বৈদ্যুতিক ফাঁদে পড়ে দুটি বুনো হাতির মৃত্যু
গ্রামবাসীর পাতা বৈদ্যুতিক ফাঁদের তারে জড়িয়ে এ বুনো হাতিটি মারা পড়ে। জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের মাখনেরচর থেকে তোলা। ছবি: জামালপুর প্রতিনিধি |
জামালপুরের
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় গ্রামবাসীর পেতে রাখা বৈদ্যুতিক ফাঁদে আটকা পড়ে দুটি
বুনো হাতি মারা পড়েছে। ডাংধরা ইউনিয়নের মাখনেরচরে গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে
এ ঘটনা ঘটে।
ডাংধরা ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে,এক সপ্তাহ ধরে বাঘারচর সীমান্ত দিয়ে একটি বুনো হাতির পাল খাবারের সন্ধানে ওই ইউনিয়নের মাখনেরচর, বাঘারচর ও পাথরেরচর গ্রামের লোকালয়ে প্রবেশ করে। পালটিতে কমপক্ষে ৩০টি বুনো হাতি থাকে। হাতির পাল ওই তিন গ্রামের রোপা আমন, গম, সরিষা ও আখ খেতসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি করছিল। হাতির পালের থেকে ফসল রক্ষা করতে সপ্তাহ খানেক ধরে ওই গ্রামগুলোর মানুষ রাত জেগে থেকে পাহারা দিয়েছে। গ্রামবাসীরা মশাল জ্বালিয়ে, হই হুল্লোড় করে ও ঢাকঢোল পিটিয়ে হাতির পালটিকে তাড়ানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাতেও বুনো হাতির পালটি গ্রাম ছেড়ে যাচ্ছিল না। এরপর আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে গতকাল রাতে গ্রামবাসীরা জেনারেটরের মাধ্যমে মাখনেরচর গ্রামে একটি বৈদ্যুতিক ফাঁদ পাতে। রাত আটটার সময় মাখনেরচর গ্রামের ওই বৈদ্যুতিক ফাঁদের তারে জড়িয়ে পড়ে দুটি বুনো হাতি মারা পড়ে।
ডাংধরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশিদ বলেন, গত শনিবার থেকে হাতির পাল ওই তিনটি গ্রামে আক্রমণ শুরু করে। ওই সব গ্রামগুলোতে বিদ্যুতের আলো না থাকায় হাতির আক্রমণ সব চেয়ে বেশি ছিল। বৈদ্যুতিক ফাঁদের তারে জড়িয়ে পড়ে দুটি হাতি মারা পড়েছে। তবে কারা ওই বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতেছে,সেটি তিনি জানেন না বলে দাবি করেন তিনি।
দেওয়ানগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম বলেন,‘হাতির মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে হাতি দুটির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে হাতি দুটির ময়নাতদন্ত করা হবে। শনিবার রাতেই মারা পড়া হাতি দুটির সুর, দাঁত ও কান কেটে নেওয়া হয়েছে। তবে, কারা এ কাজ করেছে, সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
ময়মনসিংহের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোবিন্দ রায় বলেন, জেনারেটরের বিদ্যুতের মাধ্যমে ফাঁদ পেতে হাতি দুটিকে মারা হয়েছে। হাতি দুটি মারা যাওয়ার পর কে বা কারা দাঁত, সুর ও কান কেটে নিয়ে গেছে। হাতি দুটির ময়নাতদন্ত শেষে মাখনেরচর গ্রামে মাটিচাপা দেওয়া হবে। এ ঘটনায় বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে দেওয়ানগঞ্জ থানায় মামলা করা হবে।
দেওয়ানগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন বলেন, হাতি দুটি মারা যাওয়ার পর গতকাল রাত থেকেই এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে তদন্ত চলছে। এ ঘটনার সঙ্গে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডাংধরা ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে,এক সপ্তাহ ধরে বাঘারচর সীমান্ত দিয়ে একটি বুনো হাতির পাল খাবারের সন্ধানে ওই ইউনিয়নের মাখনেরচর, বাঘারচর ও পাথরেরচর গ্রামের লোকালয়ে প্রবেশ করে। পালটিতে কমপক্ষে ৩০টি বুনো হাতি থাকে। হাতির পাল ওই তিন গ্রামের রোপা আমন, গম, সরিষা ও আখ খেতসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি করছিল। হাতির পালের থেকে ফসল রক্ষা করতে সপ্তাহ খানেক ধরে ওই গ্রামগুলোর মানুষ রাত জেগে থেকে পাহারা দিয়েছে। গ্রামবাসীরা মশাল জ্বালিয়ে, হই হুল্লোড় করে ও ঢাকঢোল পিটিয়ে হাতির পালটিকে তাড়ানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাতেও বুনো হাতির পালটি গ্রাম ছেড়ে যাচ্ছিল না। এরপর আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে গতকাল রাতে গ্রামবাসীরা জেনারেটরের মাধ্যমে মাখনেরচর গ্রামে একটি বৈদ্যুতিক ফাঁদ পাতে। রাত আটটার সময় মাখনেরচর গ্রামের ওই বৈদ্যুতিক ফাঁদের তারে জড়িয়ে পড়ে দুটি বুনো হাতি মারা পড়ে।
ডাংধরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশিদ বলেন, গত শনিবার থেকে হাতির পাল ওই তিনটি গ্রামে আক্রমণ শুরু করে। ওই সব গ্রামগুলোতে বিদ্যুতের আলো না থাকায় হাতির আক্রমণ সব চেয়ে বেশি ছিল। বৈদ্যুতিক ফাঁদের তারে জড়িয়ে পড়ে দুটি হাতি মারা পড়েছে। তবে কারা ওই বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতেছে,সেটি তিনি জানেন না বলে দাবি করেন তিনি।
দেওয়ানগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম বলেন,‘হাতির মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে হাতি দুটির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে হাতি দুটির ময়নাতদন্ত করা হবে। শনিবার রাতেই মারা পড়া হাতি দুটির সুর, দাঁত ও কান কেটে নেওয়া হয়েছে। তবে, কারা এ কাজ করেছে, সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
ময়মনসিংহের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোবিন্দ রায় বলেন, জেনারেটরের বিদ্যুতের মাধ্যমে ফাঁদ পেতে হাতি দুটিকে মারা হয়েছে। হাতি দুটি মারা যাওয়ার পর কে বা কারা দাঁত, সুর ও কান কেটে নিয়ে গেছে। হাতি দুটির ময়নাতদন্ত শেষে মাখনেরচর গ্রামে মাটিচাপা দেওয়া হবে। এ ঘটনায় বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে দেওয়ানগঞ্জ থানায় মামলা করা হবে।
দেওয়ানগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন বলেন, হাতি দুটি মারা যাওয়ার পর গতকাল রাত থেকেই এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে তদন্ত চলছে। এ ঘটনার সঙ্গে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments