নেতানিয়াহু : এর পর কী হবে?
বেনিয়ামিন
নেতানিয়াহু তার প্রজন্মের নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী। বার্তা
সংস্থা রয়টার্সের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক
পর্যায়ে লিকুদ পার্টিতে ব্যাপক পরিসরে ‘বিবি’ নামে পরিচিত নেতানিয়াহুর
প্রতিদ্বন্দ্বী এখনো কেউ নেই। ইসরাইলি পুলিশ সুপারিশ করেছে, ৬৮ বছর বয়সী
এবং চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত এই প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে ঘুষ ও দুর্নীতির
দু’টি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন। এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না যে, মামলায়
তিনি অভিযুক্ত প্রমাণিত হবেনই। পুলিশ কেবল সুপারিশ করতে পারে। এটি নির্ভর
করছে ইসরাইলি অ্যাটর্নি জেনারেল আভিচাই মান্ডেবলিটের ওপর। সিদ্ধান্তে
পৌঁছতে এখনো একমাস সময় লাগবে। তবে একটি বিষয় খুব পরিষ্কার, ইসরাইলে
ক্ষমতাসীন ডানপন্থী জোটের ব্যাপারে মামলার প্রসিকিউটর সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ
করছেন। এই প্রক্রিয়া রাজনৈতিক সমর্থক, বিরোধী পক্ষ এবং জোটের ভেতরকার
বিরোধী মত, এমনকি রাজনৈতিক জোট গঠনের বিন্যাসকেও প্রভাবিত করবে।
নেতানিয়াহুর ক্যারিয়ারের জন্য সতর্কবার্তা হলো, তার জায়গায় সম্ভাবনাময় কোনো
প্রার্থী চলে আসতে পারেন। নেতৃত্বের এই পরিবর্তন প্রভাব ফেলবে
ইসরাইল-ফিলিস্তিন সঙ্ঘাতে এবং মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ইরান, সিরিয়া, সৌদি আরব,
তুরস্ক ও অন্যান্য প্রভাশালী দেশগুলো সতর্ক দৃষ্টি রাখছে এ ব্যাপারে।
পুলিশের সুপারিশ অনুযায়ী, অবশ্য নেতানিয়াহুর এখনই পদ ছাড়তে আইনি
বাধ্যবাধকতা নেই। এমনকি, আইনি লড়াই চালানোর সময়ও তিনি স্বপদে থাকতে পারবেন।
পুলিশের ওই সুপারিশ তৈরির খবর চাউর হওয়ার পর এমনও শোনা গেছে যে, সাধারণ
মানুষের ম্যান্ডেট পেতে নেতানিয়াহু আগাম নির্বাচন দেবেন, যাতে করে
প্রসিকিউটর তার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আগে ভাবতে বাধ্য হন। যাই হোক, বিগত কয়েক
মাসের বেশ কিছু নির্বাচনে দেখা গেছে, নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে
এবং তিনি নিজেও এক টেলিভিশন বক্তৃতায় বলেছেন, পরবর্তী নির্বাচন নির্ধারিত
সময়ে হবে। তিনি বলেছেন, এই নির্বাচন ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসের আগে হচ্ছে
না। নেতানিয়াহু ১৯৯৬ সাল থেকেই কয়েক দফায় ক্ষমতায় থেকেছেন। কট্টরপন্থী
ইতিহাসবিদ বাবার ছেলে নেতানিয়াহু জন্ম গ্রহণ করেন ১৯৪৯ সালে তেল আবিবে।
১৯৬০ সালে তিনি বাবার সাথে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়ে ছিলেন। তিন ভাই এর
মধ্যে নেতানিয়াহু মেজো। তিনজনের সবাই কাজ করেছেন এলিট ইসরাইলি কমান্ডো
ইউনিটে। সবার বড় ইয়োনাতান ইয়োনি নেতানিয়াহু ১৯৭৬ সালে জাতীয় বীর খেতাবে
ভূষিত হন। চরমপন্থী ফিলিস্তিনি ও পশ্চিম জার্মান অপহরণকারী কর্তৃক উগান্ডার
এন্টেব্বি বিমানবন্দরে জিম্মি করা ইসরাইলি ও অন্য আরোহীদের উদ্ধার করতে
গিয়ে তিনি মারা যান। নেতানিয়াহু বলেছেন, তার জীবন ও বর্তমান সময়ের
পথপরিক্রমা পাল্টে দিয়েছে তার ভাইয়ের এই মৃত্যু। মার্কিন উচ্চারণ রীতিতে
ইংরেজিতে কথা বলতে পারদর্শী নেতানিয়াহু দেশের ভেতরে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে
নজর কাড়েন ১৯৮৭ সালে প্রথম ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদা ছড়িয়ে পড়ার সময় জাতিসঙ্ঘে
ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত থাকাকালে। আইজাক রবিন ১৯৯৫ সালে নিহত হলে পরের বছরই
ইসরাইলে জন্মগ্রহণকারী ও সর্বকনিষ্ঠ নেতা হিসেবে নেতানিয়াহু প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচিত হন।
অসলো ঘোষণার বিরোধিতা সত্ত্বেও নেতানিয়াহু পশ্চিম তীরের হেবরন শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফিলিস্তিনি বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে আরাফাতের সাথে কাজ করেছেন, এমনকি জনসমক্ষে হাতও মিলিয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার প্রথম মেয়াদকে ব্যর্থই মনে করা হয়। তার সমালোচকদের আক্রমণকে তিনি নেতৃত্বে ভাঙন ধরানোর উদ্যোগ হিসেবে দেখেন এবং ১৯৯৯ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পর তিনি ইসরাইলি রাজনৈতিক অঙ্গনে দ্বিতীয় সারির নেতা হিসেবে সময় কাটিয়েছেন। এমনকি সাবেক জেনারেল অ্যারিয়েল শ্যারনের নেতৃত্বাধীন তার নিজের দল লিকুদ পার্টিতেও তিনি অনেকটা নিষ্প্রভই ছিলেন। শ্যারন লিকুদ পার্টি ছেড়ে দিলে এবং ২০০৫ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে প্রথম মেয়াদের ১০ বছর পর নেতানিয়াহু ২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ইসরাইলে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৫ সালে। চলতি মেয়াদের পুরো চার বছর শেষ করে ২০১৯ সালের নভেম্বরে পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকলে নেতানিয়াহু হবেন ইসরাইলের দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে তার সম্পর্ক খুব উষ্ণ। এমনকি গত ৬ ডিসেম্বর দীর্ঘ দিনের মার্কিন নীতি পাল্টে ফেলেন ট্রাম্প। জেরুসালেমকে তিনি স্বীকৃতি দেন ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে। সেই সাথে ঘোষণা দেন মার্কিন দূতাবাস এই শহরে সরিয়ে আনার। এই দুটো পরিবর্তনই ঘটেছে নেতানিয়াহুর সময়ে এবং ইসরাইলিদের কাছে তা খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যদিও পূর্ব জেরুসালেমকে নিজেদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী করতে আগ্রহী ফিলিস্তিনি জনগণ, মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিবিদ ও ধর্মীয় নেতারা ঘোষণা বর্জন করেছেন। ট্রাম্পের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করতে পেরে নেতানিয়াহু এমনই গর্বিত যে, তাদের দু’জনের করমর্দনের ছবি তিনি পোস্ট করেছেন নিজের ফেসবুক পেইজের একেবারে ওপরে। সাধারণ ইসরাইলিদের প্রভাবিত করতে নেতানিয়াহু বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশের প্রেসিডেন্টের সাথে সুসম্পর্কের বিষয় তুলে ধরতে চান ফলাও করে। মতামত জরিপ বলছে, নেতানিয়াহু ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হলে বিরোধী মধ্যপন্থী ইয়েশ আতিদ দলের প্রধান ইয়াইর লাপিদ হতে পারেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রার্থী। তবে অন্য প্রার্থীরাও প্রতিযোগিতার দৌড়ে ভালোই করবেন এবং ক্ষমতাকেন্দ্রিক জোট গঠনে ভূমিকা রাখবেন। নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির নেতারাও তার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার দৌড়ে বিবেচনায় আছেন। তাদের মধ্যে জননিরাপত্তামন্ত্রী গিলাদ এরদান, গোয়েন্দামন্ত্রী ইসরায়েল কার্টস এবং সাবেক শিক্ষামন্ত্রী গিডিওন সার অন্যতম। এদের কেউই নেতানিয়াহুর কট্টর নীতি থেকে বের হয়ে আসার ব্যাপারে জোর মনোভাব দেখাননি। নেতানিয়াহুর দলের বাইরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগদর লিবারম্যান এবং শিক্ষামন্ত্রী নাফতালি বেনেট হতে পারেন সম্ভাব্য প্রার্থী। উভয় চরম ডানপন্থী দলই নেতানিয়াহু সরকারের শরিক। নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক ভবিষ্যতের এই কালো মেঘ, ২০১৪ সালে থমকে যাওয়া ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনাকে আরো অনিশ্চয়তায় ফেলবে। নেতানিয়াহু যদি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং তার আসনে লিকুদ পার্টিরই কোনো নেতা বসেন, তবে তার দরকার হবে কেন্দ্রীয় চরমপন্থী নেতাদের সমর্থন। এই কেন্দ্রীয় কমিটি বিগত ডিসেম্বরেই এমন এক প্রস্তাব পাশ করেছে যাতে বলা হয়েছে, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে দখল করে নেয়া পশ্চিম তীরের সীমানা আরো সম্প্রসারণ করা হবে। অথচ ফিলিস্তিনিরা চায়, এই পশ্চিম তীরকে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের অংশ বানাতে। সিরিয়া ও লেবানন সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনা এখনো অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রধান নিয়ামক হয়ে উঠতে পারেনি। নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা বলছেন, নেতানিয়াহুর ব্যাপারে যেসব আইনগত সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা ইসরাইলের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে বলে তারা মনে করেন না।
মিডল ইস্ট মনিটর থেকে ভাষান্তর করেছেন মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম
অসলো ঘোষণার বিরোধিতা সত্ত্বেও নেতানিয়াহু পশ্চিম তীরের হেবরন শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফিলিস্তিনি বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে আরাফাতের সাথে কাজ করেছেন, এমনকি জনসমক্ষে হাতও মিলিয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার প্রথম মেয়াদকে ব্যর্থই মনে করা হয়। তার সমালোচকদের আক্রমণকে তিনি নেতৃত্বে ভাঙন ধরানোর উদ্যোগ হিসেবে দেখেন এবং ১৯৯৯ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পর তিনি ইসরাইলি রাজনৈতিক অঙ্গনে দ্বিতীয় সারির নেতা হিসেবে সময় কাটিয়েছেন। এমনকি সাবেক জেনারেল অ্যারিয়েল শ্যারনের নেতৃত্বাধীন তার নিজের দল লিকুদ পার্টিতেও তিনি অনেকটা নিষ্প্রভই ছিলেন। শ্যারন লিকুদ পার্টি ছেড়ে দিলে এবং ২০০৫ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে প্রথম মেয়াদের ১০ বছর পর নেতানিয়াহু ২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ইসরাইলে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৫ সালে। চলতি মেয়াদের পুরো চার বছর শেষ করে ২০১৯ সালের নভেম্বরে পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকলে নেতানিয়াহু হবেন ইসরাইলের দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে তার সম্পর্ক খুব উষ্ণ। এমনকি গত ৬ ডিসেম্বর দীর্ঘ দিনের মার্কিন নীতি পাল্টে ফেলেন ট্রাম্প। জেরুসালেমকে তিনি স্বীকৃতি দেন ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে। সেই সাথে ঘোষণা দেন মার্কিন দূতাবাস এই শহরে সরিয়ে আনার। এই দুটো পরিবর্তনই ঘটেছে নেতানিয়াহুর সময়ে এবং ইসরাইলিদের কাছে তা খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যদিও পূর্ব জেরুসালেমকে নিজেদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী করতে আগ্রহী ফিলিস্তিনি জনগণ, মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিবিদ ও ধর্মীয় নেতারা ঘোষণা বর্জন করেছেন। ট্রাম্পের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করতে পেরে নেতানিয়াহু এমনই গর্বিত যে, তাদের দু’জনের করমর্দনের ছবি তিনি পোস্ট করেছেন নিজের ফেসবুক পেইজের একেবারে ওপরে। সাধারণ ইসরাইলিদের প্রভাবিত করতে নেতানিয়াহু বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশের প্রেসিডেন্টের সাথে সুসম্পর্কের বিষয় তুলে ধরতে চান ফলাও করে। মতামত জরিপ বলছে, নেতানিয়াহু ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হলে বিরোধী মধ্যপন্থী ইয়েশ আতিদ দলের প্রধান ইয়াইর লাপিদ হতে পারেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রার্থী। তবে অন্য প্রার্থীরাও প্রতিযোগিতার দৌড়ে ভালোই করবেন এবং ক্ষমতাকেন্দ্রিক জোট গঠনে ভূমিকা রাখবেন। নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির নেতারাও তার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার দৌড়ে বিবেচনায় আছেন। তাদের মধ্যে জননিরাপত্তামন্ত্রী গিলাদ এরদান, গোয়েন্দামন্ত্রী ইসরায়েল কার্টস এবং সাবেক শিক্ষামন্ত্রী গিডিওন সার অন্যতম। এদের কেউই নেতানিয়াহুর কট্টর নীতি থেকে বের হয়ে আসার ব্যাপারে জোর মনোভাব দেখাননি। নেতানিয়াহুর দলের বাইরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগদর লিবারম্যান এবং শিক্ষামন্ত্রী নাফতালি বেনেট হতে পারেন সম্ভাব্য প্রার্থী। উভয় চরম ডানপন্থী দলই নেতানিয়াহু সরকারের শরিক। নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক ভবিষ্যতের এই কালো মেঘ, ২০১৪ সালে থমকে যাওয়া ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনাকে আরো অনিশ্চয়তায় ফেলবে। নেতানিয়াহু যদি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং তার আসনে লিকুদ পার্টিরই কোনো নেতা বসেন, তবে তার দরকার হবে কেন্দ্রীয় চরমপন্থী নেতাদের সমর্থন। এই কেন্দ্রীয় কমিটি বিগত ডিসেম্বরেই এমন এক প্রস্তাব পাশ করেছে যাতে বলা হয়েছে, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে দখল করে নেয়া পশ্চিম তীরের সীমানা আরো সম্প্রসারণ করা হবে। অথচ ফিলিস্তিনিরা চায়, এই পশ্চিম তীরকে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের অংশ বানাতে। সিরিয়া ও লেবানন সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনা এখনো অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রধান নিয়ামক হয়ে উঠতে পারেনি। নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা বলছেন, নেতানিয়াহুর ব্যাপারে যেসব আইনগত সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা ইসরাইলের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে বলে তারা মনে করেন না।
মিডল ইস্ট মনিটর থেকে ভাষান্তর করেছেন মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম
No comments