তামাশা বললেও নির্বাচনে বিএনপি by হাবিবুর রহমান খান
সিটি
কর্পোরেশন নির্বাচনকে ‘তামাশা’ বলে আখ্যা দিলেও শেষ পর্যন্ত এতে অংশ নেবে
বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা। ইতিমধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সম্ভাব্য মেয়র ও
কাউন্সিলর প্রার্থীরা মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। চূড়ান্ত হয়েছে চট্টগ্রাম মেয়র
প্রার্থীর নাম। তবে নির্বাচনের পাশাপাশি বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট
আন্দোলনও জারি রাখবে। এমন আভাস দিয়েছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। তবে এই
আন্দোলনের চরিত্র কী চলমান অবরোধ-হরতালের মতো গতানুগতিক হবে, না ভিন্ন কোনো
মেজাজ পাবে তা এখনও স্পষ্ট করা হয়নি।
এদিকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, এ মুহূর্তে সাধারণ মানুষের দাবি- বিরোধী জোট চলমান আন্দোলন স্থগিত করে সিটি নির্বাচনে অংশ নিক। পাশাপাশি জোটনেত্রী খালেদা জিয়া সরকারকে তার পূর্বঘোষিত মৌলিক দাবির কথা আর একবার স্মরণ করে দিতে পারেন। সাফ জানিয়ে দিতে পারেন, একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের জন্য জাতীয় সংলাপ খুবই জরুরি। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকালীন সময়ের মধ্যেই সরকারকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তা না হলে তিন সিটির নির্বাচন শেষে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তিনি আরও কঠোর আন্দোলনের ঘোষণাও দিতে পারেন। তারা মনে করেন, বিএনপি চেয়ারপারসন এখন এমন একটি রাজনৈতিক ট্রামকার্ড খেলতে পারলে তা অনেকের কাছে যেমন গ্রহণযোগ্যতা পাবে, তেমনি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এতে যদি নীরব ভোট বিপ্লবে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থীরা শেষ হাসি হাসতে পারেন তবে তা হবে বিএনপির জন্য শাপেবর। বিএনপি সে সময় বলতে পারবে, জনগণ সরকারের সঙ্গে নেই। ভোটাররা রাষ্ট্র ক্ষমতায় বিএনপিকেই দেখতে চায়। পরিস্থিতি সে রকম হলে সরকার সংলাপ আয়োজন করাসহ মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতেও বাধ্য হবে।
এ প্রসঙ্গে ২০ দলীয় জোটের কয়েকজন নীতিনির্ধারক যুগান্তরকে জানিয়েছেন, রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে তাদের এখন অনেক দিক মাথায় রেখে এগোতে হচ্ছে। সরকারের নানামুখী নির্যাতন ও স্বৈরাচারী আচরণে বিএনপি ও তার শরিকদের রাজপথের অবস্থান অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মী জেলে। যারা বাইরে আছেন তাদের অনেকে আত্মগোপনে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। তা সত্ত্বেও ৮০ দিনের টানা আন্দোলনে জোটকে এখন সাধারণ মানুষের মতামতকেও প্রাধান্য দিতে হচ্ছে। একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, এসব দিক বিবেচনায় নিয়েই ২০ দল এ মুহূর্তে যেমন জয়লাভের উদ্দেশ্যে সিটি নির্বাচনে শক্তভাবে অংশ নেবে, তেমনি নির্বাচনী মাঠে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রতিষ্ঠা করতে সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে যেমন কিছু নেই; তেমনি দীর্ঘ এই আন্দোলন-সংগ্রামের ফসলও ঘরে তুলতে হবে। যারা রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে আন্দোলন করেন তাদের সব দিক মাথায় রাখতে হয়।
জোটের অপর একজন নেতা বলেন, তাদের নির্মোহ যুক্তি হল- আন্দোলনের অংশ হিসেবেই নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনী দৌড়ে থাকা না থাকা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে ক্ষমতাসীনদের ওপর। তিনি জানান, এই জোট মূলত জাতীয় নির্বাচনের দাবি আদায় করতে আরও অর্থবহ ও কার্যকর আন্দোলনে নামার কথা ভাবছে। পাশাপাশি তারা নিশ্চিতভাবে এটাও মনে করেন, তিন সিটি নির্বাচনে জয়ের মুকুট ছিনিয়ে আনতে পারলে জাতীয় নির্বাচনের দাবি আরও বেগবান হবে।
এদিকে দলীয় সূত্র জানায়, সিটি নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হলে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব কিছুটা হলেও কমে আসবে, যা পরবর্তীকালে চলমান সংকট সমাধানে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। তাই শুভাকাক্সক্ষীদের পরামর্শেই সিটি নির্বাচনে যাওয়ার জন্য এক রকম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খালেদা জিয়া। তিনি চাচ্ছেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই যত দ্রুত সম্ভব চলমান এ সংকট সমাধান করতে। তবে শেষ পর্যন্ত সরকার ইতিবাচক সাড়া না দিলে টানা আন্দোলন ছাড়া ২০ দলের সামনে আর কোনো পথ খোলা থাকবে না।
এদিকে সিটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, ‘ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে অবশ্যই গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপি। কিন্তু পূর্বশর্ত হিসেবে সরকারকে দৃশ্যমান লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি তাদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মুক্তি দিয়ে নির্বিঘেœ প্রচার-প্রচারণা করতে দিলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনে যাওয়া মানে আন্দোলন থেকে সরে আসা নয়। আন্দোলনের অংশ হিসেবেই তারা নির্বাচনে যাবে। আমরা মনে করি, আন্দোলন ও নির্বাচন একে অপরের পরিপূরক। তাই আন্দোলন ও নির্বাচন একসঙ্গে চলবে। নির্বাচনে অংশ নিলে আন্দোলন আরও গতিশীল হবে।’
জানা গেছে, নির্বাচনে অংশ নেয়ার চূড়ান্ত ঘোষণা দেয়ার আগে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকাণ্ড গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বিএনপির হাইকমান্ড। সরকার ও ইসিকে তারা একসঙ্গে চাপে রাখতে চাইছে।
নির্বাচনকে তামাশা বলে বিবৃতি দেয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুগান্তরকে বলেন, এটা সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে মনস্তাত্ত্বিক চাপে রাখার কৌশল। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, বিগত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আগেও তারা এমন অভিযোগ করেছিলেন। গাজীপুর সিটি নির্বাচনের আগের দিনও নির্বাচন কমিশনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলা হয়। এমনকি সরকার নির্বাচনে কারচুপি করতে পারে এমন আশংকার কথাও বলা হয়েছিল। কিন্তু এরপরও তো বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে আসেনি বা নির্বাচন বর্জন করেনি। বিএনপির এই নেতা বলেন, ওইসব নির্বাচনে সরকারের মনোভাব ইতিবাচক ছিল বলেই তারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তাই বিবৃতির বিষয়টি সামনে এনে নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার হিসাব মেলানো ঠিক হবে না। মূলত রাজনৈতিক কৌশল হিসেবেই এসব বিবৃতি দেয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোট তাদের যেসব প্রার্থীকে সিটি নির্বাচনে মনোনয়ন দেবে তাদের নির্বিগ্ন প্রচার-প্রচারণায় সরকার যদি বাধা সৃষ্টি করে সেক্ষেত্রে কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। পরিস্থিতি সে রকম হলে বিএনপি শেষ মুহূর্তেও নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে।
এদিকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, এ মুহূর্তে সাধারণ মানুষের দাবি- বিরোধী জোট চলমান আন্দোলন স্থগিত করে সিটি নির্বাচনে অংশ নিক। পাশাপাশি জোটনেত্রী খালেদা জিয়া সরকারকে তার পূর্বঘোষিত মৌলিক দাবির কথা আর একবার স্মরণ করে দিতে পারেন। সাফ জানিয়ে দিতে পারেন, একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের জন্য জাতীয় সংলাপ খুবই জরুরি। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকালীন সময়ের মধ্যেই সরকারকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তা না হলে তিন সিটির নির্বাচন শেষে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তিনি আরও কঠোর আন্দোলনের ঘোষণাও দিতে পারেন। তারা মনে করেন, বিএনপি চেয়ারপারসন এখন এমন একটি রাজনৈতিক ট্রামকার্ড খেলতে পারলে তা অনেকের কাছে যেমন গ্রহণযোগ্যতা পাবে, তেমনি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এতে যদি নীরব ভোট বিপ্লবে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থীরা শেষ হাসি হাসতে পারেন তবে তা হবে বিএনপির জন্য শাপেবর। বিএনপি সে সময় বলতে পারবে, জনগণ সরকারের সঙ্গে নেই। ভোটাররা রাষ্ট্র ক্ষমতায় বিএনপিকেই দেখতে চায়। পরিস্থিতি সে রকম হলে সরকার সংলাপ আয়োজন করাসহ মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতেও বাধ্য হবে।
এ প্রসঙ্গে ২০ দলীয় জোটের কয়েকজন নীতিনির্ধারক যুগান্তরকে জানিয়েছেন, রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে তাদের এখন অনেক দিক মাথায় রেখে এগোতে হচ্ছে। সরকারের নানামুখী নির্যাতন ও স্বৈরাচারী আচরণে বিএনপি ও তার শরিকদের রাজপথের অবস্থান অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মী জেলে। যারা বাইরে আছেন তাদের অনেকে আত্মগোপনে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। তা সত্ত্বেও ৮০ দিনের টানা আন্দোলনে জোটকে এখন সাধারণ মানুষের মতামতকেও প্রাধান্য দিতে হচ্ছে। একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, এসব দিক বিবেচনায় নিয়েই ২০ দল এ মুহূর্তে যেমন জয়লাভের উদ্দেশ্যে সিটি নির্বাচনে শক্তভাবে অংশ নেবে, তেমনি নির্বাচনী মাঠে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রতিষ্ঠা করতে সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে যেমন কিছু নেই; তেমনি দীর্ঘ এই আন্দোলন-সংগ্রামের ফসলও ঘরে তুলতে হবে। যারা রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে আন্দোলন করেন তাদের সব দিক মাথায় রাখতে হয়।
জোটের অপর একজন নেতা বলেন, তাদের নির্মোহ যুক্তি হল- আন্দোলনের অংশ হিসেবেই নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনী দৌড়ে থাকা না থাকা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে ক্ষমতাসীনদের ওপর। তিনি জানান, এই জোট মূলত জাতীয় নির্বাচনের দাবি আদায় করতে আরও অর্থবহ ও কার্যকর আন্দোলনে নামার কথা ভাবছে। পাশাপাশি তারা নিশ্চিতভাবে এটাও মনে করেন, তিন সিটি নির্বাচনে জয়ের মুকুট ছিনিয়ে আনতে পারলে জাতীয় নির্বাচনের দাবি আরও বেগবান হবে।
এদিকে দলীয় সূত্র জানায়, সিটি নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হলে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব কিছুটা হলেও কমে আসবে, যা পরবর্তীকালে চলমান সংকট সমাধানে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। তাই শুভাকাক্সক্ষীদের পরামর্শেই সিটি নির্বাচনে যাওয়ার জন্য এক রকম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খালেদা জিয়া। তিনি চাচ্ছেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই যত দ্রুত সম্ভব চলমান এ সংকট সমাধান করতে। তবে শেষ পর্যন্ত সরকার ইতিবাচক সাড়া না দিলে টানা আন্দোলন ছাড়া ২০ দলের সামনে আর কোনো পথ খোলা থাকবে না।
এদিকে সিটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, ‘ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে অবশ্যই গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপি। কিন্তু পূর্বশর্ত হিসেবে সরকারকে দৃশ্যমান লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি তাদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মুক্তি দিয়ে নির্বিঘেœ প্রচার-প্রচারণা করতে দিলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনে যাওয়া মানে আন্দোলন থেকে সরে আসা নয়। আন্দোলনের অংশ হিসেবেই তারা নির্বাচনে যাবে। আমরা মনে করি, আন্দোলন ও নির্বাচন একে অপরের পরিপূরক। তাই আন্দোলন ও নির্বাচন একসঙ্গে চলবে। নির্বাচনে অংশ নিলে আন্দোলন আরও গতিশীল হবে।’
জানা গেছে, নির্বাচনে অংশ নেয়ার চূড়ান্ত ঘোষণা দেয়ার আগে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকাণ্ড গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বিএনপির হাইকমান্ড। সরকার ও ইসিকে তারা একসঙ্গে চাপে রাখতে চাইছে।
নির্বাচনকে তামাশা বলে বিবৃতি দেয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুগান্তরকে বলেন, এটা সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে মনস্তাত্ত্বিক চাপে রাখার কৌশল। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, বিগত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আগেও তারা এমন অভিযোগ করেছিলেন। গাজীপুর সিটি নির্বাচনের আগের দিনও নির্বাচন কমিশনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলা হয়। এমনকি সরকার নির্বাচনে কারচুপি করতে পারে এমন আশংকার কথাও বলা হয়েছিল। কিন্তু এরপরও তো বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে আসেনি বা নির্বাচন বর্জন করেনি। বিএনপির এই নেতা বলেন, ওইসব নির্বাচনে সরকারের মনোভাব ইতিবাচক ছিল বলেই তারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তাই বিবৃতির বিষয়টি সামনে এনে নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার হিসাব মেলানো ঠিক হবে না। মূলত রাজনৈতিক কৌশল হিসেবেই এসব বিবৃতি দেয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোট তাদের যেসব প্রার্থীকে সিটি নির্বাচনে মনোনয়ন দেবে তাদের নির্বিগ্ন প্রচার-প্রচারণায় সরকার যদি বাধা সৃষ্টি করে সেক্ষেত্রে কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। পরিস্থিতি সে রকম হলে বিএনপি শেষ মুহূর্তেও নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে।
No comments