বৈঠক সফল হলে ক্ষমতায় থাকবেন কিম: ট্রাম্প
উত্তর
কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের জন্য ‘লিবিয়া মডেল’ অনুসরণ করছেন
যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার এক বিবৃতিতে এমন কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট
ডনাল্ড ট্রাম্প। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন
বল্টন এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের
ক্ষেত্রে ‘লিবিয়া মডেল’ অনুসরণ করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বল্টনের
দেয়া ‘লিবিয়া মডেলের’ উদাহরণ উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনকে
আতঙ্কিত করতে পারে বলে ধারণা করেছিলেন পর্যবেক্ষকরা। হয়েছেও অনেকটা তাই।
একতরফাভাবে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের জন্য চাপ দেয়ায় ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক
বাতিল করা হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটি। আর তাই বুধবারের বিবৃতিতে
এই ইস্যুতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ভাবনার বিরোধিতা করে উত্তর কোরিয়াকে
আশ্বস্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে লিবিয়ার
পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তরের ঘোষণা দিয়ে
বিশ্বকে বিস্মিত করে দিয়েছিলেন দেশটির নেতা কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফি।
পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করার অল্প কয়েক মাসের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র লিবিয়ার
ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের মধ্যে
কূটনৈতিক সম্পর্কও পুনঃস্থাপিত হয়। তবে আট বছর পর নেটো সমর্থিত বিদ্রোহী ও
আধাসামরিক গোষ্ঠীর হাতে ক্ষমতাচ্যুত হন গাদ্দাফি। বিদ্রোহীদের হাতে আটক
হওয়ার পর তাকে হত্যাও করা হয়। টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে লিবিয়া মডেল মানে,
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের পরিণতিও এমন হতে পারে বলেই ইঙ্গিত
দিয়েছিলেন বল্টন। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
ট্রাম্পকে উদ্ধৃত করে খবরে বলা হয়, কিম জং উনের পতন ঘটানোর চেষ্টা করছে না যুক্তরাষ্ট্র। আগামী মাসের ১২ তারিখ সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প-কিম এর মধ্যে ঐতিহাসিক বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বল্টনের মন্তব্যের পর সে বৈঠক না-ও হতে পারে বলে জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এর আগে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়ার জের ধরে দক্ষিণের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক বাতিল করেছে উত্তর কোরিয়া।
বুধবার দেয়া বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেত্রে লিবিয়া মডেলের মতন কোন মডেলের কথা চিন্তা করছি না আমরা। ট্রাম্পের মতে তিনি যে কিম জং উনকে নিয়ে যা চিন্তা করছেন তা হচ্ছে, কিম তার দেশেই থাকবেন, দেশ পরিচালনা করবেন ও তার দেশ হবে অনেক ধনী।
তিনি বলেন, আপনারা যদি দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে দেখেন, তাহলে তাদের শিল্প বিবেচনায় এটা সত্যিই একটি দক্ষিণ কোরীয় মডেল হতে পারে। তারা খুবই পরিশ্রমী, অসাধারণ মানুষ। বৈঠক নিয়ে ট্রাম্প বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের জানামতে, বৈঠক নিয়ে কোনো পরিবর্তন আসেনি। আমাদেরকে এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। আর যদি হয়েও থাকে তাহলে তাই ঠিক আছে। তবে না হলে, আমি মনে করি, এটা খুবই সফল একটা বৈঠক হতে চলেছে।
ট্রাম্পকে উদ্ধৃত করে খবরে বলা হয়, কিম জং উনের পতন ঘটানোর চেষ্টা করছে না যুক্তরাষ্ট্র। আগামী মাসের ১২ তারিখ সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প-কিম এর মধ্যে ঐতিহাসিক বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বল্টনের মন্তব্যের পর সে বৈঠক না-ও হতে পারে বলে জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এর আগে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়ার জের ধরে দক্ষিণের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক বাতিল করেছে উত্তর কোরিয়া।
বুধবার দেয়া বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেত্রে লিবিয়া মডেলের মতন কোন মডেলের কথা চিন্তা করছি না আমরা। ট্রাম্পের মতে তিনি যে কিম জং উনকে নিয়ে যা চিন্তা করছেন তা হচ্ছে, কিম তার দেশেই থাকবেন, দেশ পরিচালনা করবেন ও তার দেশ হবে অনেক ধনী।
তিনি বলেন, আপনারা যদি দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে দেখেন, তাহলে তাদের শিল্প বিবেচনায় এটা সত্যিই একটি দক্ষিণ কোরীয় মডেল হতে পারে। তারা খুবই পরিশ্রমী, অসাধারণ মানুষ। বৈঠক নিয়ে ট্রাম্প বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের জানামতে, বৈঠক নিয়ে কোনো পরিবর্তন আসেনি। আমাদেরকে এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। আর যদি হয়েও থাকে তাহলে তাই ঠিক আছে। তবে না হলে, আমি মনে করি, এটা খুবই সফল একটা বৈঠক হতে চলেছে।
No comments