সন্ত্রাসবিরোধী আইন- ত্রুটি দূর করে দীর্ঘসূত্রতা থেকে মুক্তি দিন
দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে অনেক সময় প্রচলিত আইনের বাইরেও আলাদা বা বিশেষ আইনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। ২০০৯ সালে সন্ত্রাসবিরোধী যে আইন করা হয়েছিল, তার পেছনে কাজ করেছে এই যুক্তি। প্রশ্ন হচ্ছে, নতুন এই আইন দিয়ে কী ফল মিলল? গত পাঁচ বছরে এই আইনে মামলা হয়েছে ৩৫০টি, কিন্তু এর একটিরও নিষ্পত্তি হয়নি।
প্রচলিত আইনের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতার যে সমস্যা ও অভিযোগ রয়েছে, সন্ত্রাসবিরোধী আইন কার্যত সেটাকেও ছাড়িয়ে গেছে। কারণ, প্রচলিত আইনে অনেক ক্ষেত্রে পাঁচ বছরে মামলার নিষ্পত্তি হয়ে যায়। প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে এ ক্ষেত্রে মূলত দুটি সমস্যার কথা উঠে এসেছে। প্রথমত, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ত্রুটি, দ্বিতীয়ত, সরকারি কৌঁসুলিদের গাফিলতি। এই দুটি বিষয়কেই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।
সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী এই মামলার শুরু থেকে তা আদালতের আমলে নেওয়া পর্যন্ত চার ধাপে চার দফা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিতে হয়। এই আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও জটিলতাই দীর্ঘসূত্রতার কারণ। একটি মামলার ক্ষেত্রে চার দফা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেওয়ার বিধান কেবল অযৌক্তিক নয়, বিচারব্যবস্থার প্রতি অনাস্থার শামিল।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের যথাযথ প্রয়োগ করে জঙ্গিদের বিচার নিশ্চিত করতে চাইলে দ্রুত এই সমস্যা দূর করা জরুরি। আইনমন্ত্রী সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেছেন, আইন সংশোধন করতে হলে তা মন্ত্রিসভায় তুলতে হবে, সেটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তিনি বর্তমান আইনেই বিচারকাজ শেষ করার পক্ষে বলে জানিয়েছেন। কিন্তু তাতে কতটা সুফল দেবে, সে বিষয়ে সন্দেহ আছে।
দেশবাসী সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতার বিরুদ্ধে মন্ত্রীদের রাজনৈতিক বক্তৃতা–বিবৃতি শুনতে চায় না। তারা চায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সত্যিকার পদক্ষেপ। এসব অপতৎপরতার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে শাস্তি দিতে হবে। সরকারি কৌঁসুলিদের বিরুদ্ধে গাফিলতির যেসব অভিযোগ উঠেছে, আইন মন্ত্রণালয়ের উচিত তা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া। অন্যথায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনটি অকার্যকর হতে বাধ্য।
প্রচলিত আইনের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতার যে সমস্যা ও অভিযোগ রয়েছে, সন্ত্রাসবিরোধী আইন কার্যত সেটাকেও ছাড়িয়ে গেছে। কারণ, প্রচলিত আইনে অনেক ক্ষেত্রে পাঁচ বছরে মামলার নিষ্পত্তি হয়ে যায়। প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে এ ক্ষেত্রে মূলত দুটি সমস্যার কথা উঠে এসেছে। প্রথমত, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ত্রুটি, দ্বিতীয়ত, সরকারি কৌঁসুলিদের গাফিলতি। এই দুটি বিষয়কেই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।
সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী এই মামলার শুরু থেকে তা আদালতের আমলে নেওয়া পর্যন্ত চার ধাপে চার দফা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিতে হয়। এই আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও জটিলতাই দীর্ঘসূত্রতার কারণ। একটি মামলার ক্ষেত্রে চার দফা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেওয়ার বিধান কেবল অযৌক্তিক নয়, বিচারব্যবস্থার প্রতি অনাস্থার শামিল।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের যথাযথ প্রয়োগ করে জঙ্গিদের বিচার নিশ্চিত করতে চাইলে দ্রুত এই সমস্যা দূর করা জরুরি। আইনমন্ত্রী সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেছেন, আইন সংশোধন করতে হলে তা মন্ত্রিসভায় তুলতে হবে, সেটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তিনি বর্তমান আইনেই বিচারকাজ শেষ করার পক্ষে বলে জানিয়েছেন। কিন্তু তাতে কতটা সুফল দেবে, সে বিষয়ে সন্দেহ আছে।
দেশবাসী সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতার বিরুদ্ধে মন্ত্রীদের রাজনৈতিক বক্তৃতা–বিবৃতি শুনতে চায় না। তারা চায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সত্যিকার পদক্ষেপ। এসব অপতৎপরতার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে শাস্তি দিতে হবে। সরকারি কৌঁসুলিদের বিরুদ্ধে গাফিলতির যেসব অভিযোগ উঠেছে, আইন মন্ত্রণালয়ের উচিত তা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া। অন্যথায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনটি অকার্যকর হতে বাধ্য।
No comments