নেপালে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে তোড়জোড়
নেপালের
প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা দেশটির প্রেসিডেন্ট রামবরণ যাদবের সঙ্গে
সাক্ষাৎ করে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরুর অনুরোধ
জানিয়েছেন। তার অনুরোধের প্রেক্ষিতে সংবিধান অনুযায়ী আগামী সাত দিনের মধ্যে
একটি সর্বসম্মতিমূলক সরকার গঠন করতে পার্লামেন্টকে নির্দেশ দিয়েছেন
প্রেসিডেন্ট। রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে পার্লামেন্ট
একজনকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে ব্যর্থ হলে ভোটাভুটির নির্দেশ দেবেন
প্রেসিডেন্ট। এ খবর দিয়েছে নেপালের দৈনিক দ্য হিমালয়ান টাইমস। এর আগে
পার্লামেন্টে সরকার প্রধান হিসেবে এক বিদায়ী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী সুশীল
কৈরালা সংবিধান নিয়ে বিবদমান বিভিন্ন পক্ষকে আলোচনার টেবিলে এসে সমস্যা
সমাধানের আহ্বান জানান। এরপরই তিনি নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন প্রক্রিয়া
শুরু করতে প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ জানানোর ঘোষণা দেন।
প্রসঙ্গত, সুশীল কৈরালার পদত্যাগের বিষয়টি অনেক আগেই অনুমিত ছিল। সদ্য প্রণীত নেপালের সংবিধান অনুযায়ী, এ সংবিধান প্রণয়নের পর পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন শুরুর সাতদিনের মধ্যে রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে নতুন একজন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে হবে। যদি রাজনৈতিক সমঝোতার ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন না করা যায়, তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে হবে।
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়া কৈরালা নিজের ভাষণে বর্তমান জোট সরকারের নেয়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ও অর্জনের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন। এর মধ্যে খসড়া সংবিধান প্রণয়ন ও এপ্রিলের প্রলয়ঙ্করী ভূমিকমপ মোকাবিলা উল্লেখযোগ্য। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পার্লামেন্টে নিজের ভাষণে তিনি নতুন প্রণীত সংবিধানের প্রশংসা করেন। দাবি করেন, এ ঐতিহাসিক দলিল দশকের পর দশক ধরে মানুষের বুনে আসা নিজ প্রতিনিধিদের হাতে লিখিত সংবিধানের স্বপ্ন পূরণ করেছে। এ সংবিধানে মানুষের মৌলিক অধিকারের উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া দেশের সব স্তরে সব মানুষের অংশগ্রহণ ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করেছে বলেও জানান কৈরালা। অংশগ্রহণমূলক কাঠামো থাকায় নেপালের সংবিধান লিখন প্রক্রিয়া দুনিয়ার জন্য অনুসরণযোগ্য বলেও দাবি করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সুশীল কৈরালার পদত্যাগের বিষয়টি অনেক আগেই অনুমিত ছিল। সদ্য প্রণীত নেপালের সংবিধান অনুযায়ী, এ সংবিধান প্রণয়নের পর পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন শুরুর সাতদিনের মধ্যে রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে নতুন একজন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে হবে। যদি রাজনৈতিক সমঝোতার ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন না করা যায়, তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে হবে।
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়া কৈরালা নিজের ভাষণে বর্তমান জোট সরকারের নেয়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ও অর্জনের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন। এর মধ্যে খসড়া সংবিধান প্রণয়ন ও এপ্রিলের প্রলয়ঙ্করী ভূমিকমপ মোকাবিলা উল্লেখযোগ্য। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পার্লামেন্টে নিজের ভাষণে তিনি নতুন প্রণীত সংবিধানের প্রশংসা করেন। দাবি করেন, এ ঐতিহাসিক দলিল দশকের পর দশক ধরে মানুষের বুনে আসা নিজ প্রতিনিধিদের হাতে লিখিত সংবিধানের স্বপ্ন পূরণ করেছে। এ সংবিধানে মানুষের মৌলিক অধিকারের উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া দেশের সব স্তরে সব মানুষের অংশগ্রহণ ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করেছে বলেও জানান কৈরালা। অংশগ্রহণমূলক কাঠামো থাকায় নেপালের সংবিধান লিখন প্রক্রিয়া দুনিয়ার জন্য অনুসরণযোগ্য বলেও দাবি করেন তিনি।
No comments