হারাগাছ ৩১ শয্যা হাসপাতাল: সেবিকা নেই, শুরু থেকেই পড়ে আছে এক্স–রে যন্ত্র
হারাগাছ ৩১ শয্যা হাসপাতাল। বাইরে থেকে দেখতে চমৎকার। কিন্তু সেবিকা, চিকিৎসকসহ নানা সংকট রয়েছে ভেতরে। প্যাথলজি কার্যক্রম নেই। ইনসেটে বন্ধ ফার্মেসির ছবি -প্রথম আলো |
রংপুরের
কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ ৩১ শয্যা হাসপাতালে কোনো সেবিকা নেই। থমকে
যাওয়া এ পরিস্থিতিতে অন্য জায়গা থেকে প্রেষণে তিনজন সেবিকা এনে কোনো রকমে
কাজ চালানো হচ্ছে। চিকিৎসকও আছেন ১৫ জনের জায়গায় মাত্র পাঁচজন। এতে যেমন
ভুগছেন রোগীরা, তেমনি চাপে আছেন চিকিৎসকেরাও।
এ ছাড়া হাসপাতালটি শুরুর পর থেকেই এক্স-রে যন্ত্রটি বাক্সবন্দী হয়ে পড়ে আছে। টেকনিশিয়ান না থাকায় প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরিসহ জরুরি অস্ত্রোপচারের কক্ষও বন্ধ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, পাঁচজন সেবিকা ও চারজন ব্রাদারের সব কটি পদই শূন্য। প্রেষণে পাওয়া তিনজন সেবিকা ও একজন ব্রাদার দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। চিকিৎসকসহ সব মিলিয়ে ৪৮টি পদের মধ্যে হাসপাতালে বর্তমানে ২৯ জন কর্মী আছেন।
হাসপাতালের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আসিফ ফেরদৌস বলেন, হাসপাতালের প্রাণই হলেন সেবিকারা। সেই সেবিকাই এখানে নেই। তিনজন সেবিকাকে ধার (প্রেষণে) করে এনে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। প্রেষণে আসা এসব সেবিকার বেতন আবার হয় অন্য জায়গায়। এতে পড়তে হয় বাড়তি সমস্যায়। তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসকও নেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক। তারপরও আমরা যারা আছি, হয়তো রোগীকে ওষুধ লিখে দিলাম বা কোনো স্যালাইন নেওয়ার পরামর্শ দিলাম। সেবিকার অভাবে দেখা যায়, রোগীর স্যালাইন দেওয়া বা সময়মতো ওষুধ সেবন করানোর দায়িত্বও আমাদের নিতে হয়। এটা হয়রানির মতো হয়ে যায়।’
হাসপাতালের প্রশাসনিক বিভাগের প্রধান সহকারী হারুন উর রশীদ বলেন, ‘১৯৯৭ সাল থেকে চাকরি করছি। তখন থেকেই দেখছি, এক্স-রে মেশিনটি বাক্সবন্দী। রেডিওগ্রাফার পদে কোনো লোক না থাকায় এটি চালু করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান না থাকায় প্যাথলজিক্যাল কার্যক্রমও চালু করা সম্ভব হয়নি। হাসপাতালটি রাজস্ব খাতে নেওয়া হলেও এসব পদ এখনো রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা হয়নি। ফলে এসব পদই নেই হাসপাতালে। এতে রোগীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।’
মহিলা ওয়ার্ডে গত ২৫ জুলাই কাশি নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগী রোকসানা বেগম বলেন, ‘এই হাসপাতালের যন্ত্র খারাপ। টেস্টের জন্য শহরত যাওয়া লাগবে বলে। এলা চিকিৎসা করি, না শহরত যাই, তা নিয়া চিন্তায় আছি।’
শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হওয়া পুরুষ ওয়ার্ডের ৫ নম্বর শয্যার রোগী শমসের আলী বলেন, ‘ডাক্তার মোক দেখছে। মেরা টেস্ট দিছে। এটাত সেগলা হবার নয়। শহরত যাওয়া লাগবি।’
হাসপাতাল সূত্র জানায়, এক ব্যক্তির দান করা প্রায় নয় বিঘা জমির ওপর ১৯৯৬ সালে নির্মিত হয় হাসপাতালটি। পরের বছর থেকে এখানে শুরু হয় চিকিৎসা কার্যক্রম। শুরুর বছরই হাসপাতালের অন্য যন্ত্রাংশের সঙ্গে এক্স-রে মেশিনটিও পাওয়া গিয়েছিল। শুরুর পর থেকেই রেডিওগ্রাফার ও ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান পদও নেই।
জেলা সিভিল সার্জন মোজাম্মেল হক বলেন, হাসপাতালটি শুরুতে উন্নয়ন খাতে ছিল। পরে তা রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত হলেও কয়েকটি পদ এখনো উন্নয়ন খাতে রয়ে গেছে। ফলে সমস্যা হচ্ছে। পুরো পরিস্থিতি জানিয়ে সংকট নিরসনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বারবার লেখা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালটি ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার প্রক্রিয়া চলছে। এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে উন্নয়ন খাতের পদগুলো রাজস্ব খাতে চলে আসবে বলে আশা করা যায়।
এ ছাড়া হাসপাতালটি শুরুর পর থেকেই এক্স-রে যন্ত্রটি বাক্সবন্দী হয়ে পড়ে আছে। টেকনিশিয়ান না থাকায় প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরিসহ জরুরি অস্ত্রোপচারের কক্ষও বন্ধ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, পাঁচজন সেবিকা ও চারজন ব্রাদারের সব কটি পদই শূন্য। প্রেষণে পাওয়া তিনজন সেবিকা ও একজন ব্রাদার দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। চিকিৎসকসহ সব মিলিয়ে ৪৮টি পদের মধ্যে হাসপাতালে বর্তমানে ২৯ জন কর্মী আছেন।
হাসপাতালের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আসিফ ফেরদৌস বলেন, হাসপাতালের প্রাণই হলেন সেবিকারা। সেই সেবিকাই এখানে নেই। তিনজন সেবিকাকে ধার (প্রেষণে) করে এনে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। প্রেষণে আসা এসব সেবিকার বেতন আবার হয় অন্য জায়গায়। এতে পড়তে হয় বাড়তি সমস্যায়। তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসকও নেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক। তারপরও আমরা যারা আছি, হয়তো রোগীকে ওষুধ লিখে দিলাম বা কোনো স্যালাইন নেওয়ার পরামর্শ দিলাম। সেবিকার অভাবে দেখা যায়, রোগীর স্যালাইন দেওয়া বা সময়মতো ওষুধ সেবন করানোর দায়িত্বও আমাদের নিতে হয়। এটা হয়রানির মতো হয়ে যায়।’
হাসপাতালের প্রশাসনিক বিভাগের প্রধান সহকারী হারুন উর রশীদ বলেন, ‘১৯৯৭ সাল থেকে চাকরি করছি। তখন থেকেই দেখছি, এক্স-রে মেশিনটি বাক্সবন্দী। রেডিওগ্রাফার পদে কোনো লোক না থাকায় এটি চালু করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান না থাকায় প্যাথলজিক্যাল কার্যক্রমও চালু করা সম্ভব হয়নি। হাসপাতালটি রাজস্ব খাতে নেওয়া হলেও এসব পদ এখনো রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা হয়নি। ফলে এসব পদই নেই হাসপাতালে। এতে রোগীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।’
মহিলা ওয়ার্ডে গত ২৫ জুলাই কাশি নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগী রোকসানা বেগম বলেন, ‘এই হাসপাতালের যন্ত্র খারাপ। টেস্টের জন্য শহরত যাওয়া লাগবে বলে। এলা চিকিৎসা করি, না শহরত যাই, তা নিয়া চিন্তায় আছি।’
শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হওয়া পুরুষ ওয়ার্ডের ৫ নম্বর শয্যার রোগী শমসের আলী বলেন, ‘ডাক্তার মোক দেখছে। মেরা টেস্ট দিছে। এটাত সেগলা হবার নয়। শহরত যাওয়া লাগবি।’
হাসপাতাল সূত্র জানায়, এক ব্যক্তির দান করা প্রায় নয় বিঘা জমির ওপর ১৯৯৬ সালে নির্মিত হয় হাসপাতালটি। পরের বছর থেকে এখানে শুরু হয় চিকিৎসা কার্যক্রম। শুরুর বছরই হাসপাতালের অন্য যন্ত্রাংশের সঙ্গে এক্স-রে মেশিনটিও পাওয়া গিয়েছিল। শুরুর পর থেকেই রেডিওগ্রাফার ও ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান পদও নেই।
জেলা সিভিল সার্জন মোজাম্মেল হক বলেন, হাসপাতালটি শুরুতে উন্নয়ন খাতে ছিল। পরে তা রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত হলেও কয়েকটি পদ এখনো উন্নয়ন খাতে রয়ে গেছে। ফলে সমস্যা হচ্ছে। পুরো পরিস্থিতি জানিয়ে সংকট নিরসনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বারবার লেখা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালটি ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার প্রক্রিয়া চলছে। এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে উন্নয়ন খাতের পদগুলো রাজস্ব খাতে চলে আসবে বলে আশা করা যায়।
No comments