পাকিস্তানের শান্তি পরিকল্পনা ভারতের প্রত্যাখ্যান
পাকিস্তান ও ভারত সীমান্তের মধ্যকার বিতর্কিত কাশ্মীর অঞ্চলের বিষয়ে চার দফা শান্তি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। উল্টো পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে পাল্টা বক্তব্য দিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। রয়টার্স জানিয়েছে, পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশনের বক্তব্যে এ প্রস্তাব উত্থাপন করলে পরদিন বৃহস্পতিবার প্রস্তাবগুলো প্রত্যাখ্যান করে ভারত। সভায় পাক প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, পরমাণু শক্তিধর দেশ দুটোর উচিত যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করা এবং বিভক্ত অঞ্চলটি থেকে সেনাবাহিনী সরিয়ে নেয়ার জন্যও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। পাকিস্তানের এ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে খুব দ্রুত জবাবে ভারত অভিযোগ করে বলে, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের প্রধান শিকার হলেও ‘বাস্তবতা হল যে তারা নিজেরাই সন্ত্রাসবাদের মদদ ও পৃষ্ঠপোষকতায় নিজেদের নীতির জালে জড়িয়ে পড়েছে।’
সুষমা স্বরাজ তার বক্তব্যে আরও বলেন ‘আমাদের চার দফার প্রয়োজন নেই। আমাদের একটিই দফা- আর তা হল, সন্ত্রাসবাদ ছাড় ও আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বস। চলতি বছরের জুলাই মাসে উফাতে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে যে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয় তা ছিল যথাযথ।’ তিনি বলেন, ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার পরিকল্পনাকারী এখনও পাকিস্তানে মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে, যা গোটা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য অপমানজনক। সুষমা বলেন, পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য হলে চলতি বছর উফায় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীদ্বয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সন্ত্রাসবাদ সংশ্লিষ্ট এনএসএ পর্যায়ের বৈঠক ও সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে ডিজিএমও পর্যায়ের বৈঠক করতে ভারত প্রস্তুত। সুষমা স্বরাজ জাতিসংঘের ৭০তম বার্ষিকীতে ১৯৯৬ সালে ভারতের প্রস্তাবিত কম্প্রিহেনসিভ কনভেনশন অন ইন্টারন্যাশনাল টেররিজম (সিসিআইটি) গ্রহণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বৈশ্বিক শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের ধারক হিসেবে জাতিসংঘের বৈধতা সংরক্ষণে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারেরও আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার খুবই জরুরি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা অভিযানের প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ এবং শান্তিরক্ষা মিশনে দেশটির অবদান আরও বৃদ্ধি করবে। তবে তিনি শান্তিরক্ষা অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এএফপি
No comments