কৃত্রিম চাঁদের আলোয় আলোকিত ভিক্টোরিয়া
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার ঐতিহাসিক স্থাপত্য ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে স্থাপন করা হয়েছে বিশাল আকৃতির কৃত্রিম চাঁদ। শ্বেত পাথরের তৈরি এই সৌধ তাজমহলের আদলে গড়া। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের আকর্ষণ বাড়াতে এবার এই স্মৃতিসৌধের সামনে গতকাল শনিবার লাগানো হয়েছে একটি কৃত্রিম চাঁদ। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের অবস্থান কলকাতার কেন্দ্রে কলকাতা ময়দান বা গড়ের মাঠের কাছে। কলকাতার পর্যটকদের আকর্ষণের প্রধান কেন্দ্র এ স্থান। গতকাল কৃত্রিম চাঁদের আলোয় আলোকিত হয় সে স্থান। কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের উদ্যোগে এই কৃত্রিম চাঁদটি স্থাপনের দিনে গতকাল সন্ধ্যায় একটি কনসার্টেরও আয়োজন করা হয়। এই কনসার্টে অংশ নেন ব্রিটিশ কম্পোজার ড্যান জোন্স। আজ রোববারও প্রদর্শিত হবে এই কৃত্রিম চাঁদটি। কৃত্রিম চাঁদটির নকশা করেছেন ব্রিটিশ শিল্পী লিউক জেরম। নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিউজিয়াম অব দ্য মুন’। পূর্ণিমার রাতের মতো ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল উদ্ভাসিত হবে এই কৃত্রিম চাঁদের আলোয়। নাসার ছবি ব্যবহার করে তৈরি ২৩ ফুট ব্যাসের এই চাঁদটি আনা হয় লন্ডনের একটি জাদুঘর থেকে। রানি ভিক্টোরিয়ার স্মৃতির উদ্দেশে গড়ে তোলা হয় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল।
রানি ভিক্টোরিয়া সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন ১৮৩৭ সালে। প্রয়াত হন ১৯০১ সালে। আর তাঁর স্মৃতির উদ্দেশে এটি নির্মিত হয় ১৯২১ সালে। এটি নির্মাণ করেছিলেন প্রিন্স অব ওয়েলস (পঞ্চম জর্জ)। সেদিন কলকাতা ময়দানের (গড়ের মাঠ) দক্ষিণ প্রান্তে ক্যাথিড্রাল অ্যাভিনিউর কাছে একটি বিশাল অঞ্চল নিয়ে গড়ে তোলা হয় এই স্মৃতিসৌধ। এর আগে সেখানে একটি কারাগার ছিল। পরে সেই কারাগার সরিয়ে নেওয়া হয় আলীপুরে। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ৬৪ একর জমির ওপর নির্মিত। এটি দৈর্ঘ্যে ৩৯৬ ফুট আর প্রস্থে ২২৮ ফুট। রয়েছে সুউচ্চ চারটি স্তম্ভ। এটি ইংরেজি এইচ প্যাটার্নে নির্মিত। সৌধের উচ্চতা ২০০ ফুট। প্রধান গম্বুজের উচ্চতা ১৮৪ ফুট। গম্বুজের ওপর রয়েছে ব্রোঞ্জের তৈরি একটি পরি মূর্তি। মূর্তিটির ওজন তিন টন। আর পুরো ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের ওজন ৮০ হাজার টন। এখানে রয়েছে একটি বিশাল জাদুঘর।
No comments