মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ছেড়ে ‘পার্টি অফিসে’ মানিক সরকার
ত্রিপুরার
চারবারের নির্বাচিত জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার মুখ্যমন্ত্রীর
বাসভবন ছেড়ে নতুন বাসায় উঠেছেন। তবে এক কক্ষের এই নতুন বাসা হলো তার দলীয়
কার্যালয়ের অতিথি কক্ষ। আগরতলার পারিবারিক বাড়ি ছাড়া নিজের আর কোনো ঘর-বাড়ি
না থাকায় আপাতত দলীয় কার্যালয়েই থাকবেন তিনি। পরে নতুন সরকার সাবেক এই
মুখ্যমন্ত্রীর জন্য কোনো বাসা বরাদ্দ দিলে সেখানে স্থানান্তরিত হবেন।
উত্তরসূরি বিপ্লব দেব শপথ গ্রহণের একদিন আগে বৃহস্পতিবার মার্ক্স এঞ্জেল
রোডে অবস্থিত মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ছেড়ে দেন তিনি। ইতিমধ্যেই বই,
কাপড়সহ অন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দলীয় কার্যালয়ের অতিথি কক্ষে পাঠিয়ে
দিয়েছেন । এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি।
খবরে বলা হয়, মানিক সরকারের নতুন ও পুরাতন বাসার দূরত্ব মাত্র আধা কিলোমিটার। এখন থেকে স্ত্রী পঞ্চলি ভট্টচার্যকে নিয়ে পার্টি অফিসের অতিথি ভবনের একটি কক্ষে থাকবেন মানিক সরকার। দলীয় কার্যালয়ের ‘কিচেনে’ যা রান্না হয়, তিনি তাই খাবেন। ত্রিপুরার সিপিআই সেক্রেটারি বিজন ধার এ খবর নিশ্চিত করেছেন। ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনীতিবিদরা বিলাসবহুল বাড়িতে জীবনযাপন করতে অভ্যস্ত হলেও মানিক সরকার পুরোপুরি ব্যতিক্রম। তাকে ভারতের সবচেয়ে ‘দরিদ্র মুখ্যমন্ত্রী’ আখ্যা দেয়া হয়। বামপন্থিদের দুর্গ হিসেবে পরিচিত ত্রিপুরায় সাম্প্রতিক নির্বাচনে সিপিআই-কে পরাজিত করে বিজেপি। এর মধ্য দিয়ে রাজ্যটিতে দীর্ঘ ২৫ বছরের বামপন্থি শাসনের অবসান ঘটে। ২৫ বছরের বাম শাসনের মধ্যে ২০ বছরই রাজ্য পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মানিক সরকার। তবে দায়িত্ব ছাড়ার পর নিজেরে আবাসস্থল নির্ধারণ করার দায়িত্ব দলের ওপর ছেড়ে দেন সদ্য সাবেক এই মুখ্যমন্ত্রী। কেননা আগরতলায় পূর্বপুরুষের রেখে যাওয়া ৯০০ বর্গ ফুট জমি ছাড়া তার মালিকানায় উল্লেখযোগ্য আর কিছুই নেই। নেই কোনো বাড়ি, কিংবা বিলাসবহুল গাড়ি। ২০ বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকার পরও নিতান্তই সাদাসিধে জীবন-যাপনে অভ্যস্ত তিনি। অভিজাত চাকচিক্যপূর্ণ জীবন তাকে প্রলুব্ধ করেনি একটুও।
আগরতলায় অবস্থিত পারিবারিক বাড়ি থেকে তার রাজনৈতিক জীবনের শুরু। সেখানে এখনো কাঠের তৈরি ঘর, আর উপরে টিনের ছাউনি। মানিক সরকারের ভাতিজি বলেন, শৈশব থেকেই আমি তাকে খুবই সাদাসিধে ও সৎ মানুষ হিসেবে চিনি। সবকিছুই তিনি নিজে নিজে করেছেন। এমনকি পার্টি অফিসেও যেতেন পায়ে হেঁটে।
খবরে বলা হয়, মানিক সরকারের নতুন ও পুরাতন বাসার দূরত্ব মাত্র আধা কিলোমিটার। এখন থেকে স্ত্রী পঞ্চলি ভট্টচার্যকে নিয়ে পার্টি অফিসের অতিথি ভবনের একটি কক্ষে থাকবেন মানিক সরকার। দলীয় কার্যালয়ের ‘কিচেনে’ যা রান্না হয়, তিনি তাই খাবেন। ত্রিপুরার সিপিআই সেক্রেটারি বিজন ধার এ খবর নিশ্চিত করেছেন। ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনীতিবিদরা বিলাসবহুল বাড়িতে জীবনযাপন করতে অভ্যস্ত হলেও মানিক সরকার পুরোপুরি ব্যতিক্রম। তাকে ভারতের সবচেয়ে ‘দরিদ্র মুখ্যমন্ত্রী’ আখ্যা দেয়া হয়। বামপন্থিদের দুর্গ হিসেবে পরিচিত ত্রিপুরায় সাম্প্রতিক নির্বাচনে সিপিআই-কে পরাজিত করে বিজেপি। এর মধ্য দিয়ে রাজ্যটিতে দীর্ঘ ২৫ বছরের বামপন্থি শাসনের অবসান ঘটে। ২৫ বছরের বাম শাসনের মধ্যে ২০ বছরই রাজ্য পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মানিক সরকার। তবে দায়িত্ব ছাড়ার পর নিজেরে আবাসস্থল নির্ধারণ করার দায়িত্ব দলের ওপর ছেড়ে দেন সদ্য সাবেক এই মুখ্যমন্ত্রী। কেননা আগরতলায় পূর্বপুরুষের রেখে যাওয়া ৯০০ বর্গ ফুট জমি ছাড়া তার মালিকানায় উল্লেখযোগ্য আর কিছুই নেই। নেই কোনো বাড়ি, কিংবা বিলাসবহুল গাড়ি। ২০ বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকার পরও নিতান্তই সাদাসিধে জীবন-যাপনে অভ্যস্ত তিনি। অভিজাত চাকচিক্যপূর্ণ জীবন তাকে প্রলুব্ধ করেনি একটুও।
আগরতলায় অবস্থিত পারিবারিক বাড়ি থেকে তার রাজনৈতিক জীবনের শুরু। সেখানে এখনো কাঠের তৈরি ঘর, আর উপরে টিনের ছাউনি। মানিক সরকারের ভাতিজি বলেন, শৈশব থেকেই আমি তাকে খুবই সাদাসিধে ও সৎ মানুষ হিসেবে চিনি। সবকিছুই তিনি নিজে নিজে করেছেন। এমনকি পার্টি অফিসেও যেতেন পায়ে হেঁটে।
No comments