‘হাত-পা বেঁধে একটা নির্বাচন করতে চাওয়া হচ্ছে’ -ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন
অনেকেই
মনে করেন দেশ একটা ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে প্রথমবারের
মতো কোনো প্রধানমন্ত্রী দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন। এতে দলটি তিনদিনের কর্মসূচি
পালন করছে, গ্রেপ্তার হচ্ছেন দলটির নেতাকর্মী- সবমিলিয়ে নির্বাচনী বছরে
পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে? সম্প্রতি চ্যানেল আই-এর টকশো তৃতীয় মাত্রায়
সঞ্চালক জিল্লুর রহমানের এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের
উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, আমি বলবো নির্বাচন নিয়ে আমাদের
মধ্যে অনেকেই শঙ্কায় ছিলাম। কারণ, হাত-পা বেঁধে একটা নির্বাচন করতে চাওয়া
হচ্ছে। যে নির্বাচনে সরকার ক্ষমতায় থাকবে, এমপিরা ক্ষমতায় থাকবেন, সব
কর্তৃত্ব তাদের হাতে থাকবে। এ রকম শাসনতন্ত্র বা পার্লামেন্টারি সিস্টেম
কোথাও হয় না যে, পার্লামেন্ট ডিসলভ না করে নির্বাচন হয়।
অতএব, চরম একটা শঙ্কার দিকে দেশ যেতে পারে। আমি অনেক আগে থেকেই বলে আসছি- বিপদ ঘনীভূত হচ্ছে। যদি বর্তমান নেতৃত্ব সত্যিকার ম্যাচিউর হতো, তবে নির্বাচনী বছরে এমন অসমীচীন রায় দিতো না। এ সময় সঞ্চালক বলেন, আইন তো আইনের পথে চলবে। পদাধিকার যাই হোক, কেউ-ই তো আইনের ঊর্র্ধ্বে নয়। তা তিনি হোন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। ব্যারিস্টার মইনুল বলেন, অবশ্যই। নিরপেক্ষ আইনি ব্যবস্থায় তো তাই হয়। তবে বর্তমানে দেশে যে অবস্থা বিরাজ করছে সে অনুযায়ী দেখলে সরকারের বর্তমান আচরণ হচ্ছে- ‘আমার কথাই আইন। আমার পুলিশ-ই আমার শক্তি’। এভাবে সভ্য সমাজে আইনের শাসন হয় না। বিচারবিভাগ নিয়ে রাজনীতি কেউ করে না। আমাদের দেশে তো বিচারবিভাগ নিয়েই রাজনীতি করা হয়। এটা করে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ রাজনীতির দিকে যাচ্ছি। আইন সমভাবে প্রয়োগ হচ্ছে না। এখন বিচারবিভাগ নিয়ে নানান খেলা হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি একজনকে বিদায় করে দেয়া হলো। আরেকজন যার হওয়ার কথা তাকে হতে দেয়া হলো না। এ সময় সঞ্চালক প্রশ্ন করেন, এস কে সিনহা প্রধান বিচারপতির পদ থেকে কোনোরকম সাহস প্রদর্শন না করে চলে গেলেন, এটা কি ঠিক হয়েছে? তিনি তো অনেক কিছুই করতে পারতেন। জবাবে ব্যারিস্টার মইনুল বলেন, সত্যি কথা বলতে কি আমরা সবাই একটা ভয়ের ভেতর আছি। এভাবে বিচার বিভাগে নিয়ম কানুন ভেঙে জুডিশিয়ারির প্রতি যে শ্রদ্ধার অভাব দেখানো হচ্ছে, এটা ভালো না। এস কে সিনহা এমনিতেই দেড় মাসের মধ্যে অবসরে চলে যেতেন। হঠাৎ বলা হলো তার বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ আছে। কই একটাও তো শুরু হতে দেখছি না। জনগণের প্রতি তো সরকারের একটা দায়িত্ব আছে। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে এতোগুলো কথা বলে তিনি যাওয়ার পরে এসব অভিযোগের একটি প্রমাণও তো দেখানো হলো না। এটা কিভাবে গ্রহণযোগ্য? অবশ্য আজকে বিএনপিকে আমি বলবো, তারা নিজেরাও ক্ষমতার সময় বিচারবিভাগকে স্বাধীনতা দেয়নি। এখন আওয়ামী লীগও দিচ্ছে না। যেহেতু নিজেদের সময় বিচার বিভাগকে নিরপেক্ষ রাখেননি, এখন এসে কিভাবে বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা কামনা করেন? আরও একটি কথা, খালেদার রায়ের সময়টি প্রশ্নসাপেক্ষ। মামলার টাকা কিন্তু কেউ মেরে খেতে পারেনি। যারা চেষ্টা করেছিলো তারা আবার টাকাটা জমা দিয়ে দিয়েছে। অতএব এগুলো (মামলা) ঠিক না। দেশে যে হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি যাচ্ছে, এই বাপারেও তো সরকারের দায় আছে। এগুলোর কিছু হচ্ছে না। জানতে চাওয়া হয়, নির্বাচন কি আদৌ হবে? ব্যারিস্টার মইনুল বলেন, আমার মনে হয় না আওয়ামী লীগ খালেদা জিয়াকে বাইরে রেখে নির্বাচনে যাওয়ার নির্বুদ্ধিতা করবে। সার্বিক পরিস্থিতি ভাবলে- খালেদার বেইল হবেই। তবে দিনশেষে তো সবকিছু সরকারের ওপর নির্ভর করে।
অতএব, চরম একটা শঙ্কার দিকে দেশ যেতে পারে। আমি অনেক আগে থেকেই বলে আসছি- বিপদ ঘনীভূত হচ্ছে। যদি বর্তমান নেতৃত্ব সত্যিকার ম্যাচিউর হতো, তবে নির্বাচনী বছরে এমন অসমীচীন রায় দিতো না। এ সময় সঞ্চালক বলেন, আইন তো আইনের পথে চলবে। পদাধিকার যাই হোক, কেউ-ই তো আইনের ঊর্র্ধ্বে নয়। তা তিনি হোন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। ব্যারিস্টার মইনুল বলেন, অবশ্যই। নিরপেক্ষ আইনি ব্যবস্থায় তো তাই হয়। তবে বর্তমানে দেশে যে অবস্থা বিরাজ করছে সে অনুযায়ী দেখলে সরকারের বর্তমান আচরণ হচ্ছে- ‘আমার কথাই আইন। আমার পুলিশ-ই আমার শক্তি’। এভাবে সভ্য সমাজে আইনের শাসন হয় না। বিচারবিভাগ নিয়ে রাজনীতি কেউ করে না। আমাদের দেশে তো বিচারবিভাগ নিয়েই রাজনীতি করা হয়। এটা করে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ রাজনীতির দিকে যাচ্ছি। আইন সমভাবে প্রয়োগ হচ্ছে না। এখন বিচারবিভাগ নিয়ে নানান খেলা হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি একজনকে বিদায় করে দেয়া হলো। আরেকজন যার হওয়ার কথা তাকে হতে দেয়া হলো না। এ সময় সঞ্চালক প্রশ্ন করেন, এস কে সিনহা প্রধান বিচারপতির পদ থেকে কোনোরকম সাহস প্রদর্শন না করে চলে গেলেন, এটা কি ঠিক হয়েছে? তিনি তো অনেক কিছুই করতে পারতেন। জবাবে ব্যারিস্টার মইনুল বলেন, সত্যি কথা বলতে কি আমরা সবাই একটা ভয়ের ভেতর আছি। এভাবে বিচার বিভাগে নিয়ম কানুন ভেঙে জুডিশিয়ারির প্রতি যে শ্রদ্ধার অভাব দেখানো হচ্ছে, এটা ভালো না। এস কে সিনহা এমনিতেই দেড় মাসের মধ্যে অবসরে চলে যেতেন। হঠাৎ বলা হলো তার বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ আছে। কই একটাও তো শুরু হতে দেখছি না। জনগণের প্রতি তো সরকারের একটা দায়িত্ব আছে। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে এতোগুলো কথা বলে তিনি যাওয়ার পরে এসব অভিযোগের একটি প্রমাণও তো দেখানো হলো না। এটা কিভাবে গ্রহণযোগ্য? অবশ্য আজকে বিএনপিকে আমি বলবো, তারা নিজেরাও ক্ষমতার সময় বিচারবিভাগকে স্বাধীনতা দেয়নি। এখন আওয়ামী লীগও দিচ্ছে না। যেহেতু নিজেদের সময় বিচার বিভাগকে নিরপেক্ষ রাখেননি, এখন এসে কিভাবে বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা কামনা করেন? আরও একটি কথা, খালেদার রায়ের সময়টি প্রশ্নসাপেক্ষ। মামলার টাকা কিন্তু কেউ মেরে খেতে পারেনি। যারা চেষ্টা করেছিলো তারা আবার টাকাটা জমা দিয়ে দিয়েছে। অতএব এগুলো (মামলা) ঠিক না। দেশে যে হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি যাচ্ছে, এই বাপারেও তো সরকারের দায় আছে। এগুলোর কিছু হচ্ছে না। জানতে চাওয়া হয়, নির্বাচন কি আদৌ হবে? ব্যারিস্টার মইনুল বলেন, আমার মনে হয় না আওয়ামী লীগ খালেদা জিয়াকে বাইরে রেখে নির্বাচনে যাওয়ার নির্বুদ্ধিতা করবে। সার্বিক পরিস্থিতি ভাবলে- খালেদার বেইল হবেই। তবে দিনশেষে তো সবকিছু সরকারের ওপর নির্ভর করে।
No comments