শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের মিশন by ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী
এখন
সম্ভবত কারো মনে কোনো সংশয় নেই যে, নুরুল ইসলাম নাহিদের মতো একজন ব্যক্তি
শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হওয়াকে ত্বরান্বিতই করেছেন। এটি
একেবারে শুরু থেকেই সত্য। তিনি মন্ত্রীর চেয়ারে বসার পর থেকে নানা
ঘাত-প্রতিঘাত অতিক্রম করছে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা। কত যে ‘রঙ তামাশা’ তিনি
শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে করেছেন, তার কোনো ইয়ত্তা নেই। একেবারে কোমলমতি শিশু
থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত খোলনলচে তিনি বদলে দেয়ার চেষ্টা করেন
এবং এখন বলা যায় সে ক্ষেত্রে তিনি বহুলাংশে সফলও হয়েছেন। কোমলমতি
শিক্ষার্থীদের বই নিয়ে এমন সব মশকারা করা হয়েছে, যেগুলো জাতির দৃষ্টিতে
ক্ষমার অযোগ্য। প্রতিষ্ঠিত লেখকদের লেখা ওলটপালট করে দেয়া হলেও তা দেখার বা
তার ওপর নজরদারির কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ছাপার ভুল, বানান ভুল, ভুল
কবিতা- এসব সংযোজন করে বাংলা সাহিত্যের বরেণ্য লেখকদের সাথে ইয়ার্কি করতে
মন্ত্রণালয় কসুর করেনি। ফলে একেবারেই প্রাথমিক স্তর থেকে শিক্ষার্থীরা ভুল ও
মতলবি শিক্ষা নিয়ে অগ্রসর হতে বাধ্য হয়েছে। এমন অবস্থা অতীতে বাংলাদেশে তো
বটেই, পাকিস্তান আমলেও কখনো তৈরি হয়নি। এখানেই শেষ নয়, এই মন্ত্রীর আমলে
শিক্ষাব্যবস্থাকে ক্লাসরুম থেকে বের করে কোচিং সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কোচিং সেন্টার আগেও ছিল, কিন্তু শিক্ষাব্যবস্থা এতটা কোচিংনির্ভর আগে কখনো
ছিল না। এর কারণ, পরীক্ষা। পঞ্চম শ্রেণীতে একটি সার্টিফিকেট পরীক্ষা, অষ্টম
শ্রেণীতে একটি সার্টিফিকেট পরীক্ষা, দশম শ্রেণীতে একটি সার্টিফিকেট
পরীক্ষা। এত পরীক্ষার ফলে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার আনন্দ ভুলে গেছে। তাই এখন
লেখাপড়ার মানে দাঁড়াচ্ছে শুধু পরীক্ষা। অভিভাবকেরা সারা দিন শিশুদের হাত
ধরে এ কোচিং সেন্টার থেকে সে কোচিং সেন্টারে ছোটাছুটি করছেন। তাতে শিক্ষার
মান কিছু অর্জিত হচ্ছে না, বরং অতিরিক্ত পরীক্ষার চাপে শিক্ষার্থীদের জীবনে
পড়াশোনার ভীতি ঢুকে গেছে। এতে নষ্ট হচ্ছে সৃষ্টিশীলতা, নষ্ট হচ্ছে স্কুলে
যাওয়ার আনন্দ এবং শিক্ষার্থীর জীবন। পাসই শিক্ষাজীবনের মূল কথা বা চূড়ান্ত
লক্ষ্য নয়, আসল কথা হলো- জ্ঞান অর্জন। শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ তার বারোটা
বাজিয়ে দিয়েছেন। শিক্ষা থেকে জ্ঞান এখন বহুদূরে। আমরাও তো স্কুল-কলেজে
পড়েছি, সেখানে স্কুলে যাওয়ার আনন্দই ভিন্ন ছিল। প্রাইভেট যে পড়িনি এমন নয়,
ছাত্ররা যে বিষয়ে দুর্বল শুধু সে বিষয়ে প্রাইভেট পড়েছে। অষ্টম শ্রেণীর
বৃত্তি পরীক্ষার আগে স্কুলগুলো প্রতিযোগিতার কারণে বৃত্তি পরীক্ষার্থীদের
হোস্টেলে এনে রাখত। সেখানে তাদের বিশেষভাবে লেখাপড়া করানো হতো। যে স্কুলের
বেশি ছাত্র যত বৃত্তি পেত, সে স্কুলের তত বেশি সম্মান হতো। এমনিভাবে এসএসসি
পরীক্ষায় যে স্কুলের ছেলেমেয়েরা ফার্স্ট ডিভিশন বেশি পেত, সে স্কুলের
মর্যাদা অনেক বেশি হতো। ছাত্রসংখ্যাও বাড়ত। এ ছাড়া ছিল ক্রীড়া প্রতিযোগিতা,
দেয়াল পত্রিকা বের করা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠান, নাটক
মঞ্চস্থ করা, লাইব্রেরিতে পড়াশোনা- এসব মিলে আমরা একটা আনন্দময় জীবন
কাটিয়েছি। স্কুলে যাওয়ার জন্য কত যে পরিশ্রম আমাদের শৈশবে করতে হয়েছে, তার
শেষ নেই। কখনো নদী সাঁতরেছি, খাল সাঁতরেছি, অতিরিক্ত কাপড় পরে ভেজা কাপড়
স্কুলের মাঠে শুকাতে দিয়ে তারপর ক্লাসরুমে ঢুকেছি। প্রতিদিনের পড়া তৈরি
করতে রাত জেগেছি। প্রতিযোগিতা ছিল, যেন শিক্ষকেরা প্রশ্ন করলে সব প্রশ্নের
জবাব দিতে পারি। এখনকার আমলে সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। এমনকি, ক্লাসরুম থেকেও
উঠে গেছে পড়াশোনা। শিক্ষকেরা কোচিংকে বাণিজ্য হিসেবে নিয়েছেন। বহু শিক্ষক
স্কুলের আশপাশে বাড়ি ভাড়া করে কোচিং সেন্টার চালাচ্ছেন। কারণ, সেটাই
লাভজনক। কিন্তু এর ফলে যা হয়েছে, তা হলোÑ শিক্ষা থেকে জ্ঞান মুছে গেছে। এখন
নিছক পরীক্ষা পাসের প্রতিযোগিতা। সে প্রতিযোগিতায় মদদ দিতে গিয়ে শিক্ষা
মন্ত্রণালয় আরেক দফা শিক্ষার দফারফা করেছে। পাসের হার নাকি বাড়িয়ে দেখাতে
হবে। এ জন্য এমন সব মন্দ পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে, যা শিক্ষার জন্য সর্বনাশ
ডেকে এনেছে। এসএসসি পরীক্ষায় ‘শতভাগ পাস’ দেখানোর জন্য করা হয়েছে অমন বাজে
ব্যবস্থা। সরকারের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে পরীক্ষকদের বলা হয়েছে, কেউ
যেন ফেল না করে। যেখানে ন্যূনতম পাস মার্ক ১০০-তে ৩৩, সেখানে ২৪ পেলে পাস
করানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এতে বিবেকের তাড়নায় বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা
পরীক্ষকের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। যদি কেউ ফেল করে, তাহলে সরকারের প্রজ্ঞাপন
অনুসারে এ জন্য পরীক্ষককেই লিখিতভাবে জবাবদিহি করতে হবে। এ কেমন হীরক
রাজার রাজত্ব? কোনো স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়া করানো হয়নি, ক্লাসরুমের
পড়াশোনা ঠিকমতো হয়নি, শিক্ষক ঠিকমতো ক্লাস নেননি কিংবা শিক্ষকের অভাব
রয়েছে; সে দায়িত্ব কেন দূরবর্তী কোনো স্কুলের পরীক্ষক গ্রহণ করবেন? কিন্তু এ
মন্ত্রী সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতেই বাধ্য করেছেন। তার পর হাসিমুখে ক্যামেরার
সামনে বলেছেন, আমাদের আমলে শিক্ষার এতটাই উন্নতি হয়েছে যে, প্রায় শতভাগ
শিক্ষার্থীই পাস করছে। পাস তো করিয়েই দিলেন, কিন্তু তারপর এরা যাবে কোথায়?
জ্ঞান তো তাদের নেই। ছাত্রদের জ্ঞানার্জনের জন্য কী ব্যবস্থা সরকার কর্তৃক
গৃহীত হয়েছে? যা হয়েছে তা হলো জিপিএ ৫-এর ঢল নেমেছে। কিন্তু তারাই যখন
বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করেছে, তখন দেখা গেছে
জিপিএ ৫ বা গোল্ডেন জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থী পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি
পরীক্ষায় পাস মার্ক পর্যন্ত তুলতে পারেনি। যতই জিপিএ ৫, গোল্ডেন জিপিএ ৫
হোক না কেন, আউট। অর্থাৎ হাজার হাজার ছেলেমেয়েকে তাদের যোগ্যতার অতিরিক্ত
নম্বর দিয়ে ‘পাস’ করিয়ে রাস্তায় ঠেলে দিয়েছেন এই মন্ত্রী। ওই পরীক্ষার্থীরা
ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেনি। তারা সার্টিফিকেট বিক্রেতা
নামসর্বস্ব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে আবারো প্রতারণার শিকার হয়েছে।
সার্টিফিকেট হয়তো কিনল, কিন্তু কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের সুযোগ সীমিত হয়েই
থাকল। বরং যারা জ্ঞান অর্জন করার চেষ্টা করেছে, শেষ পর্যন্ত জিপিএ ৫ বা
গোল্ডেন জিপিএ ৫ পাক বা না পাক, তারাই টিকে থেকেছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়,
সাধারণ স্কুল-হাইস্কুলের বা কলেজের শিক্ষার্থীদের চেয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে
মাদরাসা শিক্ষার্থীরা অধিক জ্ঞানের পরিচয় দিয়েছে। তাতে স্পষ্টতই বোঝা যায়,
মাদরাসায় বরং শিক্ষাব্যবস্থা এখনো অনেকখানি ক্লাসরুমমুখী। যদিও মন্ত্রী
সাহেব ও তার সহযোগী বুদ্ধিজীবীরা এতে ‘গেল গেল’ বলে শোর তুলেছেন। কিন্তু
তাতে লাভ হয়নি কিছুই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক তো এই অবস্থা দেখে
বলেই ফেললেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন একটি বড় ধরনের মাদরাসা। এই শিক্ষকের
লজ্জা পাওয়া উচিত ছিল যে, তার সহযোগীরা কলেজগুলোতে কী পড়ান, যার জন্য
সেখানে শিক্ষার মান কেবলই পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু সেদিকে খেয়াল করেননি মন্ত্রী
থেকে শুরু করে ওই শিক্ষকদের কেউ। আর পরীক্ষার বোঝা চাপিয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে
একেবারেই পঙ্গু করে ফেলা হয়েছে। যেখানে পরীক্ষাই সব, সেখানে নকল হওয়ার
প্রবণতা তো থাকবেই।
সুতরাং প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস করছেন
বহু ক্ষেত্রে শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা, ছাপাখানার কর্মচারী-কর্মকর্তারা
এবং সরকারের আপনজন ছাত্রলীগ। ফাঁস হতে হতে এমন কোনো পাবলিক পরীক্ষা নেই,
যার প্রশ্নপত্র এখন আর ফাঁস হয় না। এখন এসএসসি পরীক্ষা চলছে। প্রতিদিন
প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে। মন্ত্রী কিছু দিন তড়বড় করলেন। ‘প্রশ্ন ফাঁস হলেই
পরীক্ষা বন্ধ। ধরিয়ে দিতে পারলে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার।’ তারপর একেবারে
চুপ মেরে গেছেন। এখন বলছেন, ‘প্রশ্নফাঁস ঠেকানো যাবে না’। কেন যাবে না? এ
বিষয়ে তার কাছে কোনো জবাব নেই। তার সচিব বলে বসলেন, প্রশ্নফাঁস যখন ঠেকানো
যাবে না, বই খুলে পরীক্ষা দেয়ার বিধান করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এসব
শুনে বলতে হয়, অশিক্ষিত গাছে ধরে না, এটাও অশিক্ষারই ফল। সরকার
প্রশ্নফাঁসের আসল কারিগরদের ধরতে পারেনি কিংবা ধরতে চাইছে না। অথবা ধরার
সাধ্য তাদের নেই। এরা একটি শক্তিশালী চক্র এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যে
সর্বগ্রাসী দুর্নীতি বাসা বেঁধেছে, সে চক্রের অংশীদার। ফলে এই মন্ত্রণালয়
এখন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়ে উঠেছে। যদি কোনো শিক্ষার্থীর কাছে
ফাঁসকৃত প্রশ্ন পাওয়া যায়, তবে তাকে গ্রেফতার করা শুরু হয়েছে। যদি কোনো
শিক্ষার্থী শোনে যে, প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে, তাহলে কৌত‚হলবশত সেই ফাঁসকৃত
প্রশ্নটি দেখার আগ্রহ প্রকাশ করবে। তখন তাকে খপ করে ধরে ফেলা হবে। এটা যেন
গোদের উপর বিষফোঁড়া। এই শিক্ষার্থী কৌত‚হলবশত ফাঁসকৃত প্রশ্ন দেখতে
গিয়েছিল, কিন্তু অদ্ভুত সরকার আটক করে জেলে পুরে এই শিক্ষার্থীদের জীবন
থেকে একটি বছর কেড়ে নিয়েছে। এর জবাবদিহিতা কে করবে? এর পেছনে যুক্তি কী? যে
চক্র প্রশ্ন ফাঁস করছে, তারা নাহিদ সাহেবদের আদরের দুলাল। অতএব, তারা
ধরাছোঁয়ার বাইরে। ভোগান্তি যত সাধারণ শিক্ষার্থীর। এটা কোনো ন্যায়বিচার
নয়। এ দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঠিকই আঁচ করতে পেরেছে, এভাবে শিক্ষাব্যবস্থা
ধ্বংস করে দেয়ার জন্য একদিন তাদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াতে হতে পারে। আর
সেজন্যই তারা প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি চেয়েছে। অবাক কাণ্ড! তারা
বুঝতে পেরেছে, প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি একটি অপরাধ; কিন্তু এ অপরাধ যেন তাদের
স্পর্শ করতে না পারে তার আগাম দায়মুক্তির প্রার্থনা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে
যেকোনো সময় দায়মুক্তি দিয়ে দেয়া হতেও পারে। র্যাব পুলিশ যদি তাদের অপরাধের
জন্য দায়মুক্তি পায়, তাহলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কী দোষ করেছে? ডিজিটাল
নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারা অনুযায়ী সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত
প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্নীতিবাজদের দায়মুক্তি দেয়া হচ্ছে। সংবাদপত্রগুলো তাদের
দুর্নীতির কোনো খবর আর প্রকাশ করতে পারবে না। যদি প্রকাশ করে তবে,
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কঠোর দণ্ডের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অর্থাৎ সর্বত্রই
সরকার নিজে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নানা ধরনের দায়মুক্তি দিয়ে যাচ্ছে। এ
কারণেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় সাহস পেয়েছে এই দায়মুক্তি চাইবার। তবে অবাক কাণ্ড
হচ্ছে, এই বাংলাদেশে শত শত ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ‘এ’ লেভেল, ‘ও’ লেভেল
পরীক্ষা হচ্ছে। তার প্রশ্ন কোনো দিন ফাঁস হয়নি। ফাঁস করার কথা কেউ কল্পনাও
করেনি। সেটা কিভাবে সম্ভব? দেশের উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা ‘এ’ লেভেল,
‘ও’ লেভেলে পড়ে। তাদের শিক্ষা মোটামুটি মানসম্মতভাবেই প্রসারিত হচ্ছে এবং
ধারণা করা যায়, ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে মেধার ক্ষেত্রে তারাই সামনে থাকবে। থাকবে
উন্নতমানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সামনের সারিতে। অথবা তারা পড়তে যাবে
বিদেশে। বিদেশী ডিগ্রি নিয়ে এসে প্রশ্নফাঁসের শিক্ষার্থীদের দু’পায়ে গুটিয়ে
দেবে। সরকার এমন আয়োজনই করেছে, যাতে সাধারণ মানুষের সন্তানদের শিক্ষা
একেবারে প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। এর একটা
বিহিত হওয়া প্রয়োজন। বুদ্ধিজীবীরা প্রশ্নফাঁসের মহোৎসব দেখে বলতে শুরু
করেছেন, শিক্ষাব্যবস্থা থেকে পরীক্ষার বোঝা দূর করে ক্লাসরুমের পড়াশোনাকে
আনন্দময় করে তোলা হোক; যাতে কোচিং সেন্টারের দিকে না দৌড়ে ক্লাসরুমের
শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এই সরকার গৃহীত
বিভিন্ন পদক্ষেপ শিক্ষাব্যবস্থাকে কেবল ধ্বংসের দিকেই ঠেলে দিতে থাকবে।
লেখক : সাংবাদিক ও সাহিত্যিক
rezwansiddiqui@yahoo.com
লেখক : সাংবাদিক ও সাহিত্যিক
rezwansiddiqui@yahoo.com
No comments