মৌলভীবাজার এখন যেমন
মৌলভীবাজারের বড়হাট ও এর আশপাশের রাস্তাগুলো প্রায় ফাঁকা। মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। সাইরেন বাজিয়ে সাঁজোয়া যানের টহল চলছে। তল্লাশি চলছে। মৌলভীবাজারের বড়হাটের পার্শ্ববর্তী পশ্চিম বাজার, বেড়ির পার, শাহ মোস্তফা, এম সাইফুর রহমান এলাকার মূল সড়কগুলো প্রায় ফাঁকা। সড়কের আশপাশের দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলেছে। কিন্তু ক্রেতা নেই বললেই চলে। শহরজুড়ে থমথমে ভাব। শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি খুবই কম। মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আজ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির সংখ্যা ৩০ শতাংশের মতো। অন্য সময় এটি ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ থাকে। বিক্রি কমেছে ওষুধের দোকানেও।
শহরের চৌমোহনার কোর্টরোড এলাকার আহমদীয়া ফার্মেসির মালিক সেলিম আহমেদ বলেন, বিক্রি একেবারে কমে গেছে। তাঁরা ওষুধ কোম্পানির পাওনাও পরিশোধ করতে পারছেন না। নামপ্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক জানান, দিনে তাঁর বিক্রির পরিমাণ কমপক্ষে দেড় লাখ টাকা কমেছে। ভ্যানে ঘুরে পেঁয়াজ, রসুন, আদা বিক্রি করেন নূর উদ্দিন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিক্রির জন্য ২৫ হাজার টাকার জিনিস কিনেছেন। বুধবার থেকে আর কিছু বিক্রি হয়নি। ভয়ে ভ্যান নিয়ে বের হতে পারেননি। অনেক জিনিসেই পচন ধরেছে। রিকশাচালক আব্দুর রশিদ পশ্চিম বড়হাট এলাকায় থাকেন। জানালেন, ভয়ে রিকশা নিয়ে বাইরে যেতে পারছেন না। রোজগার বন্ধ। দেখা হয় নাসিম আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে। তিনি মৌলভীবাজার সরকারি পলিটেকনিকে পড়েন। বাড়ি নবীগঞ্জে। যানবাহন বন্ধ থাকায় সেখান থেকে ভেঙে ভেঙে এসেছেন। এক কিলোমিটার দূরের জুগিডর এলাকা থেকে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছেন পলিটেকনিকে। কথা বলতে বলতেই জানালেন, ক্লাসের সময় হয়ে আসছে। তাই দ্রুত যেতে হবে তাঁকে।
No comments