সীমান্তে উচ্চতম পতাকা বানিয়ে বিপাকে ভারত
ভারত-পাকিস্তান
সীমান্তের ওয়াঘা চৌকিতে ভারত টানিয়েছিল দেশের সবচেয়ে উঁচু জাতীয় পতাকা।
তবে এখন তার জন্যই বিব্রত হচ্ছে ওই দেশটি। একমাস আগে তোলা ওই পতাকাটি এরই
মধ্যে চারবার বদলাতে হয়েছে, কারণ প্রচণ্ড হাওয়ায় ওই পতাকা ছিঁড়ে যাচ্ছে
বারবার। খুব ঘটা করে প্রচার হয়েছিল ভারতের সব থেকে উঁচু ওই পতাকাটি তোলার
সময়। উদ্দেশ্য ছিল ওয়াঘা সীমান্ত থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত
লাহোর থেকে যেন ভারতের এই বিশাল পতাকাটা দেখা যায়। ১০৬ মিটার বা ৩৫০ ফিট
উঁচু ওই পতাকা স্তম্ভটি। এত দ্রুত ছেঁড়া পতাকা বদলাতে খরচ হচ্ছে বিপুল
অংকের অর্থ। ওয়াঘা সীমান্তে যেসব পর্যটক যান নিয়মিত, তারাও সুউচ্চ এই পতাকা
না দেখতে পেয়ে হতাশ হচ্ছেন। ভারতের আইন অনুযায়ী ছিঁড়ে যাওয়া জাতীয় পতাকা
ওড়ানো নিষিদ্ধ। অমৃতসর উন্নয়ন ট্রাস্ট ওই উচ্চতম পতাকা স্তম্ভটির দেখভালের
দায়িত্বে আছে।
ট্রাস্টের চেয়ারম্যান সুরেশ মহাজন এখন বলছেন, এটা অপরাধ
হচ্ছে। জাতীয় পতাকা আমাদের গর্বের বিষয়। সরকারকে আমি অনুরোধ করব একটা তদন্ত
করার। যারা দোষী, তাদের যেন শাস্তি হয়। মনে করা হচ্ছে, এত উঁচু পতাকা
স্তম্ভ তৈরির পরিকল্পনাতেই গলদ ছিল। অত উঁচুতে যে প্রচণ্ড হাওয়ার গতিবেগ
থাকবে আর তার ফলে পতাকা ছিঁড়ে যেতে পারে, সেটা ভাবাই হয়নি। ফ্ল্যাগ
ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়ার প্রধান কে ভি সিং বিবিসিকে জানিয়েছেন, আমরা তখনই
বলেছিলাম যে, এত উঁচু পতাকা স্তম্ভ না বানাতে। ছোট স্তম্ভ করলে বারবার
পতাকা ছিঁড়ে যাওয়ার এই সমস্যা থাকত না। কিন্তু লক্ষ্যটা তো ছিল পাকিস্তানে
বসে সেদেশের লোককে ভারতের উড্ডীয়মান জাতীয় পতাকা দেখানো। শুধু যে ওয়াঘা
সীমান্তের এ পতাকা স্তম্ভ নিয়ে সমস্যা তা নয়। দক্ষিণাঞ্চলীয় হায়দ্রাবাদ
শহরে বসানো ৮৮ মিটার উঁচু একটি জাতীয় পতাকা স্তম্ভের ক্ষেত্রেও একই সমস্যা
হয়েছে আগে। প্রায় সাড়ে চারশ’ বছরের পুরনো হুসেইন সাগর হ্রদের ধারে বসানো ওই
স্তম্ভের পতাকাটি নিয়মিতভাবে ছিঁড়ে যাচ্ছে। বিবিসি।
No comments