘনার করাল গ্রাস থেকে বাদ পড়েনি। এদিকে নতুন করে একেই উপজেলার বাঙ্গালপাড়া ইউনিয়নের লাউরা নাজিরপুর এলাকাটি মেঘনার প্রবল স্রোতের কারণে প্রায় দুইশত মিটারের বেশি পার ভেঙে ভেতরে চলে আসছে। এতে এলাকার লোকজনের মাঝে আতঙ্কিত বিরাজ করছে। এভাবে প্রতিদিন ভাঙনের ফলে শত শত একর জমি মেঘনায় বিলীন হয়ে যায়। এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজন এমপি মহোদয়কে অবগত করেন। তিনি মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নদীর ভাঙন পরিদর্শন শেষে এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তিনি নগদ ৩০ লাখ টাকা দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব নদী ভাঙন রোধ এর ব্যবস্থা নিতে বলেন।
এমনিভাবে খোয়াই ভাঙন অব্যাহত থাকলে একদিন ইতিহাস থেকে বাজুকা গ্রামটি মুছে যাবে। অন্যদিকে একেই ইউনিয়নের কদমচাল বাজারটি ও মেঘনার করাল গ্রাস থেকে বাদ পড়েনি। এদিকে নতুন করে একেই উপজেলার বাঙ্গালপাড়া ইউনিয়নের লাউরা নাজিরপুর এলাকাটি মেঘনার প্রবল স্রোতের কারণে প্রায় দুইশত মিটারের বেশি পার ভেঙে ভেতরে চলে আসছে। এতে এলাকার লোকজনের মাঝে আতঙ্কিত বিরাজ করছে। এভাবে প্রতিদিন ভাঙনের ফলে শত শত একর জমি মেঘনায় বিলীন হয়ে যায়। এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজন এমপি মহোদয়কে অবগত করেন। তিনি মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নদীর ভাঙন পরিদর্শন শেষে এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তিনি নগদ ৩০ লাখ টাকা দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব নদী ভাঙন রোধ এর ব্যবস্থা নিতে বলেন।
No comments