সুদান-মিসর উত্তেজনা by মো: বজলুর রশীদ
তুরস্কের
প্রেসিডেন্ট এরদোগান আফ্রিকার সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করার পদক্ষেপ হিসেবে
সুদান, শাদ ও তিউনিসিয়া সফর করেছেন। আফ্রিকার কিছু দেশের সাথে তুরস্কের
রয়েছে শতাব্দীর ঐতিহাসিক বন্ধন। তুরস্কের উসমানিয়া সালতানাত শেষ হওয়ার পর
দেশগুলো নানামুখী সমস্যায় আক্রান্ত হয় এবং সেতুবন্ধন শিথিল হয়ে যায়। এখন
এরদোগান এই সম্পর্ককে বাণিজ্যিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিকভাবে দৃঢ়
করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। শতাব্দী ধরে আফ্রিকার দেশগুলো দুর্ভিক্ষ, ক্ষুধা,
রোগ-বালাই ও দরিদ্রতা নিয়ে পথ চলছে। আফ্রিকার দেশগুলো শত শত বছরের
ঔপনিবেশিক নাগপাশ থেকে এখনো সম্পূর্ণ মুক্ত হতে পারেনি।
সম্পদ লুণ্ঠন ও
যুদ্ধবিগ্রহ ওদের নিত্যসঙ্গী। অথচ আফ্রিকার মাটিতে রয়েছে সম্পদের
প্রাচুর্য। কিন্তু বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় এসব দেশ উন্নত অবকাঠামো নির্মাণে
স্বদেশী সম্পদকে কাজে লাগাতে পারছে না। সুদান ১৯৫৬ সালে যখন স্বাধীনতা লাভ
করেছিল, তখন যে ক’টি দেশ খার্তুমে দূতাবাস খোলে তুরস্ক সেগুলোর অন্যতম।
আফ্রিকার অন্যান্য দেশেও তুরস্ক দূতাবাস খুলেছে; বতর্মানে আফ্রিকার ৩৯টি
দেশে তুরস্কের দূতাবাস রয়েছে। ৩৮টি দেশে তুরস্কের জয়েন্ট ইকোনমিক কাউন্সিল
রয়েছে এবং তুরস্ক ৩০০ মিলিয়ন ডলার ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট করেছে আর
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ৫০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। সুদানি কেন্দ্রীয়
ব্যাংকের মতে, খার্তুম ও কায়রোর মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৮৫০ মিলিয়ন
ডলার। সুদানে তুর্কি এনজিওর অনেক প্রজেক্ট রয়েছে। যেমন, ইউনুস আমেরি
ইনস্টিটিউট, খার্তুমে ২০১৬ সালে শাখা খুলেছে। তুর্কি কো-অপারেশন ও
কো-অর্ডিনেশন এজেন্সি, টিকা (TÝKA) সুদানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সুদানকে
রাজনৈতিকভাবে একঘরে করার প্রচেষ্টা নস্যাৎ করার জন্য সুদানের সাথে তুরস্কও
কাজ করছে। তাই সুদানে এরদোগান বেশ জনপ্রিয়। সুদানে একটি প্রবাদ জনপ্রিয়,
‘রাতের অন্ধকার যত দীর্ঘ হোক না কেন প্রভাতে সূর্য উঠবেই’। ওমর হাসান আল
বশির ২৫ বছর ধরে সুদান শাসন করছেন। একটি ক্যুর মাধ্যমে ১৯৮৯ সালে তিনি
ক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং ১৯৯৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। বারবার তিনি
নির্বাচিত হন এবং ২০১৫ সালে আরো পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। অপর
দিকে, তার বিরুদ্ধে দু’টি আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। হেগের
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসি থেকে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার
বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে পরোয়ানা ইস্যু করা হয়। সুদানের মুসলমানেরা সুন্নি
ও মালিকি মাজহাব অনুসরণ করেন, সুফিবাদ সেদেশে খুবই জনপ্রিয়। সুফিদের কিছু
কথিত অনুসারী নৃত্য ও ঢোল বাজিয়েও জিকির করে থাকে। রাজধানী খার্তুমে কিছু
শিয়া মুসলমান ও খ্রিষ্টানও বসবাস করেন।
২০১১ সালে দক্ষিণ সুদান বিচ্ছিন্ন
হওয়ার পর সুদানের তেল উৎপাদন পাঁচ থেকে সাত বিলিয়ন ব্যারেল বা
তিন-চতুর্থাংশ কমে যায়। সুদানের দারফুর সঙ্কট বড় মানবিক সমস্যার জন্ম
দিয়েছে। ২০০৩ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে তিন লাখ সুদানিকে হত্যা করা হয় এবং তিন
মিলিয়ন দেশ ত্যাগ করেছে। সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষ এই সমস্যার
জন্ম দিয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের সফরের সময় তিনি
সুদান সরকারের সাথে সামরিক ও অর্থনৈতিক ১২টি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। কোনো
তুর্কি প্রেসিডেন্টের এটাই প্রথম সুদান সফর। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন,
‘দুই মুসলিম দেশ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদার করে বর্তমানের বার্ষিক ৫০ কোটি
ডলার থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে ১০০ কোটি এবং পরে এক হাজার কোটি ডলারে উন্নীত
করতে চায়’। বহু দিন ধরে সুদান ও মিসর এক দেশ অন্য দেশের বিরুদ্ধে প্রচারণায়
লিপ্ত। খার্তুম সরকার মিসরের জিনিসপত্র আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। উভয় দেশের
মধ্যে খনিজসম্পদ সমৃদ্ধ ‘হালেইব ত্রিভুজ’ (Hala'ib Triangle) নিয়ে বিরোধ
রয়েছে। সুদান এই ভূখণ্ড নিজের বলে দাবি করে; আর মিসর ১৯৯৫ থেকে এটি দখল করে
রয়েছে। সুদান অভিযোগ করেছে, মিসর সেখানে সামরিক ইন্ধনের জোগান দিচ্ছে।
মিসর চায় না এই বিরোধ আন্তর্জাতিক কোনো ফোরামে তোলা হোক। কিন্তু সুদান
বিষয়টি আফ্রিকান ইউনিয়ন ও জাতিসঙ্ঘে পাঠানোর জন্য প্রতিনিধি পাঠিয়েছে। উভয়
দেশ বন্ধুত্বের নিদর্শনস্বরূপ গুরুত্বপূর্ণ ‘ফোর ফ্রিডম চুক্তি’ করেছে ২০০৪
সালের ৪ সেপ্টেম্বর। এই চুক্তির আওতায় মিসর ও সুদানের নাগরিকেরা মুক্তভাবে
দুই দেশে চলাচল করতে পারবে, বসবাস করতে পারবে এবং কোনো পারমিট ছাড়া এক
দেশের নাগরিক অপর দেশে কাজ করার ও সম্পদ আহরণের অধিকার পাবে। এই চুক্তি
সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে। গৃহযুদ্ধের কারণে মিসরে সুদানের হাজার হাজার
উদ্বাস্তু আশ্রয় নিয়েছে; কিন্তু তারা মিসরে জাতিগত বৈষম্য ও পুলিশি
নির্যাতনের শিকার।
aএদের সংখ্যা দুই মিলিয়নের বেশি। যারা ইসরাইলে প্রবেশ
করতে চায় মিসর তাদের ‘গুলি করে পথরোধ’ করার পলিসি নিয়েছে। ফলে ২০০৭ সাল
থেকে এ পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ ৫০ জন সুদানি মারা গেছে। সুদানি উদ্বাস্তুরা
মিসরের সরকার ও সাধারণ নাগরিকদের কাছ থেকে বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হয়েছে।
১৯৯০ সালে বেশি উদ্বাস্তু মিসরে গিয়েছে। ফলে মিসরে ঘরভাড়া বৃদ্ধি ও
জীবনযাত্রার মান বেড়ে যায়। বর্ধিত ঘড়ভাড়া সুদানি উদ্বাস্তুদের জন্য বেশ
কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। অনেকে একই বাড়ি ভাগাভাগি করে দিনাতিপাত করছে। সুদানি
সংস্কৃতিতে ঘনঘন পড়শিদের বাড়িতে যাওয়া ও দেখা সাক্ষাৎ করার নিয়ম রয়েছে। ফলে
বাড়ির মালিকেরা বিরক্ত হয় এবং অনেক অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা জন্ম নেয়। অনেক সময়
একক মহিলাদের বিভিন্ন সামাজিক কারণে ঘরভাড়া দেয়া হয় না। ঘরের মিসরি
মালিকেরা বাবা-মাসহ ছোট পরিবারকেই বেশি পছন্দ করেন। সুদানের শিশুরা মিসরে
২০০০ সাল থেকে বিনামূল্যে প্রাথমিকপর্যায়ে লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে। এ সুবিধা
পাওয়ার জন্য রেসিডেন্সি পারমিট ও আকামা প্রয়োজন। সুদানিরা রেসিডেন্সি
পারমিট পেতে অনেক বাধার সম্মুখীন হয়ে থাকে। তা ছাড়া কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ার কারণে
তাদের অনেক অবমাননাকর মন্তব্য শুনতে হয়। যারা পড়তে পারে তাদেরও আছে নানা
সমস্য। ঘিঞ্জি-আবদ্ধ ঘরে অবস্থানে এবং বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে হোমওয়ার্ক
করতে পারে না। সাত-আটজনের একটি পরিবার কিংবা দু’টি পরিবার মিলে মাত্র একটি
কক্ষে অবস্থান করে। ২০১৮ সালের সূচনা সুদান-মিসরের জন্য সুখকর নয়। ৪
জানুয়ারি সুদান কায়রো থেকে তাদের দূতকে ফিরিয়ে এনেছে। অনেক আগে শুরু হওয়া
গ্রান্ড ইথিওপিয়ান রেনেসাঁ বাঁধ নিয়ে এমনিতেই খার্তুম-কায়রোর সম্পর্ক নিচে
নেমে গেছে, সবাই পানি চায়। মিসর নীলনদের পানি ছাড়তে চায় না। বিরোধপূর্ণ
‘হালেইব ট্রায়াঙ্গেল’ সীমান্তে মিসর সামরিক বাহিনী ও যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে।
এর মধ্যে এরদোগানের সফরের পর সুদানের সুয়াকিন দ্বীপের কর্তৃত্ব লাভ উভয়
দেশের সম্পর্ককে আরো নিচে নামিয়ে দিয়েছে। লোহিত সাগরে তুরস্কের সেনা
অবস্থানকে মিসর সুনজরে দেখছে না। মিসর মনে করে, ‘নব্য-অটোম্যান’ চিন্তাধারা
এবং মুসলিম ব্রাদারহুড সমথর্নকারী তুরস্ককে সুদান উজ্জীবিত করার কাজে
সহায়তা করছে। অতীতে সুলতান সুলেমানের শাসনামলে সুদান ও পূর্ব আফ্রিকা
তুরস্কের অধীনে ছিল। প্রেসিডেন্ট এরদোগান সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির
থেকে সুয়াকিন দ্বীপ চেয়েছেন এবং দ্বীপে ওসমানী আমলের শিল্পকর্মগুলো সংস্কার
করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এখানে ব্যবসা ও পর্যটনেরও প্রভূত উন্নয়ন করা
হবে। লোহিত সাগরে এই এলাকার খুবই বড় কৌশলগত মূল্য রয়েছে। সুয়াকিন থেকে ১৮
শতাব্দী পর্যন্ত ওসমানী সুলতানরা নৌবহরের মাধ্যমে লোহিত সাগর দেখভাল করতেন।
প্রেসিডেন্ট এরদোগান আফ্রিকায় ২০০৫ সালে পা রাখার পর তুরস্কের পক্ষে অনেক
সুযোগ সুবিধা আদায় করেছেন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। তুরস্ক
আবার সুয়াকিন দ্বীপে এলে লোহিত সাগরের কৌশলগত অবস্থান পরিবর্তিত হবে। এই
দ্বীপে তুরস্ক কর্তৃত্ব পেলে সুদান ও ইয়েমেনের নিরাপত্তাও সংহত পাবে বলে
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। এতে বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চে তুরস্ক আরো গুরুত্বপূর্ণ
খেলোয়াড় হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছে। হাফিংটন পোস্ট পত্রিকা এরদোগানকে ‘নব্য
ওসমানী সাম্রাজ্যের সুলতান’ বলে অভিহিত করেছে। দুইজন সুদানি সাংবাদিককে
মিসরের বহিষ্কার ও পাল্টাপাল্টি ব্যবস্থার কারণে মধ্য মে ২০১৭ থেকে উভয়
দেশের সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। সুদানি সাংবাদিক ইমান কামাল আল দীন ‘মিসর
ইরিত্রিয়ায় সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করছে’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ
করেছিলেন। এ দিকে, মিসরের লোকজনদের সুদানে প্রবেশ করার বিষয়ে
কনসুলারপর্যায়ে সিদ্ধান্ত হবে মর্মে সুদান জানায়। এটা ২০০৪ সালের মুক্ত
চলাচল চুক্তির ওপর বড় ধরনের আঘাত বলে পণ্ডিতরা মনে করছেন। সুদানের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইব্রাহীম গানধৌর বলেছেন, ‘মিসর আমাদের নাগরিকদের সাথে
যেরূপ আচরণ করবে আমরাও সেরূপ করব’। এ ঘটনার পর সুদান মিসর থেকে কৃষিপণ্য ও
পশুজাতসামগ্রী আমদানি বন্ধ করে দিয়ে যেন ‘আগুনে ঘি ঢেলে’ দিয়েছে। এর সাথে
সুদানি ব্যবসায়ীদের আমদানির জন্য মিসরের কোনো ভূখণ্ড ব্যবহার না করার
নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার, ইরিত্রীয় সীমানায় সুদানের
সৈন্য সমাবেশ, তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক সফর ইত্যাদি মিসর-সুদান
সঙ্ঘাতের জন্ম দিতে পারে। অনেকে মনে করেন ২৩ নভেম্বর ২০১৭ সালে সোচিতে
পুতিনের সাথে সাক্ষাতের পর অনেক ক্ষেত্রে দৃশ্যপট বদলে যায়। রাশিয়ার
নৌবাহিনীর লোহিত সাগর এলাকায় যাওয়া আসাও এই মুহূর্তে সুবিধাজনক নয়। পুতিন
বলেছেন, সুদানে ঘাঁটি করার কোনো ইচ্ছা নেই। এই বক্তব্যে ওয়াশিংটন ও কায়রো
স্বস্তি বোধ করছে, বৈ কি? কিন্তু তুরস্কের কাছে ৯৯ বছরের জন্য সুয়াকিন
দ্বীপ ইজারা দেয়ার বিষয়ে মিসর মনে করছে যে, নীল বেসিনে তুরস্কের সামরিক
উপস্থিতি প্রতিষ্ঠিত হবে। কিছু দিন আগে মিসর ও আরব আমিরাতের সৈন্যরা ভারী
কামান নিয়ে ইরিত্রিয়ার ‘সাওয়া’তে ঘাঁটি বানিয়েছে। এতে শুধু সুদানের সমস্যা
হচ্ছে না, ইথিওপিয়াও আপত্তি জানায় এবং সীমান্তে সৈন্য পাঠায়। সুদানও
সীমান্তে সৈন্য পাঠায়। যদি মিসর রেনেসাঁ বাঁধে বোমা বর্ষণ করে নীলনদকে
প্রবাহিত রাখার উদ্যোগ নেয়, তবে মিসরের আসওয়ান বাঁধেও বোমা পড়বে। ফলে
এলাকায় বিরাট বিপর্যয় নেমে আসবে। এমন একটি সম্ভাব্য যুদ্ধে সুদান, মিসর,
ইরিত্রিয়া, ইথিওপিয়া, আমিরাত, সৌদি আরব, তুরস্ক ও ইরান জড়িয়ে পড়তে পারে।
জরুরিভিত্তিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য সুদানের উচিত, রাষ্ট্রদূতকে
এখনই কায়রোতে পাঠানো এবং আলোচনা শুরু করা। কেননা, যেকোনো প্রকার যুদ্ধ
অঞ্চলটিকে দুর্যোগের নরককুণ্ডে পরিণত করবে। সুযোগ পেলেই দারফুরে
বিদ্রোহীরা সুদানি সেনাদের ওপর আক্রমণ চালায়। অভিযোগ আছে যে, মিসর এসব
বিদ্রোহীকে মদদ দিচ্ছে। মিসরের কূটনীতিকেরা মনে করেন, ১৯৮২ সালের ‘নাইল
ভ্যালি পার্লামেন্ট’কে পুনর্বহাল করা উচিতÑ যেখানে উভয় দেশের কূটনীতিকেরা
থাকবেন, যার মাধ্যমে উভয় দেশের নাগরিকেরা সমান আচরণ পাবে। যাতায়াতের সমান
সুযোগ সুবিধা, বাড়িঘর করা, রেসিডেন্সি গ্রহণ, শ্রম-বিনিয়োগ সুবিধা,
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একই নীতি গ্রহণ ইত্যাদি বিষয় এই পার্লামেন্টে আলোচনার
সুযোগ রয়েছে। সুদান এখনো এই চুক্তিকে বাতিল ঘোষণা করেনি। তবে এই উত্তপ্ত
মুহূর্তে ওই পার্লামেন্ট গঠন করতে হলে সুদানের চেয়ে মিসরকেই বেশি ছাড় দিতে
হবে।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব, বাংলাদেশ সরকার ও গ্রন্থকার
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব, বাংলাদেশ সরকার ও গ্রন্থকার
No comments