অনিশ্চয়তা প্রভাব ফেলছে অর্থনীতির ওপর -ড. হোসেন জিল্লুর রহমান
অর্থনীতিবিদ
ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন,
নির্বাচনের আগে অনেক সহিংসতার বিষয় ছিল। সহিংস রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফলে
অর্থনীতির ওপর একটা প্রভাব পড়ে। এটা একধরনের প্রভাব। এ বছর কিন্তু সেই
প্রভাবটা নেই। সহিংস রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড মোটামুটি অনুপস্থিত। একটা পর্যায়ে
বিশেষ করে প্রতিযোগীদের মধ্যে যে সহিংসতা হয়।
কিনু্ত অর্থনীতির ওপর আরেকটা প্রভাব পড়ে যখন সহিংসতা নয় কিন্তু রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা থাকে। তখন যারা উদ্যোক্তা, যারা বিনিয়োগ করতে পারেন তারা হাত গুটিয়ে বসে থাকেন। একটা হচ্ছে সহিংসতা, আরেকটা হচ্ছে অনিশ্চয়তা। এ বছরের বড় বিষয়টা হচ্ছে অনিশ্চয়তার বিষয়টা। ভয়েস অফ আমেরিকাকে নির্বাচনী বছরের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। অনিশ্চয়তার কথা বলতে গিয়ে হোসেন জিল্লুর রহমান আরো বলেন, কি হবে, নির্বাচন হবে কি হবে না, সহিংসতা ভবিষ্যতে হবে কি হবে না? এই অনিশ্চয়তাগুলো বড় একটা প্রভাব অবশ্যই ফেলছে অর্থনীতির উপর। তার চেয়ে বড় একটা বিষয় হচ্ছে- নির্বাচন যাই হোক না কেন, নির্বাচনী বিষয়টা অর্থনীতির উপর যাই প্রভাব ফেলুক না কেন, চলমান যে শাসন ব্যবস্থা আছে এবং শাসক দল যারা আছে তাদের অর্থনৈতিক নীতি, অর্থনৈতিক সুশাসনের ঘাটতির কারণে অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়ছে। আমরা কয়েকটা খাত দেখতে পারি। বিশেষ করে আমরা দেখি ব্যাংকিং খাতে চরম একটা অস্থিরতা বিরাজ করছে।
এটার প্রভাব অর্থনীতিতে পড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর একটা আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন তারল্যের সংকট নিয়ে। ব্যাংকিং খাতে সুশাসনের ঠিক উল্টোপথে আমরা হাঁটছি। ব্যাংকিং খাতের আইন সংশোধন করা হয়েছে- পরিবারতন্ত্র যেন আরও জেঁকে বসতে পারে। চিহ্নিত অর্থনৈতিক অপবাদ হচ্ছে কিন্তু সেগুলোর কোনো সুরাহা হচ্ছে না।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদশের তরুণদের উপর আন্তর্জাতিক একটা গবেষণায় ফলাফল দেখলাম অধিকাংশরা বাইরে চলে যেতে চায়। কাজেই এখানে সুযোগটা এভাবে দেখছে না তারা।
দারিদ্র্যবিমোচনের পরিসংখ্যান। সম্প্রতিক সময়ে যে দারিদ্র পরিসংখ্যান পেশ করা হলো ২০১৬ সালের। এই পরিসংখ্যানটা ২০১০ সালে হয়েছিলো। দারিদ্র্য বিমোচনের হারটা কমে গেছে। এক শতাংশ যদি প্রবৃদ্ধি হয় তাহলে কত শতাংশ, কতটুকু দারিদ্র্যবিমোচন হয়। প্রবৃদ্ধি হচ্ছে কিন্তু দারিদ্র্যবিমোচন সেভাবে হচ্ছে না। এই পরিসংখ্যানটা উঠে আসছে।
অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার বিষয়ে আমরা দেখতে পাচ্ছি ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগটা এক ধরনের স্থবির হয়ে আছে ২১ শতাংশের আশাপাশে। পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট বা সরকারি খাতের বিনিয়োগ দেখিয়ে অনেক সময় বলার চেষ্টা হয় যে, বিনিয়োগতো সরকারি খাতে বাড়ছে। সেটা এক ধরনের আর্টিফিসিয়ালি। এই অর্থে যে, প্রকল্পের ব্যয় যতটুকু হওয়া দরকার তারচেয়ে যদি তিনগুণ প্রকল্পের ব্যয় দেখাই তাহলে মনে হবে যে বিনিয়োগ বেড়ে গেছে। এই শুভংকরের ফাঁকিগুলো রয়ে গেছে।
সবমিলিয়ে অর্থনীতির আমাদের যে উন্নয়ন মডেলটা আছে বিরাজমান সেটার কারণে অর্থনীতির মারাত্মক একটা ঘাটতি আছে। আমি যেটা বললাম সবাই যেটা আশঙ্কা করছিলো সহিংসতার। সেটা হচ্ছে না। অনিশ্চিয়তা এই কারণে হচ্ছে যে তারা যেভাবে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উপর প্রভাব বিস্তারের একটা সুযোগ তারা রাখে এবং করে সেই দৃষ্টিকোণ থেকে একটা সুষ্ঠুু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে কি হবে না এই জায়গায় একটা বড় অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
অনিশ্চয়তার আরেকটা জায়গা আমরা দেখছি এই যে, অর্থনীতির সংস্কারগুলো দরকার সে জায়গায় মনোযোগ কমে গেছে। বরং রাজনৈতিক দাবা খেলায় নিজেদের অবস্থান কিভাবে আরও শক্তিশালী করা যায় সেখানে সর্বশক্তি নিয়োগ করা হচ্ছে। আর কিছু পরিসংখ্যান আছে যেগুলো হয়তো পরিসংখ্যান সেভাবে আসে না, একটু পরে আসে। যেমন অনিশ্চয়তার ফলে দেশ থেকে অর্থ পাচার হয়ে যায়। এই বছর হয়তো সেই ধরনের প্রবণতা আমরা দেখতে পাই। পরিসংখ্যান হয়তো আসবে পরে। আলামত হিসেবে যদি দেখি সেই ধরনের একটা সম্ভাবনা রয়েছে।
-সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন সংবাদদাতা আমীর খসরু।
কিনু্ত অর্থনীতির ওপর আরেকটা প্রভাব পড়ে যখন সহিংসতা নয় কিন্তু রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা থাকে। তখন যারা উদ্যোক্তা, যারা বিনিয়োগ করতে পারেন তারা হাত গুটিয়ে বসে থাকেন। একটা হচ্ছে সহিংসতা, আরেকটা হচ্ছে অনিশ্চয়তা। এ বছরের বড় বিষয়টা হচ্ছে অনিশ্চয়তার বিষয়টা। ভয়েস অফ আমেরিকাকে নির্বাচনী বছরের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। অনিশ্চয়তার কথা বলতে গিয়ে হোসেন জিল্লুর রহমান আরো বলেন, কি হবে, নির্বাচন হবে কি হবে না, সহিংসতা ভবিষ্যতে হবে কি হবে না? এই অনিশ্চয়তাগুলো বড় একটা প্রভাব অবশ্যই ফেলছে অর্থনীতির উপর। তার চেয়ে বড় একটা বিষয় হচ্ছে- নির্বাচন যাই হোক না কেন, নির্বাচনী বিষয়টা অর্থনীতির উপর যাই প্রভাব ফেলুক না কেন, চলমান যে শাসন ব্যবস্থা আছে এবং শাসক দল যারা আছে তাদের অর্থনৈতিক নীতি, অর্থনৈতিক সুশাসনের ঘাটতির কারণে অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়ছে। আমরা কয়েকটা খাত দেখতে পারি। বিশেষ করে আমরা দেখি ব্যাংকিং খাতে চরম একটা অস্থিরতা বিরাজ করছে।
এটার প্রভাব অর্থনীতিতে পড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর একটা আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন তারল্যের সংকট নিয়ে। ব্যাংকিং খাতে সুশাসনের ঠিক উল্টোপথে আমরা হাঁটছি। ব্যাংকিং খাতের আইন সংশোধন করা হয়েছে- পরিবারতন্ত্র যেন আরও জেঁকে বসতে পারে। চিহ্নিত অর্থনৈতিক অপবাদ হচ্ছে কিন্তু সেগুলোর কোনো সুরাহা হচ্ছে না।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদশের তরুণদের উপর আন্তর্জাতিক একটা গবেষণায় ফলাফল দেখলাম অধিকাংশরা বাইরে চলে যেতে চায়। কাজেই এখানে সুযোগটা এভাবে দেখছে না তারা।
দারিদ্র্যবিমোচনের পরিসংখ্যান। সম্প্রতিক সময়ে যে দারিদ্র পরিসংখ্যান পেশ করা হলো ২০১৬ সালের। এই পরিসংখ্যানটা ২০১০ সালে হয়েছিলো। দারিদ্র্য বিমোচনের হারটা কমে গেছে। এক শতাংশ যদি প্রবৃদ্ধি হয় তাহলে কত শতাংশ, কতটুকু দারিদ্র্যবিমোচন হয়। প্রবৃদ্ধি হচ্ছে কিন্তু দারিদ্র্যবিমোচন সেভাবে হচ্ছে না। এই পরিসংখ্যানটা উঠে আসছে।
অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার বিষয়ে আমরা দেখতে পাচ্ছি ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগটা এক ধরনের স্থবির হয়ে আছে ২১ শতাংশের আশাপাশে। পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট বা সরকারি খাতের বিনিয়োগ দেখিয়ে অনেক সময় বলার চেষ্টা হয় যে, বিনিয়োগতো সরকারি খাতে বাড়ছে। সেটা এক ধরনের আর্টিফিসিয়ালি। এই অর্থে যে, প্রকল্পের ব্যয় যতটুকু হওয়া দরকার তারচেয়ে যদি তিনগুণ প্রকল্পের ব্যয় দেখাই তাহলে মনে হবে যে বিনিয়োগ বেড়ে গেছে। এই শুভংকরের ফাঁকিগুলো রয়ে গেছে।
সবমিলিয়ে অর্থনীতির আমাদের যে উন্নয়ন মডেলটা আছে বিরাজমান সেটার কারণে অর্থনীতির মারাত্মক একটা ঘাটতি আছে। আমি যেটা বললাম সবাই যেটা আশঙ্কা করছিলো সহিংসতার। সেটা হচ্ছে না। অনিশ্চিয়তা এই কারণে হচ্ছে যে তারা যেভাবে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উপর প্রভাব বিস্তারের একটা সুযোগ তারা রাখে এবং করে সেই দৃষ্টিকোণ থেকে একটা সুষ্ঠুু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে কি হবে না এই জায়গায় একটা বড় অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
অনিশ্চয়তার আরেকটা জায়গা আমরা দেখছি এই যে, অর্থনীতির সংস্কারগুলো দরকার সে জায়গায় মনোযোগ কমে গেছে। বরং রাজনৈতিক দাবা খেলায় নিজেদের অবস্থান কিভাবে আরও শক্তিশালী করা যায় সেখানে সর্বশক্তি নিয়োগ করা হচ্ছে। আর কিছু পরিসংখ্যান আছে যেগুলো হয়তো পরিসংখ্যান সেভাবে আসে না, একটু পরে আসে। যেমন অনিশ্চয়তার ফলে দেশ থেকে অর্থ পাচার হয়ে যায়। এই বছর হয়তো সেই ধরনের প্রবণতা আমরা দেখতে পাই। পরিসংখ্যান হয়তো আসবে পরে। আলামত হিসেবে যদি দেখি সেই ধরনের একটা সম্ভাবনা রয়েছে।
-সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন সংবাদদাতা আমীর খসরু।
No comments