ইসরাইলকে পরীক্ষা করবেন না
ইসরাইলকে
পরীক্ষা করবেন না বলে ইরানকে সরাসরি হুমকি দিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী
বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। শনিবার জার্মানির মিউনিখে চলমান নিরাপত্তা সম্মেলনে
একটি ড্রোন বিমানের ধ্বংসাবশেষ হাতে হাজির হন নেতানিয়াহু। তার অভিযোগ,
ড্রোন বিমানটি ইরান ইসরাইলে পাঠিয়েছিল।
পরে একটি ধ্বংসাবশেষ হাতে তুলে ধরে
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জাফরিকে লক্ষ্য করে বলেন, ‘আপনি
এটা চিনতে পারছেন? আপনার পারা উচিত। এটা আপনাদেরই। আমাদের পরীক্ষা করবেন
না!’এ সময় ইরানকে ‘বিশ্বের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়ে
নেতানিয়াহু বলেন, ‘ইসরাইল তার আশপাশের অঞ্চলে ইরানকে নাক গলাতে দেবে না।’
এর আগে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের পরমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির
চূড়ান্ত ধাপের সচিত্র অবস্থা তুলে ধরেন নেতানিয়াহু। খবর এএফপির। তিন দিনের
ওই দ্বিতীয় দিনের বক্তব্যে নেতানিয়াহু ২০১৫ সালে করা ইরানের পরমাণু
চুক্তিকে ১৯৩৮ সালে জার্মানির নাৎসি বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণের জন্য করা মিউনিখ
চুক্তির সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, ওই চুক্তির মাধ্যমে ‘বিপজ্জনক ইরানি
বাঘকে মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।’ সম্মেলনে ইরানের প্রতিনিধি ও
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জাফরিকে মিথ্যাবাদী বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন।
তিনি তাকে ‘ইরান সরকারের সুন্দর মুখপাত্র, যিনি গুছিয়ে মিথ্যা বলতে পারেন’
বলে অভিহিত করেন। নেতানিয়াহু বলেন, ‘গত সপ্তাহে ইসরাইলি সীমান্তে
সেনাবাহিনীর গুলিতে বিধ্বস্ত হওয়া ড্রোন বিমানটি যে তারাই পাঠিয়েছে তা
মিথ্যাচার করে অস্বীকার করেছে ইরান।’
গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো ইসরাইল ও
ইরানি সামরিক বাহিনীর মুখোমুখি অবস্থান নেয়ার পর এ উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
একটি ইরানি ড্রোন বিমান সিরিয়া-ইসরাইল সীমান্ত অতিক্রম করেছে অভিযোগ করে
ইসরাইল। একই দিন সিরিয়ায় ইরানি সামরিক বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান
হামলা চালায় ইসরাইল। ওই সময় সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী ইসরাইলের একটি
এফ-১৬ বিমান গুলি করে ভূপাতিত করে। বলা হচ্ছে, ২০০৬ সালের পর এ প্রথমবারের
মতো কোনো ইসরাইলি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হলা এরপর থেকে নেতানিয়াহু বলে
আসছেন, ইরান নির্লজ্জভাবে ইসরাইলের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করছে।
No comments