‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ’ মন্তব্যের জন্য অর্থমন্ত্রীকে অপসারণ করতে হবে : হেফাজতে ইসলাম
‘কওমি
মাদরাসার পদ্ধতি ভয়াবহ বিপজ্জনক’ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের এরূপ
মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ
বাবুনগরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী আজ বুধবার এক
বিবৃতিতে বলেছেন, পশ্চিমা সাম্রাজ্যগোষ্ঠীর অর্থায়নে পরিচালিত কতিপয় এনজিওর
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত কওমি মাদরাসাকে ‘ভয়াবহ
বিপজ্জনক’ বলে মন্তব্য করেছেন। প্রকৃতপক্ষে কওমি মাদরাসা নয়; আবুল মাল
আবদুল মুহিতরা এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা এমনকি অস্তিত্বের
জন্য ভয়াবহ বিপজ্জনক। কওমি মাদরাসা এদেশের হাজার বছরের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও
দেশাত্ববোধের প্রতীক। কওমি মাদরাসা সৎ, নীতিবান, দেশপ্রেমিক আদর্শ নাগরিক
সৃষ্টি করে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতরা জীবনের বড় সময়
সাম্রাজ্যবাদীদের কোলে বড় হয়েছেন। নিজেদের সন্তান-সন্ততিদের পশ্চিমা দেশে
পাঠিয়ে পড়াশোনা করিয়েছেন। এবং জীবনের বাকি সময় তাদের দালালি করে নিমক হালাল
করার চেষ্টায় আছেন।
বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, বর্তমান সরকারের যেসব মন্ত্রী অতিকথন, ইসলামের বিধান সম্পর্কে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও বেসামাল মন্তব্য এবং কওমি মাদরাসা-বিরোধী মিথ্যাচারের জন্য ইতোমধ্যে দেশবাসীর কাছে পরিত্যক্ত জ্ঞানপাপী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন; আবুল মাল আবদুল মুহিত তাদের অন্যতম। কিছুদিন আগেও মুসলমান নামধারী এ লোকটি কুরআনের সুস্পষ্ট ঘোষণা সূদ হারাম হওয়াকে প্রত্যাখ্যান করে তা বৈধ বলে ‘ফতোয়া’ দিয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে একেক বিষয়ে অসংলগ্ন কথা বলে তিনি গণমাধ্যমের শিরোনাম হলেও সুস্থ, রুচিশীল ও বিবেকবান মানুষের কাছে হাসির পাত্রে পরিণত হয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত ক্ষোভ ও দুঃখের সাথে কওমি মাদরাসা সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের গতকালের জঘন্য উক্তি ও মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের দায়িত্বশীলবর্গের কাছে এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান ও শান্তিপ্রিয় জনগণের পক্ষ থেকে দাবি জানাচ্ছি, ইসলামের বিধান সম্পর্কে ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্য ও কওমি মাদরাসাবিরোধী মিথ্যাচারের জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে অপসারণ করতে হবে।’
হেফাজত নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্মের পর ৪৪ বছরে যত সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, হানাহানি, রক্তপাত ও রাষ্ট্রবিরোধী, জাতিসত্তাবিনাশী ষড়যন্ত্র হয়েছে তার একশ’ ভাগের একভাগও কওমি মাদরাসার অঙ্গণে ঘটেনি। আবুল মাল আবদুল মুহিতদের চোখে যদি হিংসার কালো পর্দা না থাকে তবে তারা পরিষ্কার দেখবেন দেশের কোনো কওমি মাদরাসার ছাত্ররা পরস্পরকে চাপাতি নিয়ে ধাওয়া করে না, শিক্ষাঙ্গণের ক্যাম্পাসে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় না, প্রকাশ্য রাজপথে কুপিয়ে বা গুলি করে মানুষ হত্যা করে না, বিশ্ববিদ্যালয়ের পবিত্র অঙ্গণে ধর্ষণের সেঞ্চুরি করে না, শিক্ষকদের ওপর হামলা করে না। কওমি মাদরাসা যুগযুগ ধরে শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নীতিবান, সচ্চরিত্র ও দেশপ্রেমিক আদর্শ নাগরিক সৃষ্টির জন্য ইসলামী শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন। আবুল মাল আবদুল মুহিত ‘কওমি মাদরাসার পদ্ধতিকে বিপজ্জনক’ মন্তব্য করে নিজেদের অন্তরে লালিত বিপজ্জনক ইসলাম বিদ্বেষকে নিজের অজান্তে প্রকাশ করে দিলেন। আমরা সব দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে সংযত ও দায়িত্বশীল মন্তব্য করার জন্য আহ্বান জানাই। যদি ধর্ম অবমাননামূলক মন্তব্য, কওমি মাদরাসা সম্পর্কে মিথ্যাচার ও উস্কানিমূলক মন্তব্যকারীদের লাগাম টেনে ধরা না হয় তাহলে দেশপ্রেমিক মুসলিম জনতা প্রয়োজনে এসব শয়তানী শক্তির অ্যাজেন্টদের রাজপথেই প্রতিরোধ করবে।
বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, বর্তমান সরকারের যেসব মন্ত্রী অতিকথন, ইসলামের বিধান সম্পর্কে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও বেসামাল মন্তব্য এবং কওমি মাদরাসা-বিরোধী মিথ্যাচারের জন্য ইতোমধ্যে দেশবাসীর কাছে পরিত্যক্ত জ্ঞানপাপী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন; আবুল মাল আবদুল মুহিত তাদের অন্যতম। কিছুদিন আগেও মুসলমান নামধারী এ লোকটি কুরআনের সুস্পষ্ট ঘোষণা সূদ হারাম হওয়াকে প্রত্যাখ্যান করে তা বৈধ বলে ‘ফতোয়া’ দিয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে একেক বিষয়ে অসংলগ্ন কথা বলে তিনি গণমাধ্যমের শিরোনাম হলেও সুস্থ, রুচিশীল ও বিবেকবান মানুষের কাছে হাসির পাত্রে পরিণত হয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত ক্ষোভ ও দুঃখের সাথে কওমি মাদরাসা সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের গতকালের জঘন্য উক্তি ও মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের দায়িত্বশীলবর্গের কাছে এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান ও শান্তিপ্রিয় জনগণের পক্ষ থেকে দাবি জানাচ্ছি, ইসলামের বিধান সম্পর্কে ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্য ও কওমি মাদরাসাবিরোধী মিথ্যাচারের জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে অপসারণ করতে হবে।’
হেফাজত নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্মের পর ৪৪ বছরে যত সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, হানাহানি, রক্তপাত ও রাষ্ট্রবিরোধী, জাতিসত্তাবিনাশী ষড়যন্ত্র হয়েছে তার একশ’ ভাগের একভাগও কওমি মাদরাসার অঙ্গণে ঘটেনি। আবুল মাল আবদুল মুহিতদের চোখে যদি হিংসার কালো পর্দা না থাকে তবে তারা পরিষ্কার দেখবেন দেশের কোনো কওমি মাদরাসার ছাত্ররা পরস্পরকে চাপাতি নিয়ে ধাওয়া করে না, শিক্ষাঙ্গণের ক্যাম্পাসে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় না, প্রকাশ্য রাজপথে কুপিয়ে বা গুলি করে মানুষ হত্যা করে না, বিশ্ববিদ্যালয়ের পবিত্র অঙ্গণে ধর্ষণের সেঞ্চুরি করে না, শিক্ষকদের ওপর হামলা করে না। কওমি মাদরাসা যুগযুগ ধরে শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নীতিবান, সচ্চরিত্র ও দেশপ্রেমিক আদর্শ নাগরিক সৃষ্টির জন্য ইসলামী শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন। আবুল মাল আবদুল মুহিত ‘কওমি মাদরাসার পদ্ধতিকে বিপজ্জনক’ মন্তব্য করে নিজেদের অন্তরে লালিত বিপজ্জনক ইসলাম বিদ্বেষকে নিজের অজান্তে প্রকাশ করে দিলেন। আমরা সব দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে সংযত ও দায়িত্বশীল মন্তব্য করার জন্য আহ্বান জানাই। যদি ধর্ম অবমাননামূলক মন্তব্য, কওমি মাদরাসা সম্পর্কে মিথ্যাচার ও উস্কানিমূলক মন্তব্যকারীদের লাগাম টেনে ধরা না হয় তাহলে দেশপ্রেমিক মুসলিম জনতা প্রয়োজনে এসব শয়তানী শক্তির অ্যাজেন্টদের রাজপথেই প্রতিরোধ করবে।
No comments