সৌদি ও ইসরাইল নিজের ভুল ঢাকতে আবোল-তাবোল বকছে : জারিফ
ইরানের
বিরুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা তৈরির যে অভিযোগ সৌদি আরব ও ইসরাইল
এনেছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান। দেশটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের দুই
মক্কেল রাষ্ট্র নিজেদের দুর্বর পছন্দ ও কৌশলগত ভুলগুলো ঢাকতে আবোল-তাবোল
বকছে।-খবর আলজাজিরা। মিউনিক নিরাপত্তা সম্মেলনে রোববার ইসরাইলি
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবায়ের
আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য ইরানকে দায়ী করেন। নেতানিয়াহু ইরানকে
বিশ্বের জন্য হুমকি আখ্যা দেয়ার পর জুবায়ের ইরানের রাষ্ট্রব্যবস্থার মৌলিক
পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইরান
মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে। জবাবে ইরানের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেন, সৌদি ও ইসরাইলের সমালোচনা
মধ্যপ্রাচ্যনীতি নিয়ে তাদের বদ্ধ ধারণা ছাড়া কিছু নয়। তিনি মধ্যপ্রাচ্যে
আধিপত্য প্রতিষ্ঠার অভিযোগ অস্বীকার করেন। আশির দশকের যুদ্ধে ইরাকি নেতা
সাদ্দাম হোসেনকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন, ২০০৩ সালে সাদ্দামকে উৎখাতে
যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, ফিলিস্তিনে ইসরাইলের দখলদারিত্ব ও ইয়ামেনে সৌদি
নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলাকে দুর্বল পছন্দ বলে উল্লেখ করেন জারিফ।
সিরিয়ায় ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে ইসরাইলের ব্যাপক হামলার প্রেক্ষাপটে দুই দেশের
মধ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কথার লড়াই শুরু হয়েছে।
ইসরাইলের অভিযোগ, তেহরান সিরিয়া থেকে ইসরাইলের ভেতরে ড্রোন পাঠিয়েছে।
ইসরাইলের আশঙ্কা, পরিকল্পিত হামলা কিংবা লেবাননের শিয়া গোষ্ঠী
হিজুবুল্লাহকে অস্ত্র সরবরাহ করতে ইরান সিরিয়ার ভূখণ্ড ব্যবহার করতে পারে।
২০১৫ সালে বাসার আল আসাদের সমর্থনে ইরান সিরিয়ায় হস্তক্ষেপ করে। জারিফ
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য চটকদারী কথাবার্তা আখ্যায়িত করে তা নাকচ
করে দেন। নেতানিয়াহুর বক্তব্য সাড়া দেয়ার উপযুক্ত নয় বলে মনে করেন তিনি।
ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে সংলাপের মাধ্যমে নতুন
নিরাপত্তা প্রস্তাবের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের অঞ্চলকে
শক্তিশালী দেখতে চাই। কোনো আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চাই না। কারণ আধিপত্য
কখনও স্থায়ী হয় না। সেটি হোক আঞ্চলিক কিংবা বৈশ্বিক।
No comments