কেন ব্যর্থ হলো উ. কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা?
পিয়ংইয়ংয়ে বিশাল সামরিক প্যারেডের মাত্র একদিন পর ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করতে গিয়ে ব্যর্থ হলো উত্তর কোরিয়া। এমন এক সময়ে এটি ঘটলো, যখন কোরিয় উপদ্বীপে উত্তেজনা বাড়ছে এবং উত্তর কোরিয়াকে লক্ষ্য করে কড়া হুশিয়ারি দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরীর একটি বহরও এই অঞ্চলের দিকে এগিয়ে আসছে। অপরদিকে সামরিক প্যারেডে উত্তর কোরিয়াও জবাব দিয়েছে যে, 'পারমানবিক হামলা চালাতেও তারা প্রস্তুত'। এই অবস্থায় উত্তর কোরিয়ার ব্যর্থ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কী অর্থ বহন করে? সিউল থেকে বিবিসির সংবাদদাতা স্টিফেন ইভান্স বলেন, জাতিসঙ্ঘের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো উত্তর কোরিয়ার জন্য নতুন কিছু নয়। যদিও তাদের সফলতার হার আগের চেয়ে বেড়েছে, তবে তা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার মতো যথেষ্ট সফল এখনো নয়। তিনি বলেন, এই ব্যর্থতার দ্বারা এটি আবারো বোঝা যাচ্ছে, পিয়ংইয়ংয়ের বিশাল সামরিক প্যারেড এবং সারি সারি ক্ষেপণাস্ত্রের অর্থ এই নয় যে তাদের কাছে একটি কার্যকর পারমাণবিক অস্ত্রের বহর আছে।
যদিও সদ্য ব্যর্থ হওয়া পরীক্ষায় ঠিক কী ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার হয়েছে সেটি এখনো জানা যায়নি। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং যুক্তরাষ্ট্র সামরিক বাহিনীর প্যাসিফিক কমান্ড শুধুমাত্র ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ব্যর্থ হওয়ার তথ্য জানিয়েছে। সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার সামরিক কর্মকাণ্ড নিয়ে খুব স্বল্প প্রতিক্রিয়াই দেখিয়েছে। এর একটি অর্থ হয়তো হতে পারে যে তারা মনে করছে "কথা বলার সময় ফুরিয়েছে এবং কাজের সময় এসেছে"। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কাজটা কী? বিবিসি সংবাদদাতা বলছেন, উত্তর কোরিয়ায় হামলা চালানোর সম্ভাব্য মূল্য কী হতে পারে সেটা যুক্তরাষ্ট্র ভালো করেই জানে। উত্তর কোরিয়ার সমরাস্ত্রের নাগালেই রয়েছে সিউল এবং কিম জং উনকে উৎখাত করার চেষ্টা হলে চীনও হয়তো চুপচাপ দাঁড়িয়ে দেখবে না (যদিও যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে ক্ষমতার পরিবর্তন করা তাদের উদ্দেশ্য নয়)। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসতে পারে, তাহলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কী পদক্ষেপ নিতে পারেন? স্টিফেন ইভান্সের মতে, শুধুমাত্র ট্রাম্পই এর উত্তর জানেন- অথবা তিনি নিজেও জানেন না। সূত্র : বিবিসি
No comments