ভারতের দীর্ঘতম সেতু শিগগিরই চালু হচ্ছে
শিগগিরই চালু হচ্ছে ভারতের দীর্ঘতম নদী সেতু। উত্তর-পূর্ব ভারতের আসামে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর গড়ে উঠছে ৯.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতু। নির্মাণকাজ এখন শেষের পথে। সেতুটি চালু হলে আসাম হয়ে সড়কপথে অরুণাচল প্রদেশ যাওয়া অনেকটাই সহজ হবে। ২০১১ সালে কংগ্রেস জামানায় তিনসুকিয়া জেলার ঢোলা ও শাদিয়ার মধ্যে যোগাযোগের নতুন দিগন্ত খুলে দিতে শুরু হয় দীর্ঘতম এ সেতুর কাজ। সড়ক পরিবহন ও জাতীয় সড়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে হায়দ্রাবাদের নবযুগা নির্মাণ সংস্থা এ সেতুর কাজে হাত লাগায়। প্রযুক্তিবিদ বি সূর্য রাজুই এটি নির্মাণের মূল কারিগর। খবর এনডিটিভির। ব্রহ্মপুত্রের উপনদী লোহিত নদীর ওপরে তৈরি হচ্ছে ১২.৯ মিটার প্রশস্ত ঢোলা-সাদিয়া সেতু। প্রতিবেশী দুই রাজ্য আসাম আর অরুণাচল প্রদেশকে যুক্ত করবে এ সেতু। আসামের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে সাদিয়ার দূরত্ব ৫৪০ কিলোমিটার। অন্যদিকে, অরুণাচলের রাজধানী ইটানগর থেকে ঢোলার দূরত্ব ৩০০ কিলোমিটার।
এই সেতু চালু হলে আসাম থেকে অরুণাচল যেতে অন্তত চার ঘণ্টা সময় সাশ্রয় হবে। অরুণাচলে কোনো বিমানবন্দর নেই। ফলে সড়কপথই ভরসা। দীর্ঘদম এ সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে মাত্র ৯৫০ কোটি রুপি। এখন ভারতের দীর্ঘতম সেতুটি মহারাষ্ট্রে। ২০০৯ সালে চালু হওয়া বান্দ্রা ও ওরলির সঙ্গে সংযোগকারী রাজীব গান্ধী সি লিংক সেতুটির দৈর্ঘ্য ৫.৬ কিলোমিটার। আরব সাগরের নিকটে মাহিম উপত্যকার ওপর অবস্থিত এ সেতুর চেয়ে ঢোলা-শাদিয়া সেতু প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার বড়। সেনাবাহিনীর কাছেও এ সেতুর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অরুণাচলের উত্তর দিকে রয়েছে চীন সীমান্ত। ফলে এই অঞ্চল থেকে দেশের মূলভাগের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে ঢোলা-সাদিয়া সেতু। সাঁজোয়া গাড়ি যাতায়াতের পরিকাঠামোও রয়েছে এই সেতুতে। ঢোলা-সাদিয়া সেতুর যোগাযোগ ব্যবস্থার আরও উন্নতির জন্য ২০১৫ সালে ১৫ হাজার কোটি রুপির একটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।
No comments