মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে নিতে দ্ব্যর্থহীন সমর্থন দিন
রোহিঙ্গা
জনগোষ্ঠীর ওপর ভয়াবহ ‘নিরাপত্তা অভিযান’ চালানোর জন্য মিয়ানমার
সেনাবাহিনীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) নেয়া উচিত। আর বৃটেনের
উচিত মিয়ানমারকে আইসিসিতে পাঠাতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশে
খোলামেলা ও দ্ব্যর্থহীন সমর্থন দেয়া। বৃটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের
প্রতি এ আহ্বান জানিয়ে চিঠি লিখেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত
পার্লামেন্টারিয়ান রুশনারা আলীসহ দেশটির শতাধিক এমপি। রুশনারা আলীর
অফিসিয়াল হাউস অব কমন্স প্যাডে লিখিত ওই চিঠিতে, বৃটেনের কূটনৈতিক তৎপরতা ও
আর্থিক সহায়তার প্রশংসা করে বলা হয়, আরো কড়া পদক্ষেপ নেয়ার সময় এসেছে।
বৃটিশ সরকারের এখন বলা উচিত মিয়ানমার পরিস্থিতিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে
উপস্থাপন করতে হবে। এমন কোনো পদক্ষেপে রাশিয়া ও চীন জাতিসংঘ নিরাপত্তা
কাউন্সিলে ভেটো দিতে পারে উল্লেখ করে বলা হয় আমাদের উচিত হবে আন্তর্জাতিক
একটি ঐকমত্য তৈরি করে তাদের বোঝানো।
এই প্রক্রিয়াটির শুরু হওয়া উচিত আইসিসিতে মিয়ানমারকে পাঠানোর পক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থন আদায়ে বৃটিশ সরকারের তৎপরতার মাধ্যমে। যত বেশি দেশ এতে সমর্থন দেবে, মিয়ানমারের সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হলেইং ও তার সেনাবাহিনীর দণ্ডমুক্তির ধারণা ও অভিযানের ভয়াবহতা ততটাই কমবে। এটা হয়তো একপর্যায়ে বেসামরিক জনগোষ্ঠীর ওপর এমন সামরিক অভিযান বন্ধেও সহায়ক হতে পারে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন যেন মিয়ানমারকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ সহ সকল প্রকার সামরিক সহযোগিতা কার্যক্রম বন্ধ করে তা নিশ্চিত করতে বৃটিশ সরকারের কাজ করা উচিত। তা ছাড়া, মিয়ানমারের ওপর জাতিসংঘ ম্যান্ডেটেড বৈশ্বিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের সময় এসেছে। এবং দেশটিতে সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন ও নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানসহ সামরিক ব্যক্তিবর্গের ওপর টার্গেটেড অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত।
আগামী ২৬শে ফেব্রুয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের ফরেইন অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলে যেন এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করে সে বিষয়ে বৃটেন যেন সাধ্যমতো চেষ্টা করে সে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বৃটিশ এমপিরা।
চিঠিতে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক নিপীড়ন এবং বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া ১০ লক্ষাধিক শরণার্থীর বিষয়টি উল্লেখ করে বলা হয়, বিপুল পরিমাণ তথ্যপ্রমাণ থাকা সত্তেও মিয়ানমার সরকার এবং সেনাবাহিনী অব্যাহতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন অস্বীকার করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ক সমঝোতা নিয়ে বৃটিশ এমপিরা বলেছেন, এই চুক্তি মারাত্মক সমস্যাযুক্ত এবং প্রিম্যাচিউর। রোহিঙ্গাদের কার্যত কারাগার সদৃশ ক্যাম্পে রাখা হবে- এমন আশঙ্কা রয়েছে। সেখানে তাদের কোনো অধিকার থাকবে না। চলাচলের স্বাধীনতা থাকবে না। মিয়ানমারের বেসামরিক সরকার কোনোভাবেই প্রত্যাবাসিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে না কেন না সেনাবাহিনীর ওরপ তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণই নেই।
বৃটিশ আইনপ্রণেতারা চিঠিতে বলেন, মূলত এই সমস্যার জন্য মিয়ানমারের বর্তমান বেসামরিক সরকারও দায়ী। কেননা তারা ক্ষমতা গ্রহণের প্রায় দু’বছর পেরিয়ে গেলেও তারা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মৌলিক অধিকার উন্নয়নে কার্যত কোনো বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ তারা নেয় নি। শুধু অসংখ্য কমিটি গঠন করেছে।
বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রতি লেখা চিঠির স্বাক্ষরকারী এমপিদের মধ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অপর বৃটিম এমপি রুপা হকও রয়েছেন। প্রসঙ্গত রুশনারা আলী এমপি ‘অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ অন ডেমোক্রেসি ইন বার্মা’ এবং ‘অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ অন রোহিঙ্গা’র সহসভাপতি।
এই প্রক্রিয়াটির শুরু হওয়া উচিত আইসিসিতে মিয়ানমারকে পাঠানোর পক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থন আদায়ে বৃটিশ সরকারের তৎপরতার মাধ্যমে। যত বেশি দেশ এতে সমর্থন দেবে, মিয়ানমারের সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হলেইং ও তার সেনাবাহিনীর দণ্ডমুক্তির ধারণা ও অভিযানের ভয়াবহতা ততটাই কমবে। এটা হয়তো একপর্যায়ে বেসামরিক জনগোষ্ঠীর ওপর এমন সামরিক অভিযান বন্ধেও সহায়ক হতে পারে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন যেন মিয়ানমারকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ সহ সকল প্রকার সামরিক সহযোগিতা কার্যক্রম বন্ধ করে তা নিশ্চিত করতে বৃটিশ সরকারের কাজ করা উচিত। তা ছাড়া, মিয়ানমারের ওপর জাতিসংঘ ম্যান্ডেটেড বৈশ্বিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের সময় এসেছে। এবং দেশটিতে সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন ও নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানসহ সামরিক ব্যক্তিবর্গের ওপর টার্গেটেড অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত।
আগামী ২৬শে ফেব্রুয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের ফরেইন অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলে যেন এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করে সে বিষয়ে বৃটেন যেন সাধ্যমতো চেষ্টা করে সে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বৃটিশ এমপিরা।
চিঠিতে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক নিপীড়ন এবং বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া ১০ লক্ষাধিক শরণার্থীর বিষয়টি উল্লেখ করে বলা হয়, বিপুল পরিমাণ তথ্যপ্রমাণ থাকা সত্তেও মিয়ানমার সরকার এবং সেনাবাহিনী অব্যাহতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন অস্বীকার করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ক সমঝোতা নিয়ে বৃটিশ এমপিরা বলেছেন, এই চুক্তি মারাত্মক সমস্যাযুক্ত এবং প্রিম্যাচিউর। রোহিঙ্গাদের কার্যত কারাগার সদৃশ ক্যাম্পে রাখা হবে- এমন আশঙ্কা রয়েছে। সেখানে তাদের কোনো অধিকার থাকবে না। চলাচলের স্বাধীনতা থাকবে না। মিয়ানমারের বেসামরিক সরকার কোনোভাবেই প্রত্যাবাসিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে না কেন না সেনাবাহিনীর ওরপ তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণই নেই।
বৃটিশ আইনপ্রণেতারা চিঠিতে বলেন, মূলত এই সমস্যার জন্য মিয়ানমারের বর্তমান বেসামরিক সরকারও দায়ী। কেননা তারা ক্ষমতা গ্রহণের প্রায় দু’বছর পেরিয়ে গেলেও তারা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মৌলিক অধিকার উন্নয়নে কার্যত কোনো বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ তারা নেয় নি। শুধু অসংখ্য কমিটি গঠন করেছে।
বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রতি লেখা চিঠির স্বাক্ষরকারী এমপিদের মধ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অপর বৃটিম এমপি রুপা হকও রয়েছেন। প্রসঙ্গত রুশনারা আলী এমপি ‘অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ অন ডেমোক্রেসি ইন বার্মা’ এবং ‘অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ অন রোহিঙ্গা’র সহসভাপতি।
No comments