আফগান যুদ্ধে রাশিয়ার পথে যুক্তরাষ্ট্র by এম সাখাওয়াত হোসেন
চীন
ইতোমধ্যেই আফগানিস্তানে রেলওয়ে এবং মাইন প্রজেক্টে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার
বিনিয়োগের পরিকল্পনা ও প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে। কাজেই যুক্তরাষ্ট্র বছরে
তিন বিলিয়ন ডলার পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর বরাদ্দ থেকে কমিয়ে দেয়া বা
স্থগিত করায় পাকিস্তানের কোনো ক্ষতি তো হবেই না, বরং চীনের প্রভাবকে
ঠেকানোও সম্ভব নয় ২০০১ সালে নিউ ইয়র্কের টুইন টাওয়ারে আল-কায়েদার হামলার পর
২০০২ সালে একটি বই ‘সন্ত্রাসের ইতিকথা : আফগানিস্তান হতে আমেরিকা’
লিখেছিলাম। বইটিতে আফগান যুদ্ধের সব বিষয় তুলে ধরেছিলাম। এ উপসংহারে
বলেছিলাম, আফগান ভূখণ্ডে কোনো বিদেশী শক্তি টিকে থাকতে পারেনি এবং
যুক্তরাষ্ট্রও ওই যুদ্ধে টিকে থাকতে পারবে বলে মনে হয় না। আমি জৌতিষ নই,
কিন্তু আফগান ইতিহাসের ভিত্তিতেই একথা বলেছি। আলেকজান্ডার থেকে রাশিয়া
পর্যন্ত থাকতে পারেনি সেখানে। রাশিয়া শুধু পরাজিতই হয়নি, বরং সোভিয়েত
ইউনিয়ন ভেঙেই গেল। যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ১৬ বছর আফগানিস্তানে যুদ্ধরত রয়েছে। এ
পর্যন্ত বিভিন্ন তথ্য ও সূত্রে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় এক
ট্রিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে আফগান ফ্রন্টে। এই সামরিক অভিযানে প্রতি বছর ৫০
বিলিয়ন মানে, প্রতি মাসে এক বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি খরচ হচ্ছে এবং এ খরচ
বাড়ছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৯ হাজার সেনা আর আধুনিক যুদ্ধসরঞ্জাম
রয়েছে। এত কিছুর পরও তালেবানদের পরাজিত করা সম্ভব হয়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে,
আফগানিস্তানের চার থেকে ছয়টি জেলা সম্পূর্ণভাবে এবং সম্পূর্ণ আফগানিস্তানের
বড় শহরগুলো ছাড়া প্রান্তিক অঞ্চলের ৬০ শতাংশ তালেবানদের প্রভাবে রয়েছে এবং
এই প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে। তালেবানদের একজন মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের
কাছে ঘড়ি রয়েছে আর তালেবানদের হাতে রয়েছে সময়। ওপরের আলোচনার মূল বিষয়টি
হলো- ১৬ বছর পর, এখন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের উপলব্ধি ক্রমেই
স্পষ্ট হচ্ছে, আফগানিস্থানে আমেরিকা কৌশলগত পরাজয়ের পথে রয়েছে। এ যুদ্ধে
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে জয়ী হওয়া সম্ভব নয়, তা আফগানিস্তানে কর্মরত এবং
অবসরপ্রাপ্ত জেনারেলদের মতামত থেকেই স্পষ্ট। এরই প্রেক্ষাপটে আফগানিস্তানের
বর্তমান রাষ্ট্রপতি আশরাফ ঘানি তালেবানদের সাথে নিঃশর্ত রাজনৈতিক আলোচনার
আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত তালেবানদের তরফ থেকে তেমন ইতিবাচক
সাড়া পাওয়া যায়নি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, তালেবানরা নিজেদের শক্ত অবস্থানের
বিষয়টি অবশ্যই অবগত। হঠাৎ করে আফগান রাষ্ট্রপতি তালেবানদের সাথে আলোচনার
আহ্বান জানিয়েছেন, তেমনটি নয়। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সম্মানজনকভাবে পশ্চাৎপদ
হওয়ার রাস্তা তৈরি করতেই এ ধরনের আহ্বান জানিয়েছেন। শুধু আফগান যুদ্ধই নয়,
বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তির যে ক্ষয় হচ্ছে, তা ক্রমেই
আমেরিকান জনগণের মধ্যে অস্বস্তি বাড়াচ্ছে। অতীতেও ৯ বছরের মাথায়
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তির পতন হয়েছিল ভিয়েতনামে। তখনো আমেরিকার জনগণের
প্রশ্ন ছিল ওই যুদ্ধ কার স্বার্থ নিশ্চিত করছে? একই প্রশ্ন বর্তমানে
আমেরিকার জনগণের মধ্যে ফিরে আসছে। কেন আমেরিকা আফগানিস্তানে? এখানে
যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ কতখানি অবশিষ্ট রয়েছে? বিশেষ করে ওসামা বিন লাদেনের
মৃত্যুর পর আল কায়েদা শক্তি হারানোর পর। অপর দিকে, তালেবানদের বড় ধরনের
চিন্তার বিষয় হলো- আফগানিস্তানে আইএস বা দায়েশের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি
তালেবানদের জন্য সুখকর হবে না। তালেবানেরা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী
হিসেবে পরিচিত নয়। এদের সবাই স্থানীয় এবং বেশির ভাগ পশতুন জনগোষ্ঠী, যারা
তাদের হারানো ক্ষমতা পুনরুদ্ধার এবং আফগান মাটি থেকে বিদেশী শক্তির অপসারণ
চায়। অপর দিকে, আইএস বা দায়েশ এক বিশাল সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নাম, যারা
বহুজাতিক। তাদের উদ্দেশ্য, তথাকথিত ইসলামি খেলাফত কায়েম করা, যা তালেবানদের
নিজের ভূমিকে দখলদার বাহিনী থেকে মুক্ত করতে চায়। এই দুয়ের মধ্যেও এক
ধরনের সঙ্ঘাতের পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে। তালেবানদের চোখে আইএস এবং
দখলদার বাহিনী একই সূত্রে গাঁথা মনে হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান সমস্যা,
ক্রমেই সাধারণ আফগানেরাও তার সামরিক বাহিনীর উপস্থিতির বিরুদ্ধে। কারণ এ
যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর অভিযানে ও আক্রমণে সবচেয়ে বেশি
ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রান্তিক অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। এর অন্যতম কারণ,
যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী এক ধরনের ‘চেহারাবিহীন শত্রু’র মোকাবেলায় রয়েছে। আরো
বড় সমস্যা, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী আফগান ইতিহাসের সাথে যেমন পরিচিত
নয়, তেমনি পরিচিত নয় সে দেশের সামাজিক মূল্যবোধের সাথে। তা ছাড়া ভাষা একটি
বড় অন্তরায়। যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকেরা বিগত ১৬ বছরে যা বুঝতে
পারেননি, তা হলো- আফগানিস্তান কোনো সাধারণ রাষ্ট্র নয়, বরং এ অঞ্চলটি ছোট
থেকে বড় বড় স্বাধীনচেতা গোত্রের সমষ্টিগত অঞ্চলের একটি নামমাত্র। এ বিষয়টি
উনবিংশ শতাব্দীতেই ব্রিটিশ বাহিনী ও সরকার বুঝেছিল।
যুক্তরাষ্ট্র
আফগানিস্তানের চোরাবালিতে আটকে গেছে। বেরোনোর পথ ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠেছে। তা
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিষোদগার উদগীরণের মধ্যদিয়ে প্রকাশ পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকেরা ভালো করেই জানেন, আফগানিস্তানের যেকোনো
কৌশলগত অগ্রগতি, এমনকি আফগানিস্তানে উপস্থিত সামরিক বাহিনীকে যেকোনো
সরবরাহের জন্য পাকিস্তান ছাড়া বিকল্প পথ তেমন একটা নেই। মধ্য এশিয়া হয়ে
আকাশপথ থাকলেও তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং ইরানের সাথে বৈরিতার কারণে ওই পথ
ব্যবহার করা একেবারেই সম্ভব নয়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি
কোনো কাজেই আসবে না- তা নীতিনির্ধারকেরা ভালো করেই জানেন। যুক্তরাষ্ট্র
দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতকেন্দ্রিক হওয়ার কারণে ওই অঞ্চলে পাকিস্তানের সহযোগিতায়
চীনের প্রভাব বাড়ছে। ইতোমধ্যেই চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের কাজ
সম্পন্ন করতে চীন পাকিস্তানকে ৬৫ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে এবং চীন এই করিডোরকে
আফগানিস্তানের সাথে যুক্ত করতে ত্রিদেশীয় সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে বলে খবরে
প্রকাশ। এই সংযোগ চীনের বহুলালোচিত ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোডের একাংশ। তা ছাড়া
চীন-আফগানিস্তান সীমান্ত সংযোগ ওয়ান করিডোরকে যথেষ্ট সংবেদনশীল করে বলে চীন
সেখানে নজরদারিও বাড়িয়েছে। চীন ইতোমধ্যেই আফগানিস্তানে রেলওয়ে এবং মাইন
প্রজেক্টে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা ও প্রাথমিক কাজ শুরু
করেছে। কাজেই যুক্তরাষ্ট্র বছরে তিন বিলিয়ন ডলার পাকিস্তানের সামরিক
বাহিনীর বরাদ্দ থেকে কমিয়ে দেয়া বা স্থগিত করায় পাকিস্তানের কোনো ক্ষতি তো
হবেই না, বরং চীনের প্রভাবকে ঠেকানোও সম্ভব নয়। কাজেই যুক্তরাষ্ট্রের শুধু
হুমকিধমকির মধ্যেই পাকিস্তান বিরোধ যে সীমাবদ্ধ, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
দক্ষিণ এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত উপস্থিতি একসময় পাকিস্তানভিত্তিক ছিল।
তা অনেকটা কমে গেলেও মধ্য এশিয়া বিশেষ করে আফগানিস্তানে উপস্থিতির কারণে
একেবারেই শূন্যের কোঠায় নামবে, তেমন নয়। যুক্তরাষ্ট্র ভালো করেই জানে,
আফগানিস্তান থেকে সম্মানজনক পশ্চাদপরণ করতে হলে পাকিস্তানের প্রয়োজন। এ
কারণেই মধ্যএশিয়া ও আফগান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ভারত থেকে কৌশলগতভাবে
পাকিস্তানের গুরুত্ব বেশি। আফগানিস্তানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হলে
শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমাধানের প্রয়োজন। এর চাবিকাঠি পাকিস্তানের হাতে। এ
সত্য এখন আশরাফ ঘানি ও ট্রাম্প প্রশাসন উপলব্ধি করছেন। অন্য দিকে,
পাকিস্তানি তালেবানদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সামরিক অভিযান চালিয়ে গেলেও
আফগান তালেবান এবং হাক্কানি গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতা থেকে পিছপা হয়নি। সে
বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রও অবগত, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন কার্যক্রম কোয়েটার
যে অঞ্চল থেকে পরিচালিত হয়, তার কাছেই আফগান তালেবান ও হাক্কানিদের
নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের অবস্থান বলে চিহ্নিত। ইতোমধ্যেই আফগান সরকার কর্তৃক
তালেবানদের সাথে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আলোচনার আহ্বানকে পাকিস্তান স্বাগত
জানিয়েছে। তালেবানদের পেছনে পাকিস্তানের গোযেন্দা বাহিনীর জোরালো সমর্থন
নিয়ে আফগানিস্তানের প্রথমে কারজাই এবং পরে আশরাফ ঘানি সরকারের অভিযোগ
থাকলেও এখন সে অবস্থান নেই। আফগান সরকার মেনেই নিয়েছে, সে দেশে শান্তি
স্থাপন করতে হলে এ পথের বিকল্প নেই। প্রায় লক্ষাধিক আফগান সৈন্যকে
যুক্তরাষ্ট্র প্রশিক্ষণ দিলেও এ বাহিনী কার্যকর হয়নি। তদুপরি সামরিক
অভিযানে বেসামরিক নাগরিক হত্যার কারণে সরকারি বাহিনীর ওপর উপজাতিগোষ্ঠী
ক্ষিপ্ত। এরই মধ্যে আফগান বাহিনীতেও তালেবানের যে অনুপ্রবেশ ঘটেছে, তা নিয়ে
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী খুব উদ্বিগ্ন। যা হোক, তালেবানদের সাথে
সম্ভাব্য আলোচনায় একদিকে যেমন পাকিস্তান লাভবান হবে, অপর দিকে ভারতের
কৌশলগত ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারত আফগান সরকারের সমর্থনে যেমন
রয়েছে, তেমনি অর্থনৈতিক লগ্নির ক্ষেত্রেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ স্থানে
রয়েছে। উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে ইরানের চাবাহার বন্দর দিয়ে ভারত আফগানিস্তানের
সাথে এক বিকল্প পথের ব্যবস্থা করে পাকিস্তানকে পাশ কাটিয়েছে, নিবিড় যোগাযোগ
স্থাপনের জন্য। কাজেই আফগানিস্তানে তালেবান শক্তির সাথে সরকারের শান্তি
স্থাপন হলে ভারতের বর্তমান অবস্থানে পরিবর্তন আসবে। এমনটা হয়েছিল আফগান
‘জিহাদ’ ও তালেবানদের শাসনামলে। আফগানিস্তান নিয়ে আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এক ধরনের ‘গ্রেট গেম’ পরিস্থিতি বিদ্যমান। সে
ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত শান্তি আলোচনা নিয়েও দুই দেশের দুই প্রান্তে অবস্থান
আলোচিত প্রস্তাব বাস্তবায়নে কতখানি প্রভাব ফেলবে তা দেখার বিষয়। তবে দিন
দিন তালেবানদের শক্ত অবস্থান, দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশের মধ্যে নতুন সমীকরণের
সূচনা যে করেছে, তা দৃশ্যমান। আফগানিস্তানে প্রায় চার দশক ধরে চলমান
সঙ্ঘাত সে দেশকে যেভাবে জর্জরিত করেছে, সেখান থেকে বের হওয়ার তাগিদ শুধু
আফগান সরকারেরই নয়, সাধারণ মানুষেরও এটা আকাক্সক্ষা। অপর দিকে,
যুক্তরাষ্ট্র যে এই যুদ্ধে কৌশলগত পরাজয়ের মুখে রয়েছে তা যুক্তরাষ্ট্র
সরকার ভালোভাবেই উপলব্ধি করেছে। ট্রাম্প প্রশাসন শুরুর দিকে গলাবাজি করলেও
ইতিহাসের নিরিখে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে যে জয়ী হচ্ছে না; তা ভালোভাবে
উপলব্ধি করেছে ক্রমেই। এখন প্রয়োজন সম্মানজনক পশ্চাদপরণ। এর একমাত্র পথ
রাজনৈতিক আলোচনার মধ্যে আফগানদেরই সমাধানের পথ খোঁজা। আফগানিস্তানের
মাটিতে খ্রিষ্টের জন্মের আগ থেকে আজ পর্যন্ত কোনো দখলদার বাহিনী টিকে থাকতে
পারেনি। এটাই ইতিহাসের সত্য। কাজেই ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়েই
যুক্তরাষ্ট্রের উচিত, আফগানিস্তানের সমস্যা সমাধান আফগানদের হাতেই ছেড়ে
দেয়া। প্রায় চার দশকে আফগান যুদ্ধ এ উপমহাদেশের দেশগুলোর জন্যও সুখকর
প্রমাণিত হয়নি।
লেখক : ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:),
সাবেক নির্বাচন কমিশনার
hhintlbd@yahoo.com
লেখক : ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:),
সাবেক নির্বাচন কমিশনার
hhintlbd@yahoo.com
No comments