উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ কেন
উত্তর কোরিয়া যে কোনো সময় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাতে পারে এমন আশঙ্কায় ওই অঞ্চলকে ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালালে সেটি হবে দেশটির ষষ্ঠবারের মতো পরমাণু বোমার পরীক্ষা। উত্তর কোরিয়ার মিসাইল পরীক্ষার প্রস্তুতিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। উত্তেজনা বাড়তে থাকলে পিয়ংইয়ং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে যে কোনো মুহূর্তে যুদ্ধে জড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছে চীন। ওয়াশিংটনের উদ্বেগের মূল কারণ, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তে মনে করা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রে পরমাণু হামলা চালানোর ক্ষমতা অর্জন করছে। বিবিসি জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ১০০০ হাজারের বেশি বিধ্বংসী মিসাইল আছে বলে ধারণা করা হয়, যা আমেরিকায়ও সরাসরি আঘাত হানতে সক্ষম। এসব মিসাইল দূরপাল্লার এবং বিভিন্ন ধরনের ক্ষমতাসম্পন্ন। পিয়ংইয়ং তার পরমাণু কর্মসূচি গত কয়েক দশকে ব্যাপকভাবে এগিয়ে নিয়েছে। একনায়ক শাসিত দেশটি ১৯৬০ এবং ৭০-এর দশকের আর্টিলারি রকেট থেকে ১৯৮০ এবং ৯০-এর দশকে স্বল্প এবং মাঝারিপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রে সক্ষমতা অর্জন করে। এরপর দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পথে দেশটি অনেকটাই এগিয়ে গেছে। অতি সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া ঘোষণা দিয়েছে, তারা আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্রেরও পরীক্ষা চালানোর দক্ষতা অর্জন করেছে। এর ফলে পশ্চিমা কোনো দেশে লক্ষ্য করে হামলা চালাতে পারবে উত্তর কোরিয়া। আন্তঃমহাদেশীয় বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রই সর্বোচ্চ দূরবর্তী ক্ষমতাসম্পন্ন মিসাইল, যা ৫,৫০০ কিলোমিটারের বেশি দূরপাল্লার হয়ে থাকে। উত্তর কোরিয়ার মাঝারি মাত্রার যেসব ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে তা দক্ষিণ কোরিয়া কিংবা জাপানে আঘাত হানতে পারে। ২০১৬ সালে ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ এই তথ্য দিয়েছে। দেশটি ব্যাপক ক্ষমতাসম্পন্ন মুসুডান মিসাইল নিয়ে দীর্ঘ গবেষণার পর গেল বছর বেশ কয়েকটি পরীক্ষা চালায়। সবচেয়ে কম মাত্রার ক্ষেপণাস্ত্র যেমন সমগ্র দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের লক্ষবস্তুতে আঘাত হানতে পারে, তেমনি এর উচ্চমাত্রার মিসাইল গুয়ামে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত হানতে সক্ষম। দেশটির মাল্টিস্টেজড মিসাইল শক্তিও এগিয়ে গেছে গত কয়েক দশকে। তায়পেডং-টু নামের মিসাইল অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের অনেক এলাকা এবং অন্যান্য দেশে আঘাত হানার ক্ষমতা রাখে। আর আন্তঃমহাদেশীয় বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয় গত বছরের সেপ্টেম্বরে। পেন্টাগন মনে করে, এ ধরনের ক্ষমতাসম্পন্ন অন্তত একাধিক মিসাইল রয়েছে পিয়ংইয়ংয়ের হাতে। তবে এ বছরের জানুয়ারি মাসে দেশটির নেতা কিম জং উন ঘোষণা দেন উত্তর কোরিয়া আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষেত্রে সর্বশেষ ধাপে রয়েছে।
জাপানের রণপ্রস্তুতি : উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য ষষ্ঠ পরমাণু বোমা পরীক্ষার প্রস্তুতিকে ঘিরে টান টান উত্তেজনার মধ্যে দেশটিকে মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জাপান। শনিবার সকালে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র রাষ্ট্র জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সমন্বিতভাবে উত্তর কোরিয়ার আগ্রাসন মোকাবেলায় সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে বলে জানান তিনি। কিশিদা বলেন, যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবেলায় জাপানি সৈন্যরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। খবর জাপান টাইমসের। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া তাদের সীমা অতিক্রম করেছে। তারা তাদের প্রতিষ্ঠাতা নেতা কিম ইল সাংয়ের ১০৫তম জন্মবার্ষিকী পালন করছে। দেশটি পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে উত্তজেনা তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছি আমরা, তবে এবার আমরা ছাড় দেব না।’ উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য অস্ত্র পরীক্ষা ও তা ঠেকাতে কোরীয় উপদ্বীপমুখে যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর একটি স্ট্রাইক গ্রুপ রওনা হওয়ার খবরে জাপানিদের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। ওদিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ৬০ হাজার জাপানি বসবাস করে। এদের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কিত জাপান। এর পরিপ্রেক্ষিতে কিশিদা বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানরত জাপানিদের নিরাপত্তার জন্য আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছি। জরুরি অবস্থার মধ্যে কীভাবে তাদের ফিরিয়ে আনা যায় তার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের নেতৃত্বে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান তিনি। বৈঠকের পর শুক্রবার সন্ধ্যায় জাপানের মন্ত্রী পরিষদ সচিব ইয়াশিদা সুগা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, শেষ পর্যন্ত যদি যুদ্ধ লেগেই যায় সেক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়ার সম্মতি নিয়ে জাপান দেশটিতে সৈন্য, রণতরী ও অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠাবে।
জাপানের রণপ্রস্তুতি : উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য ষষ্ঠ পরমাণু বোমা পরীক্ষার প্রস্তুতিকে ঘিরে টান টান উত্তেজনার মধ্যে দেশটিকে মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জাপান। শনিবার সকালে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র রাষ্ট্র জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সমন্বিতভাবে উত্তর কোরিয়ার আগ্রাসন মোকাবেলায় সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে বলে জানান তিনি। কিশিদা বলেন, যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবেলায় জাপানি সৈন্যরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। খবর জাপান টাইমসের। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া তাদের সীমা অতিক্রম করেছে। তারা তাদের প্রতিষ্ঠাতা নেতা কিম ইল সাংয়ের ১০৫তম জন্মবার্ষিকী পালন করছে। দেশটি পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে উত্তজেনা তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছি আমরা, তবে এবার আমরা ছাড় দেব না।’ উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য অস্ত্র পরীক্ষা ও তা ঠেকাতে কোরীয় উপদ্বীপমুখে যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর একটি স্ট্রাইক গ্রুপ রওনা হওয়ার খবরে জাপানিদের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। ওদিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ৬০ হাজার জাপানি বসবাস করে। এদের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কিত জাপান। এর পরিপ্রেক্ষিতে কিশিদা বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানরত জাপানিদের নিরাপত্তার জন্য আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছি। জরুরি অবস্থার মধ্যে কীভাবে তাদের ফিরিয়ে আনা যায় তার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের নেতৃত্বে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান তিনি। বৈঠকের পর শুক্রবার সন্ধ্যায় জাপানের মন্ত্রী পরিষদ সচিব ইয়াশিদা সুগা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, শেষ পর্যন্ত যদি যুদ্ধ লেগেই যায় সেক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়ার সম্মতি নিয়ে জাপান দেশটিতে সৈন্য, রণতরী ও অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠাবে।
No comments