দেশপ্রেমিক ও সুনাগরিক তৈরিতে মেরন সান অবদান রাখছে -স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনার আবদুল জলিল মণ্ডল
নগরীর মেরন সান স্কুল এন্ড কলেজ এর চকবাজার ক্যাম্পাস-এর উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন, বার্ষিক ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার ও সনদপত্র প্রদান এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুুষ্ঠান গত ২৬ মার্চ প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯টায় অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্ কর্তৃক অনুষ্ঠান উদ্বোধনের পরপরই শুরু হয় ক্ষুদে শিল্পীদের অংশগ্রহণে উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব। তিনদিন ব্যাপি আয়োজিত ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার সমাপনী দিন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মাননীয় পুলিশ কমিশনার মোহাঃ আবদুল জলিল মণ্ডল বিপিএম। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মিজানুর রহমান চৌধুরী, সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতোয়ালী) শাহ মোহাম্মদ আবদুর রউফ, সহকারী পুলিশ কমিশনার আসিফ মহিউদ্দীন, বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসীন, চকবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ আতিক আহমেদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম মা, শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজ- এর কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট লায়ন সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মহিলা কাউন্সিলর শাহেদা কাসেম সাথী, কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক শাহনাজ পারভীন, চকবাজার ক্যাম্পাসের উপাধ্যক্ষ রাজেশ কান্তি পাল, চান্দগাঁও ক্যাম্পাসের উপাধ্যক্ষ নুর কাসেম তালুকদার, চিফ একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর শিহাব ইকবাল প্রমুখ। আলোচনা সভার পর আমন্ত্রিত অতিথি ও অভিভাবকদের অংশগ্রহণে আকর্ষণীয় বেলুন ফোলানো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং অনুষ্ঠান শেষে ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের হাতে মাননীয় প্রধান অতিথি পুরস্কার তুলে দেন। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন- “প্রতিটি শিক্ষার্থীর লক্ষ্য হতে হবে সৎ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠা এবং এজন্য কেবল ক্লাসে নয়, জীবনেও প্রথম হতে হবে। পিতা-মাতা ও শিক্ষককে মেনে চলার কোন বিকল্প নেই। শৃঙ্খলা ও পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে মেধা ও মননের বিকাশ ঘটাতে পারলেই দেশ এগিয়ে যাবে, মহান মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য অজিত হবে এবং মিশন ২০২১ এর সফল বাস্তবায়ন ঘটবে। স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের মাধ্যমে দেশপ্রেমিক ও সুনাগরিক তৈরিতে মেরন সান অবদান রাখছে।” শিক্ষার্থীদের সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার ব্যাপারে তিনি শিক্ষক ও অভিভাবকদের সহযোগিতা কামনা করেন এবং নিজ থেকেও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্ বলেন, “শিক্ষার্থীরা যদি অন্তরে এই বিশ্বাস ধারণ করে যে, তারা পারবেই, তাদেরকে পারতেই হবে, তাহলে ব্যর্থতা কখনো তাদের জীবনে আসতে পারবে না। এই বিশ্বাসের জোরেই নিরস্ত্র বাঙালিরা সশস্ত্র পাকহানাদারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ও বিজয় ছিনিয়ে আনতে পেরেছিল।” আলোচনা সভা শেষে শুরু হয় মেরন সান সাংস্কৃতিক স্কোয়াডের অংশগ্রহণে নাচ, গান, কৌতুক ইত্যাদিতে সমৃদ্ধ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সমগ্র অনুষ্ঠানের সঞ্চালনের দায়িত্বে ছিলেন শিক্ষক পঞ্জক দাশ, শওকত ওসমান ও শিক্ষিকা স্বপ্না রাণী দত্ত। অনুষ্ঠানে মেরন সান স্কুল এন্ড কলেজ-এর সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকমণ্ডলী উপস্থিত ছিলেন।
No comments