ছিনতাই করতে গিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীসহ আটক ২
রাজধানীর
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছিনতাই করতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক
কর্মীসহ দুইজন পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে তাদেরকে
উদ্যান থেকে আটক করা হয়। এদিকে আটককৃতদের শাহবাগ থানা থেকে ছাড়িয়ে আনতে
গেলে অন্য দুই ছাত্রলীগ কর্মীকেও আটক করে পুলিশ। পরে মুচলেকা নিয়ে তাদের
ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করা
হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন- ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়ার রহমান হলের ছাত্রলীগ কর্মী এবং ইসলামের
ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্র মাহবুব আলম (হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর) এবং ঢাকা
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র পিয়াস চৌধুরী (রায়পুর, লক্ষীপুর)।
মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন- ঢাবির জিয়া হলের (কক্ষ-২২৫) ছাত্রলীগ কর্মী ও স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মাহমুদুল হাসান (ধর্মপাশা, সুনামগঞ্জ) এবং একই হলের ছাত্রলীগ কর্মী ও পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মিরাজুল ইসলাম (জামালপুর সদর, জামালপুর)। ঢাবি ছাত্রলীগের তিন কর্মীই হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইউসুফ উদ্দিন খানের অনুসারী। ইউসুফ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের অনুসারী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম আমজাদ আলী জানান, মামলার বাদী মাজেদুন্নবী পারভেজ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। শাহবাগ থানা সূত্র জানায়, আটককৃতদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে দ্রুত বিচার আইন ২০০২, সংশোধনী ২০০৭ এর ৪/৫ ধারায় মামলা করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, আটক ছাত্রলীগ কর্মী মাহবুবসহ ৫-৬ জন রমনা কালি মন্দির এলাকা থেকে পারভেজকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এসময় তিনি মানিব্যাগ দিতে না চাইলে ছিনতাইকারীরা তাকে বেধড়ক মারধর করে। মানিব্যাগে ৩ হাজার টাকা ছিল বলে পুলিশে কাছে দাবি করেছেন পারভেজ। পরবর্তী ঘটনা বর্ণনায় ঢাবি প্রক্টর এম আমজাদ আলী যুগান্তরকে বলেন, ছিনতাইয়ের পর থেকে ভুক্তভোগী তাদের অনুসরণ করতে থাকে। পরবর্তীতে ছিনতাইকারীরা কিছুটা সামনে এগুলো পারভেজ কর্তব্যরত পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পরে পুলিশ মাহবুব ও পিয়াসকে আটক করে। এসময় অন্যরা পালিয়ে যায়।
মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন- ঢাবির জিয়া হলের (কক্ষ-২২৫) ছাত্রলীগ কর্মী ও স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মাহমুদুল হাসান (ধর্মপাশা, সুনামগঞ্জ) এবং একই হলের ছাত্রলীগ কর্মী ও পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মিরাজুল ইসলাম (জামালপুর সদর, জামালপুর)। ঢাবি ছাত্রলীগের তিন কর্মীই হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইউসুফ উদ্দিন খানের অনুসারী। ইউসুফ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের অনুসারী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম আমজাদ আলী জানান, মামলার বাদী মাজেদুন্নবী পারভেজ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। শাহবাগ থানা সূত্র জানায়, আটককৃতদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে দ্রুত বিচার আইন ২০০২, সংশোধনী ২০০৭ এর ৪/৫ ধারায় মামলা করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, আটক ছাত্রলীগ কর্মী মাহবুবসহ ৫-৬ জন রমনা কালি মন্দির এলাকা থেকে পারভেজকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এসময় তিনি মানিব্যাগ দিতে না চাইলে ছিনতাইকারীরা তাকে বেধড়ক মারধর করে। মানিব্যাগে ৩ হাজার টাকা ছিল বলে পুলিশে কাছে দাবি করেছেন পারভেজ। পরবর্তী ঘটনা বর্ণনায় ঢাবি প্রক্টর এম আমজাদ আলী যুগান্তরকে বলেন, ছিনতাইয়ের পর থেকে ভুক্তভোগী তাদের অনুসরণ করতে থাকে। পরবর্তীতে ছিনতাইকারীরা কিছুটা সামনে এগুলো পারভেজ কর্তব্যরত পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পরে পুলিশ মাহবুব ও পিয়াসকে আটক করে। এসময় অন্যরা পালিয়ে যায়।
থানা সূত্র জানায়, এর কিছুক্ষণ
পর শাহবাগ থানায় গিয়ে জিয়া হলের ছাত্রলীগ কর্মী মাহমুদ ও মিরাজ পুলিশের কাছ
থেকে মাহবুবকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় এই দু’জনকেও আটক করে পুলিশ।
পরে তাদের থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি আবুল
হাসান যুগান্তরকে বলেন, ছিনতাইয়ের অভিযোগে দু’জনকে আটক করা হয়েছে এবং তাদের
বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামি ছিনতাই চেষ্টায় জড়িত দু’জনকে কেন ছেড়ে দেয়া
হল- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে ঘটনাটা ওরকম না। ওই সময় প্রক্টর
স্যারও (ঢাবি প্রক্টর) ছিলেন। একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে তাদের থেকে
মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। এ বিষয়ে জিয়া হল ছাত্রলীগের সভাপতি ইউসুফ
উদ্দিন খান যুগান্তরকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একাডেমিক ব্যবস্থা
নেয়ার পর আমরা মাহবুবের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নেব। যেহেতু তার কোনো
পোস্ট নেই, তাই ছাড়া পেলে আমরা তাকে হল থেকে বের করে দেব। অন্য দুইজনের
বিষয়ে তিনি বলেন, তারা আসলে ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। ঝামেলার কথা শুনে তারা
সেখানে গিয়েছিল। পরে পুলিশই তাদের ছেড়ে দেয়।
No comments