এবার গরু পাচারের দায়ে এক মুসলিমকে পিটিয়ে হত্যা ভারতে
এবার
গরু পাচারের অভিযোগে ভারতে এক মুসলিম ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে একদল
গ্রামবাসী। পুলিশ শনিবার জানায়, হিমাচল প্রদেশে বুধবার সন্ধ্যায় নোমান নামে
ওই মুসলিম সহ কয়েকজন একটি ট্রাকে করে গরু পরিবহণ করছিলেন। এটা দেখার পর
তাদের ওপর হামলা করে গ্রামবাসীর। নোমানকে পিটিয়ে মেরেই ফেলা হয়। তবে অন্যরা
ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা ও বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
স্থানীয় পুলিশের সুপারিনটেন্ডেন্ট সোম্য সম্বাসিবন বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই
অভিযুক্তদের ব্যাপারে অনুসন্ধান শুরু করেছি। যেহেতু এটি দলবদ্ধ হামলা ছিল,
তাই অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যামামলা দায়ের করেছি। প্রসঙ্গত, ভারতের
কিছু অঞ্চলে গরু হত্যা নিষিদ্ধ। এর মধ্যে হিমাচল প্রদেশও রয়েছে। দেশটির ৮০
শতাংশই হিন্দু। গরুকে পবিত্র প্রাণি বিবেচনা করে হিন্দুরা। কিন্তু এরপরও
ভারত বিশ্বের সর্ববৃহত গরুর মাংস রপ্তানিকারক ও পঞ্চম বৃহত্তম ভোক্তা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার দেশব্যাপী গরু হত্যা ও গরুর মাংস
ব্যবসা নিষিদ্ধ করতে চায়।
হিমাচল প্রদেশে মৃত্যু হলেও, নোমান নামে ওই ২০ বছর বয়সী মুসলিম যুবক পার্শ্ববর্তী উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গ্রামবাসীরা সন্দেহ করে, পাঁচটি গাভী ও দশটি ষাড় হিমাচল প্রদেশ থেকে উত্তর প্রদেশে নেয়া হচ্ছে জবেহ করার জন্য।
এদিকে গরু পরিবহনের যে অভিযোগ নোমানের বিরুদ্ধে করা হচ্ছে, তা অস্বীকার করেছে তার পরিবার। তাদের দাবি, ট্রাকে করে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি পরিবহণের কাজ ছিল তার। তার পিতা সৈয়দ আখতার বলেন, সে নির্দোষ। সম্ভবত গরু পরিবহনের বিষয়ে সে জানতোও না। সৈয়দ আখতারের অভিযোগ, উগ্র ডানপন্থী বাজরঙ্গ দল এ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
এ ঘটনা এমন সময় ঘটলো, যখন রাজধানী নয়াদিল্লির কাছে কয়েকসপ্তাহ আগেই গরু হত্যা ও ভক্ষণের গুজব রটিয়ে পঞ্চাশোর্ধ্ব এক মুসলিমকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার পর উত্তর প্রদেশে হিন্দু ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মধ্যে এক ধরণের উত্তেজনা বিরাজ করছে। এছাড়া রাজনীতিবিদরাও জড়িয়ে পড়ছেন বিতর্কে।
উত্তর প্রদেশে গরুর মাংস অবৈধ না হলেও, গরু হত্যা নিষিদ্ধ! গরু সুরক্ষায় অতীতে অনেক সময় রাজনীতিবিদরা কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন। এসবের মূল উদ্দেশ্য, সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু ভোট নিশ্চিত করা। কিন্তু এর ফলে অনেক সময়ই হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা বাঁধে। বিরোধীরা বলছেন, এ মাসে অনুষ্ঠিতব্য উত্তরের রাজ্য বিহারের গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতেই মোদির দল বিজেপি ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। সাম্প্রদায়িক এসব হামলার প্রতিবাদে ভারতের লেখক-সাহিত্যিকরা সরব হয়েছেন। তারা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীনদের নিষ্ক্রিয়তা কিংবা পরোক্ষ উস্কানির বিরুদ্ধে নিজেদের পুরষ্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত দেশটির অন্তত অর্ধ-শতাধিক লেখক ও সাহিত্যিক বিভিন্ন মর্যাদাবান রাষ্ট্রীয় পুরষ্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন। শনিবার উত্তর প্রদেশের লক্ষ্মৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাম্প্রদায়িকতা ও গরু হত্যা নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ‘মিল্ক পার্টি’ আয়োজন করেছে। মুসলিম ধর্মীয় নেতা মৌলানা খালিদ রশিদ ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেন ও গরুর দুধ পান করেন। রশীদ বলেন, এর মাধ্যমে আমরা ভালোবাসার বাণি ছড়িয়ে দিতে চাই। বিশেষ করে তাদের মধ্যে যারা প্রাণিকে নিয়ে একটি ইস্যু তৈরি করে ভারতের বৃহৎ দুই ধর্মের মধ্যে ফাটল ধরাতে চান।
হিমাচল প্রদেশে মৃত্যু হলেও, নোমান নামে ওই ২০ বছর বয়সী মুসলিম যুবক পার্শ্ববর্তী উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গ্রামবাসীরা সন্দেহ করে, পাঁচটি গাভী ও দশটি ষাড় হিমাচল প্রদেশ থেকে উত্তর প্রদেশে নেয়া হচ্ছে জবেহ করার জন্য।
এদিকে গরু পরিবহনের যে অভিযোগ নোমানের বিরুদ্ধে করা হচ্ছে, তা অস্বীকার করেছে তার পরিবার। তাদের দাবি, ট্রাকে করে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি পরিবহণের কাজ ছিল তার। তার পিতা সৈয়দ আখতার বলেন, সে নির্দোষ। সম্ভবত গরু পরিবহনের বিষয়ে সে জানতোও না। সৈয়দ আখতারের অভিযোগ, উগ্র ডানপন্থী বাজরঙ্গ দল এ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
এ ঘটনা এমন সময় ঘটলো, যখন রাজধানী নয়াদিল্লির কাছে কয়েকসপ্তাহ আগেই গরু হত্যা ও ভক্ষণের গুজব রটিয়ে পঞ্চাশোর্ধ্ব এক মুসলিমকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার পর উত্তর প্রদেশে হিন্দু ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মধ্যে এক ধরণের উত্তেজনা বিরাজ করছে। এছাড়া রাজনীতিবিদরাও জড়িয়ে পড়ছেন বিতর্কে।
উত্তর প্রদেশে গরুর মাংস অবৈধ না হলেও, গরু হত্যা নিষিদ্ধ! গরু সুরক্ষায় অতীতে অনেক সময় রাজনীতিবিদরা কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন। এসবের মূল উদ্দেশ্য, সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু ভোট নিশ্চিত করা। কিন্তু এর ফলে অনেক সময়ই হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা বাঁধে। বিরোধীরা বলছেন, এ মাসে অনুষ্ঠিতব্য উত্তরের রাজ্য বিহারের গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতেই মোদির দল বিজেপি ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। সাম্প্রদায়িক এসব হামলার প্রতিবাদে ভারতের লেখক-সাহিত্যিকরা সরব হয়েছেন। তারা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীনদের নিষ্ক্রিয়তা কিংবা পরোক্ষ উস্কানির বিরুদ্ধে নিজেদের পুরষ্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত দেশটির অন্তত অর্ধ-শতাধিক লেখক ও সাহিত্যিক বিভিন্ন মর্যাদাবান রাষ্ট্রীয় পুরষ্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন। শনিবার উত্তর প্রদেশের লক্ষ্মৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাম্প্রদায়িকতা ও গরু হত্যা নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ‘মিল্ক পার্টি’ আয়োজন করেছে। মুসলিম ধর্মীয় নেতা মৌলানা খালিদ রশিদ ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেন ও গরুর দুধ পান করেন। রশীদ বলেন, এর মাধ্যমে আমরা ভালোবাসার বাণি ছড়িয়ে দিতে চাই। বিশেষ করে তাদের মধ্যে যারা প্রাণিকে নিয়ে একটি ইস্যু তৈরি করে ভারতের বৃহৎ দুই ধর্মের মধ্যে ফাটল ধরাতে চান।
No comments