বাহারি ইফতারে সেজেছে চকবাজার by ফরিদ উদ্দিন আহমেদ
প্রাচীন
নগরী ঢাকার ইফতার ঐতিহ্যের প্রাণকেন্দ্র চকবাজার। এর ইতিহাস ও ঐতিহ্য
দীর্ঘদিনের। ঐতিহ্যবাহী পুরান ঢাকার ইফতার মানেই যেন চকবাজারের লোভনীয়
খাবারের আয়োজন। কালক্রমে এর কদর যেন বেড়েই চলছে। এখানকার ঐতিহ্যের আদি
স্থাপনাগুলো এখন আর নেই। কিন্তু রয়ে গেছে ইফতারির ঐতিহ্য। সেই চির-পরিচিত
হাক-ডাক। রাস্তার মাঝখানে সারি সারি দোকান। ভোজন রসিক মানুষের ভিড়। সেই
ভিড়ের ভেতর থেকে বিক্রেতার কণ্ঠে ‘বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙ্গায় ভইরা
লইয়া যায়।’ রমজান মানেই চকবাজারের ইফতার। শুধু দেশ নয়, পুরাতন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খানদানি ইফতার সামগ্রির সুনাম দেশের বাইরেও রয়েছে। চকবাজারকে অনেকে ইফতারির বাজার নামেই চেনেন। এখানকার ব্যবসায়ীদের এ মাসটি তাই কাঙ্ক্ষিত সুদিন। খ্যাতি ধরে রাখার জন্য এই ইফতারির প্রধান বৈশিষ্ট্য মাননিয়ন্ত্রণ। রমজান মাসব্যাপী দুপুর ১টা থেকে ইফতারের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত হাক-ডাক দিয়ে ইফতারি বিক্রি করেন এখানকার বিক্রেতারা। দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতারাও আসেন আগে-ভাগে। গতকাল রাজধানীতে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় সামিয়ানা এবং প্যান্ডেল সাজিয়ে ইফতারি বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
বাহারি ইফতারের পসরা সাজানো হয় ঢাকার এ প্রাচীন স্থানটিতে। বৈচিত্র্য আর ভিন্ন স্বাদের জন্য পুরান ঢাকার খাবার বিশেষভাবে সমাদৃত। প্রতিবছরের মতো এবারো রমজানে চকবাজারে যে রকমারি মুখরোচক ইফতারির পসরা বসেছে, তার স্বাদ ও গন্ধ সেই মোগল আমলের রসনাবিলাসের কথাই মনে করিয়ে দেয়। রমজানের প্রথম দিন শুক্রবার দুপুর থেকেই চকবাজার ছাপিয়ে পুরান ঢাকার অলিগলির বাতাসে ভেসে আসছে নানা স্বাদের মুখরোচক খাবারের মনকাড়া সুবাস। ঐতিহ্য বজায় রেখে দোকানি আর ব্যবসায়ীরা প্রতিবছর রমজানে আনছেন নতুন নতুন ইফতার আয়োজন। মূল আয়োজনটা চকবাজারকে ঘিরেই। সব মিলেয়ে প্রতিবছরের মতো এবারও বাহারি ইফতারির ঐতিহ্যের সাজে সেজেছে চকবাজার। ইফতারি বিক্রেতারা জানায়, বংশগতভাবে দীর্ঘদিন ধরে এই জায়গায় ইফতারির ব্যবসা করছেন তারা। তাদের বাবা, দাদা, তার বাবারাও এখানে ইফতার সামগ্রী বিক্রি করতেন। ঐতিহ্য ধরে রাখতেই তাদের এই ব্যবসা। তবে, এখন অনেকেই নতুন নতুন এখানে এসেছেন বলেও জানান তারা। এখানকার খাবারের মধ্যে একটি নবাবী স্বাদ ও আমেজ থাকে। এদিকে মিরপুর থেকে চকবাজারে ইফতারি কিনতে এসেছেন মাকসুদুর রহমান। তিনি জানান, প্রতিবছর তিনি চকবাজার থেকে প্রথম দিন ইফতার কিনেন। এখানকার ইফতারি অন্যান্য স্থান থেকে আলাদা। তাই তিনি এখানে আসেন। ধানমণ্ডি থেকে চকবাজারের ইফতারি কিনতে এসেছেন কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রতিবছর ইফতার কিনতে চকবাজারে আসা হয়। পরিবারের সদস্যরাও চকবাজারের ইফতার পছন্দ করেন। তাই প্রথম দিনই ইফতারি কিনতে এসেছি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, গতবারের তুলনায় ইফতারির দাম কিছুটা বেড়েছে।
ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। সেখানে পাওয়া যাচ্ছে সুতি কাবাব, জালি কাবাব, টিকা কাবাব, ডিম চপ, কবুতর-কোয়েলের রোস্ট, ঐতিহ্যবাহী বড় বাপের পোলায় খায়, খাসির রান, গোটা মুরগি ফ্রাই, মুরগি ভাজা, ডিম ভাজা, পরোটা, শাহী কাবাব, সুতি কাবাব, সাসলিক, ভেজিটেবল রোল, চিকেন রোল, খাসির রানের রোস্ট, দইবড়া, হালিম, লাচ্ছি, পনির, পেস্তা বাদামের শরবত, লাবাং, মাঠা। আর পরিচিত খাবারের মধ্যে বেশি পাওয়া যাচ্ছে কিমা পরোটা, ছোলা, মুড়ি, ঘুগনি, সমুচা, বেগুনি, আলুর চপ, পিয়াজু, জিলাপিসহ নানা পদের খাবার নিয়ে সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বড় বাপের পোলায় খায় বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি। এই ইফতার আইটেমটি তেরি করা হয়েছে ২৭টি পদ দিয়ে। খাসির রোস্ট পিস আকার ভেদে ৪৪০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে (পিস হিসেবে)। আর মুরগির রোস্ট পিস ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, গরুর সুতি কাবাব ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি, দইবড়া কেজি ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা, কবুতরের রোস্ট ১৫০ টাকা পিস। কোয়েল প্রতি পিস ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এ ছাড়া চিকন জিলাপি কেজি ১৫০ টাকা, বড় শাহী জিলাপি ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
লইয়া যায়।’ রমজান মানেই চকবাজারের ইফতার। শুধু দেশ নয়, পুরাতন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খানদানি ইফতার সামগ্রির সুনাম দেশের বাইরেও রয়েছে। চকবাজারকে অনেকে ইফতারির বাজার নামেই চেনেন। এখানকার ব্যবসায়ীদের এ মাসটি তাই কাঙ্ক্ষিত সুদিন। খ্যাতি ধরে রাখার জন্য এই ইফতারির প্রধান বৈশিষ্ট্য মাননিয়ন্ত্রণ। রমজান মাসব্যাপী দুপুর ১টা থেকে ইফতারের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত হাক-ডাক দিয়ে ইফতারি বিক্রি করেন এখানকার বিক্রেতারা। দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতারাও আসেন আগে-ভাগে। গতকাল রাজধানীতে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় সামিয়ানা এবং প্যান্ডেল সাজিয়ে ইফতারি বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
বাহারি ইফতারের পসরা সাজানো হয় ঢাকার এ প্রাচীন স্থানটিতে। বৈচিত্র্য আর ভিন্ন স্বাদের জন্য পুরান ঢাকার খাবার বিশেষভাবে সমাদৃত। প্রতিবছরের মতো এবারো রমজানে চকবাজারে যে রকমারি মুখরোচক ইফতারির পসরা বসেছে, তার স্বাদ ও গন্ধ সেই মোগল আমলের রসনাবিলাসের কথাই মনে করিয়ে দেয়। রমজানের প্রথম দিন শুক্রবার দুপুর থেকেই চকবাজার ছাপিয়ে পুরান ঢাকার অলিগলির বাতাসে ভেসে আসছে নানা স্বাদের মুখরোচক খাবারের মনকাড়া সুবাস। ঐতিহ্য বজায় রেখে দোকানি আর ব্যবসায়ীরা প্রতিবছর রমজানে আনছেন নতুন নতুন ইফতার আয়োজন। মূল আয়োজনটা চকবাজারকে ঘিরেই। সব মিলেয়ে প্রতিবছরের মতো এবারও বাহারি ইফতারির ঐতিহ্যের সাজে সেজেছে চকবাজার। ইফতারি বিক্রেতারা জানায়, বংশগতভাবে দীর্ঘদিন ধরে এই জায়গায় ইফতারির ব্যবসা করছেন তারা। তাদের বাবা, দাদা, তার বাবারাও এখানে ইফতার সামগ্রী বিক্রি করতেন। ঐতিহ্য ধরে রাখতেই তাদের এই ব্যবসা। তবে, এখন অনেকেই নতুন নতুন এখানে এসেছেন বলেও জানান তারা। এখানকার খাবারের মধ্যে একটি নবাবী স্বাদ ও আমেজ থাকে। এদিকে মিরপুর থেকে চকবাজারে ইফতারি কিনতে এসেছেন মাকসুদুর রহমান। তিনি জানান, প্রতিবছর তিনি চকবাজার থেকে প্রথম দিন ইফতার কিনেন। এখানকার ইফতারি অন্যান্য স্থান থেকে আলাদা। তাই তিনি এখানে আসেন। ধানমণ্ডি থেকে চকবাজারের ইফতারি কিনতে এসেছেন কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রতিবছর ইফতার কিনতে চকবাজারে আসা হয়। পরিবারের সদস্যরাও চকবাজারের ইফতার পছন্দ করেন। তাই প্রথম দিনই ইফতারি কিনতে এসেছি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, গতবারের তুলনায় ইফতারির দাম কিছুটা বেড়েছে।
ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। সেখানে পাওয়া যাচ্ছে সুতি কাবাব, জালি কাবাব, টিকা কাবাব, ডিম চপ, কবুতর-কোয়েলের রোস্ট, ঐতিহ্যবাহী বড় বাপের পোলায় খায়, খাসির রান, গোটা মুরগি ফ্রাই, মুরগি ভাজা, ডিম ভাজা, পরোটা, শাহী কাবাব, সুতি কাবাব, সাসলিক, ভেজিটেবল রোল, চিকেন রোল, খাসির রানের রোস্ট, দইবড়া, হালিম, লাচ্ছি, পনির, পেস্তা বাদামের শরবত, লাবাং, মাঠা। আর পরিচিত খাবারের মধ্যে বেশি পাওয়া যাচ্ছে কিমা পরোটা, ছোলা, মুড়ি, ঘুগনি, সমুচা, বেগুনি, আলুর চপ, পিয়াজু, জিলাপিসহ নানা পদের খাবার নিয়ে সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বড় বাপের পোলায় খায় বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি। এই ইফতার আইটেমটি তেরি করা হয়েছে ২৭টি পদ দিয়ে। খাসির রোস্ট পিস আকার ভেদে ৪৪০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে (পিস হিসেবে)। আর মুরগির রোস্ট পিস ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, গরুর সুতি কাবাব ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি, দইবড়া কেজি ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা, কবুতরের রোস্ট ১৫০ টাকা পিস। কোয়েল প্রতি পিস ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এ ছাড়া চিকন জিলাপি কেজি ১৫০ টাকা, বড় শাহী জিলাপি ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
No comments