সরকার কি সাংবাদিকদের বিপক্ষে? সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ নিরসনে পদক্ষেপ নিন
বাংলাদেশে সাংবাদিকতা ক্রমেই বিপৎসংকুল হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যাঁরা ঢাকার বাইরে জেলা পর্যায়ে সাংবাদিকতা করেন, তাঁরা স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন বেশি। প্রথম আলোর বাউফল প্রতিনিধি মিজানুর রহমান যার সাম্প্রতিক উদাহরণ। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দুর্নীতি নিয়ে তিনি প্রতিবেদন করায় তুচ্ছ অজুহাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ তাঁর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। একটি মামলায় জামিন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা ঠুকে দেওয়া হয়েছে।
আমরা মনে করি, এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। দেশে একের পর এক সাংবাদিককে নির্যাতন ও হয়রানির ঘটনায় সম্পাদক পরিষদ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আমরা তাদের এই উদ্বেগের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করছি।
অতীতেও প্রথম আলোসহ বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকেরা পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন। এমনকি জাতীয় পত্রিকার সম্পাদকদের বিরুদ্ধেও ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। এটি ব্যক্তিবিশেষ নয়, সাংবাদিকতার ওপরই বড় হুমকি।
মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিবেদন অনুসারে, গত জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হাতে সাংবাদিক হয়রানি ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ১১টি। এর বাইরে হত্যার হুমকি এসেছে নয়টি। সব মিলিয়ে কোনো না কোনো প্রকার সাংবাদিক হয়রানির ঘটনা ঘটেছে ১০৬টি। ইতিমধ্যে কয়েকজন সম্পাদক, প্রকাশক ও সাংবাদিক বিচারাধীন মামলায় আটকও রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) সরকারের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছে। দেশে ও বিদেশের বিভিন্ন সংগঠনের এসব উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সরকারের নীতিনির্ধারকদের টনক নাড়াবে কি?
যে সমাজে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতাশালী ব্যক্তিরা সাংবাদিকদের শত্রু মনে করেন, সেই সমাজে গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা গভীরভাবে হুমকিগ্রস্ত।
আমরা মনে করি, এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। দেশে একের পর এক সাংবাদিককে নির্যাতন ও হয়রানির ঘটনায় সম্পাদক পরিষদ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আমরা তাদের এই উদ্বেগের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করছি।
অতীতেও প্রথম আলোসহ বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকেরা পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন। এমনকি জাতীয় পত্রিকার সম্পাদকদের বিরুদ্ধেও ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। এটি ব্যক্তিবিশেষ নয়, সাংবাদিকতার ওপরই বড় হুমকি।
মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিবেদন অনুসারে, গত জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হাতে সাংবাদিক হয়রানি ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ১১টি। এর বাইরে হত্যার হুমকি এসেছে নয়টি। সব মিলিয়ে কোনো না কোনো প্রকার সাংবাদিক হয়রানির ঘটনা ঘটেছে ১০৬টি। ইতিমধ্যে কয়েকজন সম্পাদক, প্রকাশক ও সাংবাদিক বিচারাধীন মামলায় আটকও রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) সরকারের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছে। দেশে ও বিদেশের বিভিন্ন সংগঠনের এসব উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সরকারের নীতিনির্ধারকদের টনক নাড়াবে কি?
যে সমাজে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতাশালী ব্যক্তিরা সাংবাদিকদের শত্রু মনে করেন, সেই সমাজে গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা গভীরভাবে হুমকিগ্রস্ত।
No comments