আবারো হামলার আশঙ্কা মার্কিন দূতাবাসের
শনিবার
হালনাগাদ করা এক বার্তায় মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করেছে ঢাকায় মার্কিন
দূতাবাস বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন নাগরিকদের আবারো সতর্ক করে দিয়েছে ঢাকায়
আমেরিকান দূতাবাস। শনিবার সন্ধ্যায় হালনাগাদ করা আমেরিকান দূতাবাসের
নিরাপত্তা বার্তায় এই পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে পশ্চিমা নাগরিকদের উপর আবার সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে, তাদের কাছে এমন নির্ভরযোগ্য তথ্য রয়েছে বলে মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে। ফলে বাংলাদেশে ভ্রমণ বা চলাফেরার সময় মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে দেশটি।
বাংলাদেশে পশ্চিমা নাগরিকদের উপর আবার সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে, তাদের কাছে এমন নির্ভরযোগ্য তথ্য রয়েছে বলে মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে। ফলে বাংলাদেশে ভ্রমণ বা চলাফেরার সময় মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে দেশটি।
মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তা বার্তা
শনিবার প্রকাশিত ওই বার্তায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে দুজন বিদেশী নাগরিককে হত্যার দায় স্বীকার করেছে আইএসআইএল। ভবিষ্যতেও মার্কিন নাগরিকসহ পশ্চিমা দেশগুলোর নাগরিকরা হামলার শিকার হতে পারে বলে তথ্য রয়েছে।
যদিও বাংলাদেশে বিদেশীদের নিরাপত্তা জোরদার করতে বাড়তি পদক্ষেপ নিয়েছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো। কিন্তু সন্ত্রাসের হুমকি রয়ে গেছে বলে মার্কিন দূতাবাস দাবি করেছে।
বার্তায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক হোটেলগুলোতে আয়োজিত বড় জমায়েতসহ অন্যান্য স্থানেও হামলা হতে পারে। তাই বাংলাদেশে ভ্রমণরত বা বসবাসরত মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার জন্য বিশেষভাবে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
দূতাবাসের সরকারি কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জনসমাগমের স্থানে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পায়ে হেটে, রিক্সায়, সাইকেলে বা কোন খোলা বাহনে চলাচল করা যাবে না। এমনকি দূতাবাসের নিরাপত্তা শাখার লিখিত অনুমতি ছাড়া কোন আন্তর্জাতিক হোটেলসহ বাংলাদেশের বড় কোন সমাগমে যেতেও নিষেধ করা হয়েছে।
এর আগেও মার্কিন নাগরিকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্ক বার্তা দিয়েছিল দেশটির দূতাবাস।
সূত্র : বিবিসি
সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা কমলে জঙ্গিবাদের ঝুঁকি বাড়ে : বার্নিকাট
মার্কিন
রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেছেন, সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা কমলে
জঙ্গিবাদের ঝুঁকি বাড়ে। তিনি বলেন, আন্ত:দেশীয় সংঘবদ্ধ অপরাধের কাছে সব
দেশই অরক্ষিত। এটি জননিরাপত্তার জন্য চ্যালেঞ্জ, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য
হুমকি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য প্রতিবন্ধক ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের
জন্য ক্ষতিকর। বিশ্বব্যাপী আন্ত:দেশীয় সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র আইনের শাসনকে
বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বিকল্প শাসনব্যবস্থা চালুর চেষ্টা করছে। বৃহস্পতিবার
রাজধানীর মিরপুর পুলিশ স্টাফ কলেজে আন্ত:দেশীয় সংঘবদ্ধ অপরাধের ওপর আয়োজিত
আঞ্চলিক সম্মেলনে বার্নিকাট বক্তব্য রাখছিলেন। বাংলাদেশ সরকার,
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ও ব্রিটিশ হাইকমিশন যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
বিগত দুই সপ্তাহ হুমকি ও সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তায় পুলিশ ও সব নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর পরিশ্রমের জন্য মার্কিন রাষ্ট্রদূত ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, বিশ্বায়নের এই যুগে আমাদের অবশ্যই একসাথে কাজ করতে হবে। একটি দেশের ঘটনা আরেকটি দেশকে প্রভাবিত করে। আমাদের মনে রাখতে হবে সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা নিজেদের অর্থায়ন ও কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য আন্ত:দেশীয় সংঘবদ্ধ অপরাধকে ব্যবহার করে। আন্ত:দেশীয় সংঘবদ্ধ অপরাধ দমনে আন্তর্জাতিক ঐকমত্য, বহুজাতিক সহযোগিতা ও সরকারি-বেসরকারি খাতের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
বার্নিকাট বলেন, একসময়ে যে সব অপরাধী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপকে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে বিবেচনা করা হতো, একসাথে আমরা তাদের বিনাশ করতে পারি। যৌথ প্রচেষ্টার অর্থ হল সম্পর্ক জোরালো করা, বিশেষ করে সরকারি পর্যায়ে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নিজেদের মধ্যে এবং আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করতে হবে। আন্ত:দেশীয় অপরাধ দমনে তথ্য একটি বিরাট শক্তি। তথ্যের ঘাটতিতে জীবনহানী হয়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের মধ্যে নিবিড় কাজের পরিবেশ থাকা প্রয়োজন। বিচারকদের সামনে যেসব তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করা হয় তা অবশ্যই অপরাধ প্রমাণে কার্যকর হতে হবে, যা আইনের শাসন সমুন্নত রাখবে।
যুক্তরাষ্ট্র আন্ত:দেশীয় সংঘবদ্ধ অপরাধ দমনে বাংলাদেশের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন বার্নিকাট।
বিগত দুই সপ্তাহ হুমকি ও সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তায় পুলিশ ও সব নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর পরিশ্রমের জন্য মার্কিন রাষ্ট্রদূত ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, বিশ্বায়নের এই যুগে আমাদের অবশ্যই একসাথে কাজ করতে হবে। একটি দেশের ঘটনা আরেকটি দেশকে প্রভাবিত করে। আমাদের মনে রাখতে হবে সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা নিজেদের অর্থায়ন ও কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য আন্ত:দেশীয় সংঘবদ্ধ অপরাধকে ব্যবহার করে। আন্ত:দেশীয় সংঘবদ্ধ অপরাধ দমনে আন্তর্জাতিক ঐকমত্য, বহুজাতিক সহযোগিতা ও সরকারি-বেসরকারি খাতের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
বার্নিকাট বলেন, একসময়ে যে সব অপরাধী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপকে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে বিবেচনা করা হতো, একসাথে আমরা তাদের বিনাশ করতে পারি। যৌথ প্রচেষ্টার অর্থ হল সম্পর্ক জোরালো করা, বিশেষ করে সরকারি পর্যায়ে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নিজেদের মধ্যে এবং আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করতে হবে। আন্ত:দেশীয় অপরাধ দমনে তথ্য একটি বিরাট শক্তি। তথ্যের ঘাটতিতে জীবনহানী হয়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের মধ্যে নিবিড় কাজের পরিবেশ থাকা প্রয়োজন। বিচারকদের সামনে যেসব তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করা হয় তা অবশ্যই অপরাধ প্রমাণে কার্যকর হতে হবে, যা আইনের শাসন সমুন্নত রাখবে।
যুক্তরাষ্ট্র আন্ত:দেশীয় সংঘবদ্ধ অপরাধ দমনে বাংলাদেশের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন বার্নিকাট।
No comments