গুজরাটে গরু জবাই করলেই ১৪ বছরের জামিন অযোগ্য জেল
ভারতের
গুজরাটে গরু জবাইয়ের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে আইন করা হচ্ছে।
শুক্রবার সেখানকার বিধানসভায় এ নিয়ে একটি বিলের ওপর ভোট দেন এমএলএ’রা।
বিরোধী দলের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে এ বিলটি পাস হয়েছে।
এর অধীনে কোনো ব্যক্তি গরু জবাই করলেই তাকে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের জেল দেয়ার
বিধান রাখা হয়েছে। শাস্তি হবে জামিন অযোগ্য। এ একই সঙ্গে সর্বনিন্ম এক লাখ
থেকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ রুপি পর্যন্ত জরিমানা করার কথা বলা হয়েছে। এ খবর
দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। এতে বলা হয়েছে, গুজরাট সরকার শুক্রবার
‘গুজরাট এনিম্যাল প্রিভেনশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৭’ নামের বিলটি পাস
করে। বিলটি পাসের সময় বিরোধীরা পার্লামেন্টে উপস্থিত না থাকলেও দর্শক
গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন জাফরান রঙের পোশাক পরা বিপুল সংখ্যক সাধু। এ
বিলটির খসড়াকারী দলের এক সরকারি শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, কেউ গরু জবাই করলে
তাকে এ বিলের অধীনে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের জেল দেয়া হবে। রাজ্যের
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ সিং জাদেজা বলেছেন, চৈত্রের এই নবরাত্রীর
শুভক্ষণে বেশ কিছু সাধু-সন্ন্যাসীর পরামর্শে গুজরাট এনিমেল প্রটেকশন
(অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০১৭ সংশোধন করেছে। এটাই এদেশে সবচেয়ে কঠিন আইন।
আমাদের ধর্ম, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও পরিবেশ রক্ষার জন্য এটা প্রয়োজন ছিল।
উল্লেখ্য, এ বছরেই সেখানে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে
হিন্দু ভোটারদের দলে টানার জন্য এ বিল করা হয়েছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে
করছেন। প্রদীপ সিং জাদেজা বলেন, গরুর এক ফোঁটা রক্তও হিন্দুদের অনুভূতিতে
আঘাত করে। গরু হত্যাকে আমরা মানুষ হত্যার সমান বলে মনে করি। উল্লেখ্য,
প্রথমে যখন এ বিলটির খসড়া জমা দেয়া হয় বিধানসভায় তখন গরু জবাইয়ের শাস্তির
প্রস্তাব করা হয়েছিল সর্বোচ্চ ১০ বছর। কিন্তু রাজ্যের স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয় শুক্রবার সেই শাস্তি বৃদ্ধি করে ১৪ বছর করার প্রস্তাব দেয়। সেটা
শুক্রবার পার্লামেন্টে তোলা হয়। একই সঙ্গে অবৈধভাবে জবাই করার জন্য গরু
অন্যত্র সরিয়ে দেয়া, বিক্রি করা, জড়ো করে রাখা বা প্রদর্শন করাও
শাস্তিযোগ্য অপরাধ এ আইনে। এমন অন্যায়ের জন্য ১০ বছর জেল দেয়ার কথা বলা
হয়েছে এ আইনে।
No comments