৬০ ভাগ নলকূপে পানি না পাওয়ার শঙ্কা
খুলনায় ভূ–গর্ভস্থ পানির স্তর নামছে |
গ্রীষ্মকাল
না আসতেই খুলনা মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ অনেক এলাকার ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর
আশঙ্কাজনক হারে কমতে শুরু করেছে। এতে গ্রীষ্মকালে নগরের ৬০ ভাগ নলকূপে পানি
না পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনেক এলাকার মানুষ এখনই পানির অভাবে
দুর্ভোগে পড়েছে।
খুলনা ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, নগরের ১৫ লাখ মানুষের প্রতিদিনের পানির চাহিদা ২৪ কোটি লিটার। এর পুরোটাই ভূ-গর্ভ থেকে উত্তোলন করা হয়। এর মধ্যে ওয়াসা ৮৩টি উৎপাদক নলকূপের মাধ্যমে প্রতিদিন ১০ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করে। বাকিটা নগরবাসী হস্তচালিত নলকূপ ও নলকূপে পাম্প লাগিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে উত্তোলন করে।
চলতি মৌসুমে ওয়াসা পরিচালিত গত কয়েক মাসের জরিপ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত বছরের আগস্ট মাসে নগরে পানির গড় স্তর ছিল ১৬ থেকে ১৯ ফুটের মধ্যে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তা নেমে ১৯ থেকে ২৪ ফুটে দাঁড়ায়। আর মার্চের মাঝামাঝিতে তা কোথাও কোথাও ২৭ থেকে ২৮ ফুটে নেমেছে। ওয়াসার প্রকৌশলীরা বলছেন, এর মধ্যে বৃষ্টি না হলে আগামী এপ্রিলে কোথাও কোথাও পানির স্তর ৩০ ফুটের নিচে নেমে যেতে পারে।
পানির স্তর পরিমাপের জন্য ওয়াসার নিয়মিত জরিপ এলাকা ৭০টি। এর মধ্যে মার্চের মাঝামাঝি সময়ে পরিচালিত জরিপের ফলাফল বলছে, নগরের পিটিআই মোড়, নিরালা শিশুপার্ক, সোনাডাঙা ট্রাক টার্মিনাল, খালিশপুর ও মুজগুন্নী এলাকায় পানির স্তর গড়ে ২৫ ফুটে নেমে এসেছে। ২০ থেকে ২৪ ফুটের মধ্যে রয়েছে এমন এলাকার সংখ্যা ২০টিরও বেশি।
এ বিষয়ে খুলনা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ডি কামালউদ্দিন বলেন, সাধারণত পানির স্তর ২৬ ফুটের নিচে নামলে হস্তচালিত নলকূপ থেকে পানি ওঠে না। আর যদি তা ৩০ ফুটের নিচে নেমে যায়, তাহলে বাসা-বাড়িতে মোটর দিয়ে পানি ওঠানোও অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাঁর আশঙ্কা, বৃষ্টি না হলে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে নগরের ৬০ ভাগ হস্তচালিত নলকূপ অকার্যকর হয়ে পড়বে। গত বছর এ সময়টায় বৃষ্টি না হওয়ায় নগরের ২৭টি এলাকায় পানির স্তর স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক নিচে ছিল।
নগরের শেখপাড়া এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, মোটর দিয়ে এখনই তাঁরা পানি বেশি পাচ্ছেন না। পানি আসার গতিও ধীর। সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল এলাকায় গিয়ে জানা যায়, কিছু কিছু হস্তচালিত নলকূপ দিয়ে পানি আসছে না।
আসন্ন এই সংকট মোকাবিলায় স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত সময় পাম্প চালানো, ওয়াসার নিজস্ব ১০ হাজার হস্তচালিত নলকূপ মেরামত ও নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজনসহ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সেখানে নতুন উৎপাদক নলকূপ স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানান ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘বিষয়টিকে আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে দেখছি। দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে এনে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য মধুমতী নদী থেকে পানি এনে তা পরিশোধন করে নগরবাসীর মধ্যে সরবরাহের জন্য খুলনা ওয়াটার সাপ্লাই প্রজেক্ট নামের একটি প্রকল্প চলমান আছে।’
খুলনা ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, নগরের ১৫ লাখ মানুষের প্রতিদিনের পানির চাহিদা ২৪ কোটি লিটার। এর পুরোটাই ভূ-গর্ভ থেকে উত্তোলন করা হয়। এর মধ্যে ওয়াসা ৮৩টি উৎপাদক নলকূপের মাধ্যমে প্রতিদিন ১০ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করে। বাকিটা নগরবাসী হস্তচালিত নলকূপ ও নলকূপে পাম্প লাগিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে উত্তোলন করে।
চলতি মৌসুমে ওয়াসা পরিচালিত গত কয়েক মাসের জরিপ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত বছরের আগস্ট মাসে নগরে পানির গড় স্তর ছিল ১৬ থেকে ১৯ ফুটের মধ্যে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তা নেমে ১৯ থেকে ২৪ ফুটে দাঁড়ায়। আর মার্চের মাঝামাঝিতে তা কোথাও কোথাও ২৭ থেকে ২৮ ফুটে নেমেছে। ওয়াসার প্রকৌশলীরা বলছেন, এর মধ্যে বৃষ্টি না হলে আগামী এপ্রিলে কোথাও কোথাও পানির স্তর ৩০ ফুটের নিচে নেমে যেতে পারে।
পানির স্তর পরিমাপের জন্য ওয়াসার নিয়মিত জরিপ এলাকা ৭০টি। এর মধ্যে মার্চের মাঝামাঝি সময়ে পরিচালিত জরিপের ফলাফল বলছে, নগরের পিটিআই মোড়, নিরালা শিশুপার্ক, সোনাডাঙা ট্রাক টার্মিনাল, খালিশপুর ও মুজগুন্নী এলাকায় পানির স্তর গড়ে ২৫ ফুটে নেমে এসেছে। ২০ থেকে ২৪ ফুটের মধ্যে রয়েছে এমন এলাকার সংখ্যা ২০টিরও বেশি।
এ বিষয়ে খুলনা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ডি কামালউদ্দিন বলেন, সাধারণত পানির স্তর ২৬ ফুটের নিচে নামলে হস্তচালিত নলকূপ থেকে পানি ওঠে না। আর যদি তা ৩০ ফুটের নিচে নেমে যায়, তাহলে বাসা-বাড়িতে মোটর দিয়ে পানি ওঠানোও অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাঁর আশঙ্কা, বৃষ্টি না হলে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে নগরের ৬০ ভাগ হস্তচালিত নলকূপ অকার্যকর হয়ে পড়বে। গত বছর এ সময়টায় বৃষ্টি না হওয়ায় নগরের ২৭টি এলাকায় পানির স্তর স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক নিচে ছিল।
নগরের শেখপাড়া এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, মোটর দিয়ে এখনই তাঁরা পানি বেশি পাচ্ছেন না। পানি আসার গতিও ধীর। সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল এলাকায় গিয়ে জানা যায়, কিছু কিছু হস্তচালিত নলকূপ দিয়ে পানি আসছে না।
আসন্ন এই সংকট মোকাবিলায় স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত সময় পাম্প চালানো, ওয়াসার নিজস্ব ১০ হাজার হস্তচালিত নলকূপ মেরামত ও নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজনসহ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সেখানে নতুন উৎপাদক নলকূপ স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানান ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘বিষয়টিকে আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে দেখছি। দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে এনে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য মধুমতী নদী থেকে পানি এনে তা পরিশোধন করে নগরবাসীর মধ্যে সরবরাহের জন্য খুলনা ওয়াটার সাপ্লাই প্রজেক্ট নামের একটি প্রকল্প চলমান আছে।’
No comments