জানালা দিয়ে ঝুলছেন পরিচারিকা, না বাঁচিয়ে পড়ে যাওয়ার ভিডিও করছেন মালিক
সাত
তলার জানালা থেকে ঝুলে রয়েছেন এক মহিলা। যে কোনও মুহূর্তে হাত ফস্কে পড়ে
যাবেন নীচে। আর জানালার অপরপ্রান্তে অর্থাৎ ঘরের ভিতর থেকে সে দৃশ্য
ক্যামেরাবন্দি করছেন আর এক মহিলা। তাঁকে উদ্ধার না করে এই ঘটনার ভিডিও
করতেই ব্যস্ত তিনি।
প্রথম মহিলা হলেন দ্বিতীয় মহিলার পরিচারিকা। প়ড়ে যাওয়ার সেই দৃশ্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেন তিনি। পরিচারিকাকে বাঁচানোর বদলে ভিডিও করা এবং সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার অভিযোগে তাঁকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার এই ঘটনাটি ঘটেছে কুয়েতে।প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলা সাত তলার ব্যালকনি থেকে সুইসাইডের চেষ্টা করছিলেন। জানালা ধরে বাইরে ঝুলেও পড়েন। কিন্তু তার পরেই তিনি নিজের ভুল বুঝতে পারেন। বাঁচতে চেয়ে সাহায্যের আবেদন করতে থাকেন। ঘটনার সময় ঘরের ভিতরে হাজির ছিলেন তাঁর মালিক। পরিচারিকা যখন জানালা ধরে ঝুলে রয়েছেন আর সাহায্যের আর্তি জানাচ্ছেন, তিনিও তখন ক্যামেরা বের করে ভিডিও করছিলেন। ১২ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতেই পরিচারিকাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাকে ধরুন, আমাকে ধরুন’। পরিচারিকার সাহায্যের উত্তরে মালিক তাঁকে শুধু বলেন, ‘ফিরে এসো’। কিন্তু হাত বাড়িয়ে তাঁকে বাঁচানোর কোনও চেষ্টাই তিনি করেননি। কিছু পরে হাত ফস্কে নীচে পড়ে যান পরিচারিকা। মাথায় ও কানে গুরুতর চোট পেয়েছেন তিনি।এই ঘটনাটি অবশ্য কেউই টের পেতেন না, যদি না মালিক ওই মহিলা ঘটা করে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেন। সেখান থেকে খবর পেয়েই পুলিশ ওই মহিলাকে আটক করেছে। ওই মালিকের বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে সরব হয়েছে কুয়েতের মানবাধিকার কমিশনও।
পুলিশ সূত্রে খবর, কুয়েতে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ৬ লক্ষেরও বেশি পরিচারিকার বাস। তাঁদের অনেকেই মালিকের বিরুদ্ধে কাজ করিয়ে টাকা না দেওয়া এবং মানসিক ও শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই পরিচারিকাও তেমনই কোনও কারণে সুইসাইড করতে গিয়েছিলেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।
সুত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা
প্রথম মহিলা হলেন দ্বিতীয় মহিলার পরিচারিকা। প়ড়ে যাওয়ার সেই দৃশ্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেন তিনি। পরিচারিকাকে বাঁচানোর বদলে ভিডিও করা এবং সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার অভিযোগে তাঁকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার এই ঘটনাটি ঘটেছে কুয়েতে।প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলা সাত তলার ব্যালকনি থেকে সুইসাইডের চেষ্টা করছিলেন। জানালা ধরে বাইরে ঝুলেও পড়েন। কিন্তু তার পরেই তিনি নিজের ভুল বুঝতে পারেন। বাঁচতে চেয়ে সাহায্যের আবেদন করতে থাকেন। ঘটনার সময় ঘরের ভিতরে হাজির ছিলেন তাঁর মালিক। পরিচারিকা যখন জানালা ধরে ঝুলে রয়েছেন আর সাহায্যের আর্তি জানাচ্ছেন, তিনিও তখন ক্যামেরা বের করে ভিডিও করছিলেন। ১২ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতেই পরিচারিকাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাকে ধরুন, আমাকে ধরুন’। পরিচারিকার সাহায্যের উত্তরে মালিক তাঁকে শুধু বলেন, ‘ফিরে এসো’। কিন্তু হাত বাড়িয়ে তাঁকে বাঁচানোর কোনও চেষ্টাই তিনি করেননি। কিছু পরে হাত ফস্কে নীচে পড়ে যান পরিচারিকা। মাথায় ও কানে গুরুতর চোট পেয়েছেন তিনি।এই ঘটনাটি অবশ্য কেউই টের পেতেন না, যদি না মালিক ওই মহিলা ঘটা করে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেন। সেখান থেকে খবর পেয়েই পুলিশ ওই মহিলাকে আটক করেছে। ওই মালিকের বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে সরব হয়েছে কুয়েতের মানবাধিকার কমিশনও।
পুলিশ সূত্রে খবর, কুয়েতে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ৬ লক্ষেরও বেশি পরিচারিকার বাস। তাঁদের অনেকেই মালিকের বিরুদ্ধে কাজ করিয়ে টাকা না দেওয়া এবং মানসিক ও শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই পরিচারিকাও তেমনই কোনও কারণে সুইসাইড করতে গিয়েছিলেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।
সুত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা
No comments