সুখী হতে চান? by নাজমুস সাদাত পারভেজ
সবাই
তো সুখী হতে চায়... তবু কেউ সুখী হয়, কেউ হয় না... কিংবদন্তি গায়ক মান্না
দে’র একটা বিখ্যাত গান। গানটি যেন আমাদের জীবনেরই প্রতিপাদ্য। আমরা সবাই
সুখী হতে চাই। একটা স্বপ্নের বাড়ি, নতুন গাড়ি, মোটা অঙ্কের ব্যাংক
ব্যালেন্স- এগুলো আমাদের মনকে উদ্দীপ্ত করে সত্যি। এনে দেয় সাময়িক সুখও।
কিন্তু চিরন্তন সুখের নিশ্চয়তা বা সন্ধান কি দিতে পারে? সুখ নিয়ে
মনোবিজ্ঞানীদের গবেষণা অনেক দিনের। সেই গবেষণাতে উঠে এসেছে, সুখ অনেকটাই
দৃষ্টিভঙ্গিনির্ভর। সুখ বা দুঃখের ঘটনার ঘনঘটায় আপনার মন সাময়িকভাবে
প্রভাবিত হলেও, জীবনের পরিক্রমায় আপনি আসলে কতটা সুখী- দিনশেষে তা নির্ভর
করে আপনার দৃষ্টিভঙ্গির ওপর। জীবন প্রতিনিয়ত বদলায়। প্রাত্যহিক এই বদলের
সঙ্গে মানুষ কিভাবে খাপ খাইয়ে নেবে তা পুরোপুরি মানুষের ব্যক্তিগত
দৃষ্টিভঙ্গিজাত। এ জন্যই কেউ অল্পতে ভেঙে পড়ে হাল ছেড়ে ব্যর্থ হয়। কেউ
ধ্বংসস্তূপের মাঝে দাঁড়িয়েও হাল না ছেড়ে ছিনিয়ে আনে সাফল্য। বেশির ভাগ
মনোবিজ্ঞানীরা এই ব্যাপারে একমত, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মানুষ নেতিবাচক
দৃষ্টিভঙ্গির মানুষের চাইতে বেশি সুখী। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব
ক্যালিফোর্নিয়ার সুখ বিষয়ক গবেষক সনজা লিউবোমিরস্কি বলেছেন, মানুষের অবস্থা
বা অবস্থান বদলানোর চেয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো অনেক বেশি সহজ। অনেক সময়
অবস্থা বা অবস্থানের নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে থাকে না। দৃষ্টিভঙ্গির
পরিবর্তনের নিয়ন্ত্রণ কিন্তু আমাদের হাতেই। বন্ধুর পথে যাত্রা যদি অবধারিতই
হয়, তাহলে মন প্রফুল্ল রেখে সেই যাত্রাকে যথাসম্ভব ইতিবাচক এবং উপভোগ্য
করে তুলতে তো ক্ষতি নেই। সুখ সংক্রান্ত গবেষণায় বিজ্ঞানীরা ৪টি বিষয়ের
প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। এগুলো ঠিক রেখে চলতে পারলে সুখময়
জীবনযাত্রা সহজ হয়
১। পরিবার: গবেষণায় এটা প্রমাণিত, সুখী পরিবারে বেড়ে ওঠা মানুষের মধ্যে সুখী থাকার প্রবণতা বেশি। একটি সুখী, ভালোবাসাপূর্ণ শৈশব সুখপূর্ণ যৌবনের সম্ভাবনা বাড়ায়। যৌবনে একটি সুন্দর বৈবাহিক সমপর্ক মানুষকে সুখী করে তোলে। আবার পূর্ণবয়স্ক অবস্থায় যে মানুষের সন্তানের সঙ্গে সুসমপর্ক থাকে, তাদের ভেতর সুখী থাকার প্রবণতা বেশি। তাই, এক সুতোয় গাঁথা পারিবারিক বন্ধন অনেক গুরুত্ববহ।
২। সামাজিক সমপর্ক ও বন্ধুত্ব: বিজ্ঞানীরা বলেন, সুখী মানুষদের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো- তাদের সামাজিক এবং বন্ধুত্বের সমপর্কগুলো মজবুত হয়। তারা সমপর্কগুলো স্বার্থনির্ভর নয়, গড়ে তোলেন বিশ্বাস এবং পরসপর নির্ভরতার ভিত্তিতে। এ জন্যই মনোবিদরা বলেন, সুখী হতে চাইলে অন্যের প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ায়- এমন মানুষ হয়ে উঠুন। কারণ গবেষণায় এটা প্রমাণিত যে, প্রকৃত সুখী মানুষেরা শুধু নিজের কথা ভাবেন না, ভাবেন অন্যদের কথাও। আরো বলা হয়, জীবনের বিপর্যয়কর মুহূর্তগুলোতে বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের পাশে পেলে মানুষের উদ্বেগ কমে। সমস্যা সামলানো সহজ হয়।
৩। কাজ: কাজ মানুষকে জীবনের উদ্দেশ্য এবং অর্থ খুঁজে পেতে সাহায্য করে। এটা বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত, বিকলাঙ্গ বা কাজে অক্ষম মানুষ কর্মক্ষম মানুষের চেয়ে কম সুখী। সুতরাং, কর্মের মাঝেই মুক্তি- এ কথাটি সত্যি। কাজের মধ্যে আনন্দ খুঁজে পাওয়ার সবচেয়ে কার্যকর পথ হলো- যে কাজে আপনি আনন্দ বা অর্থবহতা খুঁজে পান, এমন কাজ করা। নিজের স্কিলের সঙ্গে মেলে এবং আপনি আনন্দ পান- এমন কাজের ক্ষেত্র বেছে নেয়ার চেষ্টা করুন। আপনার কাজ শুধু নিজ উন্নতির ক্ষেত্র নয়- হয়ে উঠুক, মানুষের, দেশের, সমাজের উন্নতির সোপান।
৪। ধর্মবিশ্বাস: একবিংশ শতাব্দীতে এসে যখন মানুষ টাকা, উদযাপনের সংস্কৃতি, টেকনোলজি- ইত্যাদিতে মজে আছে তখন এসে সুখী হওয়ার উপাদান হিসেবে ধর্ম বা আধ্যাত্মিকতার কথা বলা হলে- তা শুনতে অদ্ভুত লাগলেও সত্যি সেটাই। অগণিত গবেষণাতেও এটা প্রমাণিত, ধর্মবিশ্বাসী মানুষ ধর্মে অবিশ্বাসী মানুষের চেয়ে বেশি সুখী। কারণ হিসেবে এটাও বলা যেতে পারে যে, ধর্মাবলম্বী মানুষ একই বিশ্বাসের অনুসারী হওয়াতে অনেক বেশি সঙ্গবদ্ধ। তাদের মধ্যকার আত্মিক সংযোগ তুলনামূলক মজবুত। দিনশেষে সবাই চায় সুখী হতে। তবে সুখে থাকাটা কিন্তু শুধু চাওয়ার ওপর নির্ভর করে না। চাওয়াটাকে পাওয়াতে রূপান্তরিত করতে কাঠখড় পোড়ানো লাগে। এ বিষয়ে একটা বিখ্যাত উক্তি আছে- সুখ কোনো স্বয়ংক্রিয় প্রতিক্রিয়া নয় বরং একটি সচেতন নির্বাচন। সুতরাং, সুখী হতে চাইলে সচেতন হন। শুধু চাইলেই সুখপাখি প্রাণে বাসা বাঁধে না। এ জন্য পোড়াতে হয় বিস্তর সচেতনতার কাঠখড়।
১। পরিবার: গবেষণায় এটা প্রমাণিত, সুখী পরিবারে বেড়ে ওঠা মানুষের মধ্যে সুখী থাকার প্রবণতা বেশি। একটি সুখী, ভালোবাসাপূর্ণ শৈশব সুখপূর্ণ যৌবনের সম্ভাবনা বাড়ায়। যৌবনে একটি সুন্দর বৈবাহিক সমপর্ক মানুষকে সুখী করে তোলে। আবার পূর্ণবয়স্ক অবস্থায় যে মানুষের সন্তানের সঙ্গে সুসমপর্ক থাকে, তাদের ভেতর সুখী থাকার প্রবণতা বেশি। তাই, এক সুতোয় গাঁথা পারিবারিক বন্ধন অনেক গুরুত্ববহ।
২। সামাজিক সমপর্ক ও বন্ধুত্ব: বিজ্ঞানীরা বলেন, সুখী মানুষদের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো- তাদের সামাজিক এবং বন্ধুত্বের সমপর্কগুলো মজবুত হয়। তারা সমপর্কগুলো স্বার্থনির্ভর নয়, গড়ে তোলেন বিশ্বাস এবং পরসপর নির্ভরতার ভিত্তিতে। এ জন্যই মনোবিদরা বলেন, সুখী হতে চাইলে অন্যের প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ায়- এমন মানুষ হয়ে উঠুন। কারণ গবেষণায় এটা প্রমাণিত যে, প্রকৃত সুখী মানুষেরা শুধু নিজের কথা ভাবেন না, ভাবেন অন্যদের কথাও। আরো বলা হয়, জীবনের বিপর্যয়কর মুহূর্তগুলোতে বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের পাশে পেলে মানুষের উদ্বেগ কমে। সমস্যা সামলানো সহজ হয়।
৩। কাজ: কাজ মানুষকে জীবনের উদ্দেশ্য এবং অর্থ খুঁজে পেতে সাহায্য করে। এটা বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত, বিকলাঙ্গ বা কাজে অক্ষম মানুষ কর্মক্ষম মানুষের চেয়ে কম সুখী। সুতরাং, কর্মের মাঝেই মুক্তি- এ কথাটি সত্যি। কাজের মধ্যে আনন্দ খুঁজে পাওয়ার সবচেয়ে কার্যকর পথ হলো- যে কাজে আপনি আনন্দ বা অর্থবহতা খুঁজে পান, এমন কাজ করা। নিজের স্কিলের সঙ্গে মেলে এবং আপনি আনন্দ পান- এমন কাজের ক্ষেত্র বেছে নেয়ার চেষ্টা করুন। আপনার কাজ শুধু নিজ উন্নতির ক্ষেত্র নয়- হয়ে উঠুক, মানুষের, দেশের, সমাজের উন্নতির সোপান।
৪। ধর্মবিশ্বাস: একবিংশ শতাব্দীতে এসে যখন মানুষ টাকা, উদযাপনের সংস্কৃতি, টেকনোলজি- ইত্যাদিতে মজে আছে তখন এসে সুখী হওয়ার উপাদান হিসেবে ধর্ম বা আধ্যাত্মিকতার কথা বলা হলে- তা শুনতে অদ্ভুত লাগলেও সত্যি সেটাই। অগণিত গবেষণাতেও এটা প্রমাণিত, ধর্মবিশ্বাসী মানুষ ধর্মে অবিশ্বাসী মানুষের চেয়ে বেশি সুখী। কারণ হিসেবে এটাও বলা যেতে পারে যে, ধর্মাবলম্বী মানুষ একই বিশ্বাসের অনুসারী হওয়াতে অনেক বেশি সঙ্গবদ্ধ। তাদের মধ্যকার আত্মিক সংযোগ তুলনামূলক মজবুত। দিনশেষে সবাই চায় সুখী হতে। তবে সুখে থাকাটা কিন্তু শুধু চাওয়ার ওপর নির্ভর করে না। চাওয়াটাকে পাওয়াতে রূপান্তরিত করতে কাঠখড় পোড়ানো লাগে। এ বিষয়ে একটা বিখ্যাত উক্তি আছে- সুখ কোনো স্বয়ংক্রিয় প্রতিক্রিয়া নয় বরং একটি সচেতন নির্বাচন। সুতরাং, সুখী হতে চাইলে সচেতন হন। শুধু চাইলেই সুখপাখি প্রাণে বাসা বাঁধে না। এ জন্য পোড়াতে হয় বিস্তর সচেতনতার কাঠখড়।
No comments