গ্যালারিতে অভব্য আচরণ- দর্শকদের মধ্যেও ক্রিকেটীয় চেতনা বজায় থাকুক
বাংলাদেশের ক্রিকেটের সাফল্যের উচ্ছ্বাসে হঠাৎ মিশেছে এক বিন্দু কলঙ্ক। এই কলঙ্কের দায় কয়েকজন অবিবেচক দর্শকের। চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট খেলার সময় কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড় কাগিসো রাবাদাকে ‘বর্ণবাদী’ কটাক্ষের অভিযোগ উঠেছে কিছু দর্শেকর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ দুই বখাটে কিশোরকে গ্যালারি থেকে বের করে দিয়েছে। বিষয়টি এতটাই গুরুতর ছিল যে ম্যাচ রেফারি চট্টগ্রাম টেস্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন। বিচ্ছিন্ন হলেও কোেনা দর্শকের এ ধরনের আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় ও তা চরম নিন্দনীয়।
বর্ণবাদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দীর্ঘ লড়াইয়ের ফলে সেখানে জাতিগত সমতা এসেছে। জাতিগত নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করা বাংলাদেশ সর্বদাই কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত আফ্রিকার পাশে ছিল। কিন্তু ইদানীং অনলাইন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে জাতবিদ্বেষী বাদ-বিবাদ চলতে দেখা যায়। তার প্রভাব গ্যালারিতে পড়ুক, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। অসুন্দর ও অভব্যকে সব সময় পুলিশ দিয়ে দমন করা যায় না, এর বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা জরুরি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্কৃতিতে এবং আইসিসির নিয়মে বর্ণবাদী আচরণ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের সাফল্যকে সম্মান দেখানোও রেওয়াজ। খেলোয়াড়েরা অতিথি হিসেবে ভিনদেশে আসেন, স্বাগতিক দেশের সুবিধাজনক অবস্থানের বিপরীতে ভিনদেশের মাটিতে প্রতিযোগিতা করেন। অতীত সাক্ষ্য দেবে, বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমী জনতা বরাবরই খেলাকে খেলা হিসেবেই নিয়েছে। কিন্তু এক ফোঁটা চনায় যেমন এক বালতি দুধ নষ্ট হয়, তেমনি কয়েকজনের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের খেসারত দিতে হতে পারে দেশ ও ক্রিকেটভক্তদের। বিদেশি খেলোয়াড় কিংবা বিদেশি দর্শকেরা অসম্মানিত হলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বিশ্বে কেবল নিন্দিতই হবে না, ভেন্যু বর্জনের শাস্তিও পেতে হতে পারে। দু–একজন ব্যক্তির জন্য দেশ, দেশের সেরা ক্রিকেটাররা এবং ক্রিকেটে অভিযাত্রা কেন হুমকির মুখে পড়বে?
বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা নিজেদের উজাড় করে দেশের জন্য গৌরব ও আত্মবিশ্বাস বয়ে আনেন। দর্শকদের রুচিও সেই মানেরই হতে হবে। সুতরাং গ্যালারি ও বাইরে সবার মধ্যে সভ্যতা প্রতিষ্ঠিত হোক।
বর্ণবাদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দীর্ঘ লড়াইয়ের ফলে সেখানে জাতিগত সমতা এসেছে। জাতিগত নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করা বাংলাদেশ সর্বদাই কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত আফ্রিকার পাশে ছিল। কিন্তু ইদানীং অনলাইন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে জাতবিদ্বেষী বাদ-বিবাদ চলতে দেখা যায়। তার প্রভাব গ্যালারিতে পড়ুক, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। অসুন্দর ও অভব্যকে সব সময় পুলিশ দিয়ে দমন করা যায় না, এর বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা জরুরি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্কৃতিতে এবং আইসিসির নিয়মে বর্ণবাদী আচরণ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের সাফল্যকে সম্মান দেখানোও রেওয়াজ। খেলোয়াড়েরা অতিথি হিসেবে ভিনদেশে আসেন, স্বাগতিক দেশের সুবিধাজনক অবস্থানের বিপরীতে ভিনদেশের মাটিতে প্রতিযোগিতা করেন। অতীত সাক্ষ্য দেবে, বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমী জনতা বরাবরই খেলাকে খেলা হিসেবেই নিয়েছে। কিন্তু এক ফোঁটা চনায় যেমন এক বালতি দুধ নষ্ট হয়, তেমনি কয়েকজনের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের খেসারত দিতে হতে পারে দেশ ও ক্রিকেটভক্তদের। বিদেশি খেলোয়াড় কিংবা বিদেশি দর্শকেরা অসম্মানিত হলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বিশ্বে কেবল নিন্দিতই হবে না, ভেন্যু বর্জনের শাস্তিও পেতে হতে পারে। দু–একজন ব্যক্তির জন্য দেশ, দেশের সেরা ক্রিকেটাররা এবং ক্রিকেটে অভিযাত্রা কেন হুমকির মুখে পড়বে?
বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা নিজেদের উজাড় করে দেশের জন্য গৌরব ও আত্মবিশ্বাস বয়ে আনেন। দর্শকদের রুচিও সেই মানেরই হতে হবে। সুতরাং গ্যালারি ও বাইরে সবার মধ্যে সভ্যতা প্রতিষ্ঠিত হোক।
No comments