১৬শ কোটি টাকার নতুন প্রকল্প by মুজিব মাসুদ ও মামুন আব্দুল্লাহ
ভারত
থেকে বিদ্যুৎ আমদানি বাড়াতে নতুন দুটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সরকার। এজন্য
ব্যয় হবে প্রায় ১৬শ’ কোটি টাকা। ভারতের বহরামপুরের সঙ্গে বাংলাদেশের
ভেড়ামারায় বিদ্যমান ৫০০ মেগাওয়াট গ্রিড আন্তঃসংযোগ প্রকল্পের ক্ষমতা বাড়ানো
হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১০৫ কোটি টাকা। আর ভারতের ত্রিপুরা থেকে
কুমিল্লার (দক্ষিণ) উপকেন্দ্র দিয়ে নতুন করে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি
করা হবে। এতে গ্রিড আন্তঃসংযোগ স্থাপনে প্রায় ১৮০ কোটি টাকা ব্যয় করবে
সরকার। শিগগিরই এ প্রকল্প দুটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির
(একনেক) সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে। বিদ্যুৎ বিভাগ ও
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে ভারত থেকে আরও বিদ্যুৎ আমদানি করার পরিকল্পনা রয়েছে। এজন্য ভারতের বহরামপুরের সঙ্গে বাংলাদেশের ভেড়ামারায় বিদ্যমান ৫০০ মেগাওয়াট গ্রিড আন্তঃসংযোগ স্থলে আরেকটি ইউনিট স্থাপন করা হচ্ছে। অর্থাৎ বিদ্যমান হাইভোল্টেজ ডিসি কারেন্ট (এইচভিডিসি)-২ স্থাপন করা হবে। এছাড়া ১২ কিলোমিটার ভেড়ামারা ঈশ্বরদী ২৩০ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইন নির্মাণ হবে। এর মাধ্যমে নতুন করে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। চলতি বছর থেকে ২০১৮ সালের জুন নাগাদ এ প্রকল্প বাস্তবায়নের টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে ভারতের ত্রিপুরা থেকে কুমিল্লা (দক্ষিণ) উপকেন্দ্র দিয়ে নতুন করে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। চলতি মাসেই এ লক্ষ্যে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি)। এর মধ্যে একটি কোরিয়ান, অন্যটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠান। এ প্রকল্পের আওতায় ত্রিপুরা থেকে কুমিল্লা অংশে ৪০ কেভি ডাবল সার্কিড ২৭ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন ও ১৩২ কেভি ডাবল সার্কিট ১৬ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ এবং বিদ্যমান কুমিল্লা দক্ষিণ উপকেন্দ্র ২টি সম্প্রসারণ করা হবে। আগামী বছরের জুনের মধ্যে শেষ হবে এর কাজ।
এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিজিসিবির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে ভারতের সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই এ প্রকল্প দুটি হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ করা পর্যন্ত এ সংক্রান্ত চুক্তিও সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। তিনি বলেন, প্রকল্প দুটির মধ্যে একটিতে দাতা সংস্থার সহায়তা রয়েছে, অন্যটি সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, দেশে বিদ্যুতের চাহিদা দ্রুত গতিতে বাড়ছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে সরকার বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। গত কয়েক বছর থেকে দেয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব। কিন্তু এরপরও বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবেলা করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি জরুরি হয়ে পড়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, ভারতের বহরামপুরের সঙ্গে বাংলাদেশের ভেড়ামারায় বিদ্যমান ৫০০ মেগাওয়াট গ্রিড আন্তঃসংযোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪০৪ কোটি ৭৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) দেবে ৮৪৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, জিওবি অর্থায়ন ৪৫৯ কোটি ৫৪ হাজার টাকা এরং পিজিসিবির দেবে ১শ’ কোটি ৩৭ হাজার টাকা। তবে ভারতের ত্রিপুরা থেকে কুমিল্লার (দক্ষিণ) উপকেন্দ্রে গ্রিড আন্তঃসংযোগ প্রকল্পে ব্যয় হবে ১৭৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, যার সম্পূর্ণ জিওবি থেকে বরাদ্দ দেয়া হবে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত প্রকল্পের জন্য এডিবি থেকে অর্থ বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি। তবে বাংলাদেশ-ভারত বৈদ্যুতিক গ্রিড সংযোগ প্রকল্পের অনুকূলে প্রয়োজনীয় অর্থ এ প্রকল্পের জন্য পাওয়া যাবে। এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প শক্তি বিভাগের সদস্য এসএম গোলাম ফারুক যুগান্তরকে বলেন, ক্রমবর্ধমান চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এ প্রকল্প দুটি অনুমোদন বিষয়ে বিবেচনায় নিয়েছে কমিশন। শিগগিরই এটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে ভারত থেকে আরও বিদ্যুৎ আমদানি করার পরিকল্পনা রয়েছে। এজন্য ভারতের বহরামপুরের সঙ্গে বাংলাদেশের ভেড়ামারায় বিদ্যমান ৫০০ মেগাওয়াট গ্রিড আন্তঃসংযোগ স্থলে আরেকটি ইউনিট স্থাপন করা হচ্ছে। অর্থাৎ বিদ্যমান হাইভোল্টেজ ডিসি কারেন্ট (এইচভিডিসি)-২ স্থাপন করা হবে। এছাড়া ১২ কিলোমিটার ভেড়ামারা ঈশ্বরদী ২৩০ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইন নির্মাণ হবে। এর মাধ্যমে নতুন করে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। চলতি বছর থেকে ২০১৮ সালের জুন নাগাদ এ প্রকল্প বাস্তবায়নের টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে ভারতের ত্রিপুরা থেকে কুমিল্লা (দক্ষিণ) উপকেন্দ্র দিয়ে নতুন করে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। চলতি মাসেই এ লক্ষ্যে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি)। এর মধ্যে একটি কোরিয়ান, অন্যটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠান। এ প্রকল্পের আওতায় ত্রিপুরা থেকে কুমিল্লা অংশে ৪০ কেভি ডাবল সার্কিড ২৭ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন ও ১৩২ কেভি ডাবল সার্কিট ১৬ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ এবং বিদ্যমান কুমিল্লা দক্ষিণ উপকেন্দ্র ২টি সম্প্রসারণ করা হবে। আগামী বছরের জুনের মধ্যে শেষ হবে এর কাজ।
এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিজিসিবির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে ভারতের সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই এ প্রকল্প দুটি হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ করা পর্যন্ত এ সংক্রান্ত চুক্তিও সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। তিনি বলেন, প্রকল্প দুটির মধ্যে একটিতে দাতা সংস্থার সহায়তা রয়েছে, অন্যটি সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, দেশে বিদ্যুতের চাহিদা দ্রুত গতিতে বাড়ছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে সরকার বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। গত কয়েক বছর থেকে দেয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব। কিন্তু এরপরও বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবেলা করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি জরুরি হয়ে পড়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, ভারতের বহরামপুরের সঙ্গে বাংলাদেশের ভেড়ামারায় বিদ্যমান ৫০০ মেগাওয়াট গ্রিড আন্তঃসংযোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪০৪ কোটি ৭৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) দেবে ৮৪৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, জিওবি অর্থায়ন ৪৫৯ কোটি ৫৪ হাজার টাকা এরং পিজিসিবির দেবে ১শ’ কোটি ৩৭ হাজার টাকা। তবে ভারতের ত্রিপুরা থেকে কুমিল্লার (দক্ষিণ) উপকেন্দ্রে গ্রিড আন্তঃসংযোগ প্রকল্পে ব্যয় হবে ১৭৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, যার সম্পূর্ণ জিওবি থেকে বরাদ্দ দেয়া হবে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত প্রকল্পের জন্য এডিবি থেকে অর্থ বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি। তবে বাংলাদেশ-ভারত বৈদ্যুতিক গ্রিড সংযোগ প্রকল্পের অনুকূলে প্রয়োজনীয় অর্থ এ প্রকল্পের জন্য পাওয়া যাবে। এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প শক্তি বিভাগের সদস্য এসএম গোলাম ফারুক যুগান্তরকে বলেন, ক্রমবর্ধমান চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এ প্রকল্প দুটি অনুমোদন বিষয়ে বিবেচনায় নিয়েছে কমিশন। শিগগিরই এটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে।
No comments