টিটিসি কলেজ উন্নয়নে ১০৪০ কোটি টাকার প্রকল্প by নূর মোহাম্মদ
সরকার
টিচার্স ট্রেনিং কলেজ (টিটিসি) ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ
ইনস্টিটিউটগুলো প্রশিক্ষণের মানোন্নয়নে ১০৪০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে
নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ধরা হয়েছে দেশের ১৪টি
টিটিসি ও পাঁচটি এইচএসটিটিআই’র অবকাঠামো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা। একই
সঙ্গে আইসিটি ও বিজ্ঞান গবেষণাগারের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা, দক্ষ শিক্ষক
প্রশিক্ষক তৈরি করা। প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হবে টিটিসি ও এইচএসটিটিআই’র
একাডেমিক ভবন, হোস্টেল ও শিক্ষক ডরমেটরি নির্মাণ। আইসিটি ও বিজ্ঞান
গবেষণাগার তৈরি করা, মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম এবং শিক্ষা সহায়ক উপকরণ ও
প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল তৈরি করা। টিটিসি ও এইচএসএসটিটিতে প্রয়োজনীয় জনবল
(শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী) এর পদ সৃষ্টি করা। এ প্রকল্পে শতভাগ
বাংলাদেশ সরকারের (জিওবি) খাত থেকে প্রকল্পের ব্যয় করা হয়েছে। প্রকল্পের
ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৪০ কোটি ৫২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। প্রকল্প
বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছে চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুন
পর্যন্ত। তবে প্রকল্পের বিশাল অংশের সঙ্গে আপত্তি তুলেছেন খোদ শিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখা। গত ৭ই এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
বৈঠকে এ আপত্তি জানানো হয়। চলতি বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলন্ত সিঁড়িসহ বেশ
কিছু বিতর্কিত প্রকল্পের কারণে পরিকল্পনা কমিশনের তোপের মুখে পড়ে
শিক্ষামন্ত্রণালয়। এরপর থেকেই ডিপিপি তৈরিতে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে শিক্ষা
মন্ত্রণালয়।
ডিপিপি সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের অধীন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাবদ খরচ ধরা হয়েছে ৮২ কোটি ২৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা। সেমিনার, দেশে ও বিদেশে প্রশিক্ষণ, ম্যানুয়াল ডেভেলপমেন্ট ও প্রিন্টিং খরচ ধরা হয়েছে ৫৪৬ কোটি ৩৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। যানবাহন ক্রয়, কম্পিউটার, আসবাবপত্র, ল্যাবরেটরি ইকুয়েপমেন্ট অ্যান্ড মেটারিয়ালস ক্রয় করতে ৬৩ কোটি ১৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। গাড়ি, আসবাবপত্র, কম্পিউটার, অফিস সরঞ্জাম মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে ৬২৮ কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। অবকাঠামো নির্মাণে ৩২৮ কোটি ২১ লাখ টাকা সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে। মাউশির তৈরি করা ডিপিপির কয়েকটি প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। আপত্তিতে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত পাঁচ কোটি দুই লাখ ৯১ হাজার টাকা ব্যয়ে পেশাগত উন্নয়ন, আইসিটি, জীবন সক্ষমতা, প্রশ্নপত্র তৈরি ও মূল্যায়ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ পরিচালনার প্রস্তাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বর্তমান চলমান টিকিউআই-২ এর মাধ্যমে গত মার্চ পর্যন্ত দুই লাখ ৬৪ হাজার ৪০১ জন এবং সেসিপ প্রকল্পের মাধ্যমে পাঁচ লাখ ৭১ হাজার ২২৩ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ব্যানবেইসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মাধ্যমিক পর্যায়ে সারা দেশে দুই লাখ ৪৩ হাজার ৫৩৫ জন শিক্ষক রয়েছেন। দুই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যেক শিক্ষক ৬টি একক বিষয়ে প্রশিক্ষণ পাওয়ার কথা। নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষক প্রশিক্ষণের যৌক্তিকতা নেই। বরং সকল প্রশিক্ষণ শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে কতটুকু বেড়েছে তার গবেষণা দরকার। সেসিপ প্রকল্পের স্টাডিজ অ্যান্ড সব কন্ট্রাক নামে ৭৩ লাখ ৬৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এ খাতের টাকা দিয়ে গবেষণা করার মতামত দিয়েছে মন্ত্রণালয়। ডিপিপির তথ্যানুযায়ী, ১৪টি টিটিসিতে বর্তমানে ৩৩১৭ জন বিএড ও এম এড পর্যায়ের শিক্ষার্থী রয়েছে। কলেজ প্রতি গড়ে ২৩৭ জন। মোট শিক্ষকের পদ ৪২৭টি। অর্থাৎ কলেজ প্রতি গড়ে ৩০ জন শিক্ষক রয়েছেন। শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত ১ঃ৭। টিটিসির নিয়মিত কোর্স বিএড ও এমএড পরিচালনার অবস্থা সন্তোষজনক নয়। সেসিপ ও টিকিউআই প্রকল্পের প্রশিক্ষণে ভেন্যু হিসাবে ব্যবহারের কারণে সচল রয়েছে। না হলে অনেক আগে পরিত্যক্ত হতো। বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিএড ও এমএড ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ থাকায় টিটিসিতে প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা কমেছে। অপরদিকে ৫টি এইচএসটিটিআইতে ৪৫জন কর্মকর্তার পদ রয়েছে। এ সকল প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। কোনো নিয়মিত শিক্ষার্থী নেই। প্রকল্পের অধীনে ২২৯৭টি শিক্ষক-কর্মকর্তার পদ সৃষ্টির প্রস্তাব করা হয়েছে। তারা কাদের পাঠদান করবেন তা স্পষ্ট না। ১৪টি টিটিসিসির একাডেমিক ভবনে ৩০৫টি রুম রয়েছে। শিক্ষার্থী রয়েছে ৩৩১৭ জন। রুম প্রতি শিক্ষার্থী ১০ দশমিক ৮৭। তবে এসব প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এ ছাড়া টিকিউআই-২ প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশে ৫১টি ক্লাস্টার স্কুল স্থাপন করা হয়েছে। যা প্রশিক্ষণ ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হবে। তাই প্রস্তাবিত অবকাঠামো কি কি কাজে ব্যবহৃত হবে তার যৌক্তিকতা তুলে ধরা হয়নি। তাই এসব প্রতিষ্ঠানের সমস্যা চিহ্নিত করে এবং তা উত্তরণের মাধ্যমে কার্যকর শিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছে মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা বিভাগ। এ ক্ষেত্রে একটি সমীক্ষা প্রকল্প করার মত দিয়েছেন তারা। সমীক্ষা প্রকল্পে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কোর্স, অবকাঠামোগত সুবিধাদি বিবেচনা করে সরকারি ক্রয়নীতি, উন্নয়ন পরিকল্পনা পর্যালোচনা করে চাহিদাভিত্তিক ভবিষ্যতে বাস্তবায়ন উপযোগী একটি ডিপিপি তৈরির মত দিয়েছে।
এ ব্যাপারে মাউশির উপপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. জাহাঙ্গীর আলম মানবজমিনকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে টিটিসি ও এইচএসটিটির সংস্কার করা হয়নি। শিক্ষক প্রশিক্ষণে প্রয়োজনীয় সামগ্রী নেই। প্রতিষ্ঠান প্রধানদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ডিপিপি তৈরি করেছি। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে প্রকল্পটি অনুমোদন করাতে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয়ের আপত্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কিছু জানেন না বলে মন্তব্য করেন।
বিষয়টি স্বীকার করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের পরিকল্পনা শাখার সিনিয়র সহকারী প্রধান মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে একটি প্রকল্প প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে জমা হয়েছে। ওনাদের (মাউশি) প্রস্তাব যৌক্তিকতা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা কিছু অসঙ্গতি চিহ্নিত করেছি। প্রকল্পটি অনুমোদন করতে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে কিনা সভা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ডিপিপি সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের অধীন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাবদ খরচ ধরা হয়েছে ৮২ কোটি ২৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা। সেমিনার, দেশে ও বিদেশে প্রশিক্ষণ, ম্যানুয়াল ডেভেলপমেন্ট ও প্রিন্টিং খরচ ধরা হয়েছে ৫৪৬ কোটি ৩৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। যানবাহন ক্রয়, কম্পিউটার, আসবাবপত্র, ল্যাবরেটরি ইকুয়েপমেন্ট অ্যান্ড মেটারিয়ালস ক্রয় করতে ৬৩ কোটি ১৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। গাড়ি, আসবাবপত্র, কম্পিউটার, অফিস সরঞ্জাম মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে ৬২৮ কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। অবকাঠামো নির্মাণে ৩২৮ কোটি ২১ লাখ টাকা সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে। মাউশির তৈরি করা ডিপিপির কয়েকটি প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। আপত্তিতে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত পাঁচ কোটি দুই লাখ ৯১ হাজার টাকা ব্যয়ে পেশাগত উন্নয়ন, আইসিটি, জীবন সক্ষমতা, প্রশ্নপত্র তৈরি ও মূল্যায়ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ পরিচালনার প্রস্তাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বর্তমান চলমান টিকিউআই-২ এর মাধ্যমে গত মার্চ পর্যন্ত দুই লাখ ৬৪ হাজার ৪০১ জন এবং সেসিপ প্রকল্পের মাধ্যমে পাঁচ লাখ ৭১ হাজার ২২৩ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ব্যানবেইসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মাধ্যমিক পর্যায়ে সারা দেশে দুই লাখ ৪৩ হাজার ৫৩৫ জন শিক্ষক রয়েছেন। দুই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যেক শিক্ষক ৬টি একক বিষয়ে প্রশিক্ষণ পাওয়ার কথা। নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষক প্রশিক্ষণের যৌক্তিকতা নেই। বরং সকল প্রশিক্ষণ শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে কতটুকু বেড়েছে তার গবেষণা দরকার। সেসিপ প্রকল্পের স্টাডিজ অ্যান্ড সব কন্ট্রাক নামে ৭৩ লাখ ৬৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এ খাতের টাকা দিয়ে গবেষণা করার মতামত দিয়েছে মন্ত্রণালয়। ডিপিপির তথ্যানুযায়ী, ১৪টি টিটিসিতে বর্তমানে ৩৩১৭ জন বিএড ও এম এড পর্যায়ের শিক্ষার্থী রয়েছে। কলেজ প্রতি গড়ে ২৩৭ জন। মোট শিক্ষকের পদ ৪২৭টি। অর্থাৎ কলেজ প্রতি গড়ে ৩০ জন শিক্ষক রয়েছেন। শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত ১ঃ৭। টিটিসির নিয়মিত কোর্স বিএড ও এমএড পরিচালনার অবস্থা সন্তোষজনক নয়। সেসিপ ও টিকিউআই প্রকল্পের প্রশিক্ষণে ভেন্যু হিসাবে ব্যবহারের কারণে সচল রয়েছে। না হলে অনেক আগে পরিত্যক্ত হতো। বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিএড ও এমএড ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ থাকায় টিটিসিতে প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যা কমেছে। অপরদিকে ৫টি এইচএসটিটিআইতে ৪৫জন কর্মকর্তার পদ রয়েছে। এ সকল প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। কোনো নিয়মিত শিক্ষার্থী নেই। প্রকল্পের অধীনে ২২৯৭টি শিক্ষক-কর্মকর্তার পদ সৃষ্টির প্রস্তাব করা হয়েছে। তারা কাদের পাঠদান করবেন তা স্পষ্ট না। ১৪টি টিটিসিসির একাডেমিক ভবনে ৩০৫টি রুম রয়েছে। শিক্ষার্থী রয়েছে ৩৩১৭ জন। রুম প্রতি শিক্ষার্থী ১০ দশমিক ৮৭। তবে এসব প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এ ছাড়া টিকিউআই-২ প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশে ৫১টি ক্লাস্টার স্কুল স্থাপন করা হয়েছে। যা প্রশিক্ষণ ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হবে। তাই প্রস্তাবিত অবকাঠামো কি কি কাজে ব্যবহৃত হবে তার যৌক্তিকতা তুলে ধরা হয়নি। তাই এসব প্রতিষ্ঠানের সমস্যা চিহ্নিত করে এবং তা উত্তরণের মাধ্যমে কার্যকর শিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছে মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা বিভাগ। এ ক্ষেত্রে একটি সমীক্ষা প্রকল্প করার মত দিয়েছেন তারা। সমীক্ষা প্রকল্পে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কোর্স, অবকাঠামোগত সুবিধাদি বিবেচনা করে সরকারি ক্রয়নীতি, উন্নয়ন পরিকল্পনা পর্যালোচনা করে চাহিদাভিত্তিক ভবিষ্যতে বাস্তবায়ন উপযোগী একটি ডিপিপি তৈরির মত দিয়েছে।
এ ব্যাপারে মাউশির উপপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. জাহাঙ্গীর আলম মানবজমিনকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে টিটিসি ও এইচএসটিটির সংস্কার করা হয়নি। শিক্ষক প্রশিক্ষণে প্রয়োজনীয় সামগ্রী নেই। প্রতিষ্ঠান প্রধানদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ডিপিপি তৈরি করেছি। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে প্রকল্পটি অনুমোদন করাতে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয়ের আপত্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কিছু জানেন না বলে মন্তব্য করেন।
বিষয়টি স্বীকার করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের পরিকল্পনা শাখার সিনিয়র সহকারী প্রধান মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে একটি প্রকল্প প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে জমা হয়েছে। ওনাদের (মাউশি) প্রস্তাব যৌক্তিকতা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা কিছু অসঙ্গতি চিহ্নিত করেছি। প্রকল্পটি অনুমোদন করতে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে কিনা সভা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
No comments