মেলানিয়ার পৃথক নিরাপত্তায় ডলারের শ্রাদ্ধ
যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প ও ১০ বছর বয়সী ছেলে ব্যারন ট্রাম্পের নিরাপত্তায় বিপুল অঙ্কের ব্যয় নিয়ে সরব হাজারো মানুষ। একটি আবেদনপত্রে প্রায় এক লাখ ব্যক্তি স্বাক্ষর করে জোরালো দাবি তুলেছেন, মেলানিয়াকে হয় হোয়াইট হাউসে ফিরে যেতে হবে, নয়তো নিরাপত্তার জন্য এই ব্যয়ের শ্রাদ্ধ নিজেকেই মেটাতে হবে। গতকাল শুক্রবার দ্য ইনডিপেনডেন্টের অনলাইন সংস্করণের খবরে জানানো হয়, ওয়াশিংটন ডিসিতে মাকিন প্রেসিডেন্টর সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউসে এখন থাকছেন না মেলানিয়া। ছেলে ব্যারনকে নিয়ে থাকছেন নিউইয়র্কে, ট্রাম্প টাওয়ারে। ব্যারনের শিক্ষাবর্ষ শেষ হওয়া পর্যন্ত মা ও ছেলে সেখানেই থাকবেন। আর এই শিক্ষাবর্ষ শেষ হবে আসছে গরমকালে। মেলানিয়াকে আলাদাভাবে নিরাপত্তা দিতে প্রতিদিন অতিরিক্ত ১ লাখ ২৭ হাজার থেকে ১ লাখ ৪৬ হাজার ডলার করে ব্যয় হচ্ছে। অনলাইনে ওই আবেদন দেওয়া হয়েছে চেঞ্জ ডট ওআরজি নামের একটি ওয়েবসাইটে। এক সপ্তাহ আগে চালু হওয়া ওই আবেদনে এরই মধ্যে স্বাক্ষর করেছেন ৯২ হাজারেরও বেশি নাগরিক। এ সংখ্যা দেড় লাখে পৌঁছালে তা উপস্থাপন করা হবে দেশটির সিনেটে।
অনুলিপি দেওয়া হবে ডেমোক্র্যাট পার্টির সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স ও এলিজাবেথ ওয়ারেনকে। আবেদেন বলা হয়েছে, ‘ট্রাম্প টাওয়ারে ফার্স্ট লেডিকে নিরাপত্তা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের করদাতাদের বিশাল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে। এই ব্যয়ে জাতির জন্য কোনো ইতিবাচক ফল বয়ে আনছে না। তাই এ খাতে অর্থ দেওয়া বন্ধ করা উচিত।’ নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে জানানো হয়, ২০ জানুয়ারি শপথ নিয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর ট্রাম্প ও তাঁর পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে দিনে খরচ হচ্ছে প্রায় ১০ লাখ ডলার। তবে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ এই হিসাব পর্যালোচনা করে গত মাসে বলেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, তাঁর পরিবার ও ট্রাম্প টাওয়ার পাহারায় নির্বাচনের দিন ও শপথগ্রহণের দিনের মধ্যে প্রায় আড়াই মাসে খরচ হয়েছে ২ কোটি ৪০ লাখ ডলার। এ বিষয়ে কংগ্রেসে নিউইয়র্কের প্রতিনিধিত্ব করেন—এমন একজন সদস্যদের কাছে নিউইয়র্কের পুলিশ বিভাগ একটি চিঠি লিখেছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্প টাওয়ারে যখন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ও তাঁর ছেলে অবস্থান করেন, তখন দিনে ব্যয় হয় ১ লাখ ২৭ হাজার থেকে ১ লাখ ৪৬ হাজার ডলার। আর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি নিউইয়র্কে যান, তখন এ ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় দিনে প্রায় তিন লাখ আট হাজার ডলারে।
No comments