পুতিনের ‘গোপন প্রেম’
গত
ডিসেম্বরে মস্কোর কেন্দ্রে অবস্থিত একটি ছোট ক্যাফের আশেপাশে হঠাৎ করে
সশস্ত্র বেশ কয়েকটি গাড়ির একটি বহর অবস্থান নিল। স্থানীয় বহু মানুষ জড়ো হয়ে
গেলেন। তাদের ভেতর তখন কৌতূহল খেলা করছে, এ গাড়ির ভেতরের মানুষটি আসলে কে?
তারা অবাক হয়ে ভাবছিলেন, দুনিয়ার এমন গুরুত্বপূর্ণ মানুষটি কে, যার কফি
কিনতে মেশিনগান হাতে বুলেট-নিরোধক পোশাক পরিহিত সৈন্যদলের পাহারা প্রয়োজন?
সবচেয়ে আকর্ষণীয় গাড়িটির দরজা যখন খুলে গেল, তখন উপস্থিত কৌতূহলী মানুষরা
পেয়ে গেলেন তাদের উত্তরটি। গাড়ির ভেতর থেকে বেরিয়ে এলেন এমন এক সুন্দরী
নারী, যার চেহারা উপস্থিত সকলে সঙ্গে সঙ্গে চিনে ফেললেন। তিনি ছিলেন
অ্যালিনা কাবায়েভা, যিনি অলিমিপক স্বর্ণজয়ী একজন সাবেক জিমন্যাস্ট। তবে তার
সবচেয়ে বড় পরিচিতি হচ্ছে, অনেক মানুষই মনে করেন, তিনি রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট
ভ্লাদিমির পুতিনের গোপন প্রেমিকা। কিছু সূত্র জানিয়েছে, তিনি অন্তত এক
শিশুর জননী। তাই তার জন্য এমন নিরাপত্তার বহর ছিল অনুমেয়। পুতিন ও
কাবায়েভার কথিত গোপন প্রেম নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে বৃটেনের দ্য
ডেইলি মেইলে। কাবায়েভাকে খুব কমই প্রকাশ্যে দেখা গেছে।
পুতিনের সঙ্গে তো নয়ই। অনেক রাশিয়ানের মতে, তাই তিনি রাশিয়ার অঘোষিত ফার্স্টলেডি। কিন্তু পুতিনের ব্যক্তিগত অনেক বিষয়ের মতো, অ্যালিনাকেও জনসাধারণের আড়াল করে রাখা হয়েছে। তার ব্যক্তিগত জীবন লুকিয়ে রাশিয়ায় পুতিনের ইমেজটা খুব সতর্কভাবে তৈরি করা হয়েছে। তাকে দেখা হয়, তার দেশের শক্তিমান নায়ক হিসেবে। রাশিয়ান সাংবাদিকদের মতে, পুতিনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে রিপোর্ট করার চেয়ে, রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত বিষয় নিয়ে রিপোর্ট করা সহজ! কেননা, যারা পুতিনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করার সাহস দেখিয়েছে, তারা এর ফল পেয়েছে। তবুও তথ্যের প্রবাহ আটকানো যায়নি। গত সপ্তাহে জার্মানির একটি টেলিভিশনে প্রচারিত হলো পুতিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি। সেখানে দাবি জার্মান গোয়েন্দা সংস্থা বিএনডি’র দলিলাদির উদ্ধৃত দিয়ে দাবি করা হয়েছে, তার সাবেক স্ত্রী ল্যুদমিলাকে বিয়ের পর প্রথম কয়েক বছর মারধর করতেন তিনি। পুতিনের স্ত্রীর দোভাষী হিসেবে কাজ করা এক ছদ্মবেশী নারী এজেন্ট এ তথ্য দিয়েছিলেন। ওই ডকুমেন্টারিতে আরও দাবি করা হয়েছে, পুতিন নিজের বুড়িয়ে যাওয়া নিয়ে বেশ আতঙ্কিত। তারুণ্য জিইয়ে রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা, ব্যায়াম ছাড়াও গরম ও ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করেন তিনি। এ ছাড়া পশ্চিমা একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন মোতাবেক, তিনি এমনকি ২০১০ সালে কপাল ও চোখের নিচের চামড়ার ভাঁজ হয়ে যাওয়া রোধে কিছুটা পরিবর্তন আনিয়েছেন। অনেকে ধারণা করছেন, শরীরের দাগ ও চামড়ার ভাঁজ কমাতে তিনি ওষুধ নিচ্ছেন। নিজের বয়সের প্রায় অর্ধেক বয়সী প্রেমিকার জন্য তার এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য। এ ছাড়া প্রায় তিন দশক ধরে সংসারিক জীবনের পর সাবেক স্ত্রী ল্যুদমিলাকে ডিভোর্সের ঘটনা তো আছেই।
২০১৩ সালের জুনে পুতিন ও ল্যুদমিলা আলাদা হয়ে যান। তাদের সংসারে দুই মেয়ে রয়েছে, তাদের সমপর্কেও কখনও বিস্তারিত জানা যায়নি। নিজেদের বিয়ে-বিচ্ছেদের ঘোষণা দেয়ার সময় পুতিন ও ল্যুদমিলাকে বেশ স্বাভাবিক মনে হচ্ছিল। তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এর পেছনের কাহিনী আরও রগরগে।
গত বছর এ গুজব বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছিল যে, পুতিনের এমন হঠাৎ বিবাহবিচ্ছেদের পর কাবায়েভার সঙ্গে তার সমপর্কের ব্যাপারে আরও বিস্তারিত আসতে পারে। কিন্তু কাবায়েভা সমপর্কে এরপর বলতে গেলে কিছুই জানা যায়নি। ১৯৮৩ সালে তিনি উজবেকিস্তানে জন্মগ্রহণ করেন। সে বছরই পুতিনের সঙ্গে বিয়ে হয় ল্যুদমিলার। গত সাত বছর ধরে পুতিনের সঙ্গে তার কথিত সমপর্ক নিয়ে মস্কোর রাজনীতিক ও সাংবাদিকদের মধ্যে আলোচনা ছিল বেশ তুঙ্গে। আনুষ্ঠানিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পুতিন ও সাবেক শরীরবিদ কাবায়েভার যেসব ছবি প্রকাশিত হয়েছে, তখন তার সামনে পুতিনকে মনে হচ্ছিল স্কুলবালকের মতো লাজুক! প্রেসিডেন্ট পুতিনের আশীর্বাদ নিয়ে তিনি এখন বহু সমপদের মালিক।
২০০৫ সালে জিমন্যাস্টিক থেকে অবসর নেয়ার পর কাবায়েভা হয়ে যান পুতিনের ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির সংসদ সদস্য। গত সেপ্টেম্বরে তার অল্প বয়স ও অভিজ্ঞতার ঘাটতি সত্ত্বেও ক্রেমলিনমুখী একটি বড় মিডিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান বানানো হয় তাকে। গুজব রয়েছে, কাবায়েভার ঘরে পুতিনের অন্তত একটি সন্তান রয়েছে। তবে ২০১১ সালের জানুয়ারিতে, রাশিয়ান ভোগ ম্যাগাজিনের মূল সাক্ষাৎকারে তিনি মা হওয়ার খবর অস্বীকার করেছিলেন। তার দাবি, তার সঙ্গে যে ছোট ছেলে থাকে, সে তার ভাগ্নে। সামপ্রতিক বছর সমূহে পুতিনের সঙ্গে কাবায়েভার সমপর্কের আরও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। গত বছরের শীতকালীন অলিমিপকে তিনি অলিমিপক মশাল বহন করেছিলেন। অথচ, ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকার সময় কাবায়েভা বলবর্ধক ওষুধ সেবনের দায়ে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। সেসময় তার দিকে পুতিনের সহাস্যে তাকিয়ে থাকা কম মানুষেরই নজর এড়িয়েছে। এর কয়েক মাস আগে, রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনে কাবায়েভার ৩০তম জন্মদিন পালন উপলক্ষে তার উপর নির্মিত স্তুতিমূলক ডকুমেন্টারি প্রচারিত হয়েছে। তাকে যে সাংবাদিকই তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন করেছে, কেউই সরাসরি পুতিনের সঙ্গে নাম উল্লেখ করে প্রশ্ন করার সাহস পাননি। তবে কাবায়েভা একবার বলেছিলেন, তিনি একজনকে খুবই ভালবাসেন। সাংবাদিকরা সে ভালবাসার মানুষটির নাম শুনতে চাইলে, কাবায়েভা হেসে কেবল বলেছিলেন, যাক, অবশেষে আপনারা এ প্রশ্ন করতে পেরেছেন! ভাল! গত বছরের ডিসেম্বরে সশস্ত্র বাহিনীর বহর নিয়ে মধ্যরাতে কফি কিনতে দেখা গেছে তাকে। অপরদিকে সমপ্রতি এক সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেছেন যে, তিনিও একজনকে ভালবাসেন এবং তাকেও একজন খুব ভালবাসে। তবে তার পক্ষ থেকে কাবায়েভার বিষয়ে সরাসরি কোন জবাব নেই। ২০০৮ সালে রাশিয়ার ছোট সংবাদপত্র প্রথমবারের মতো এ জুটিকে নিতে সংবাদ প্রকাশ করে। তখন ভুলক্রমে সেখানে বলা হয়েছিল ল্যুদমিলার সঙ্গে পুতিনের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে এবং পুতিন তার দ্বিতীয় বিয়ে করবেন শিগগিরই। এর ফলে পত্রিকার মালিককে বাধ্য করা হয়েছিল পত্রিকাটি বন্ধ করতে। তবে পুতিনের এ গোপন সমপর্কের বিষয়টি ক্রমেই প্রকাশিত হয় বিভিন্ন পত্রিকায়। ২০০৮ সালের জুলাইয়ে অপর একটি পত্রিকা দাবি করে, কাবায়েভা তার উপস্থাপিত একটি অনুষ্ঠান থেকে সরে এসেছেন, কারণ তিনি গর্ভবতি ছিলেন। তবে এক পর্যায়ে ওই প্রতিবেদন ইন্টারনেট থেকে হাওয়া হয়ে যায়! তবে তার গর্ভধারণের আরেকটি প্রমানও ছিল। ২০০৯ সালের ফ্লাইট রেকর্ড থেকে দেখা যায় কাবায়েভা পুতিনের সবচেয়ে বিশ্বস্ত দুই বন্ধুর সঙ্গে প্রাগ থেকে এসেছেন রাশিয়ায়। নিউ ইয়র্ক পোস্টের একটি প্রতিবেদন মোতাবেক, ২০০৯ সালে কাবায়েভা পুতিনের এক পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এছাড়া ২০১২ সালে এক কন্যা সন্তানের জন্মের খবরও প্রকাশিত হয়। এছাড়াও আরও অনেক গুঞ্জন রয়েছে কাবায়েভা ও পুতিনের সমপর্ক নিয়ে। কিন্তু কেউই জানে না, এ সমপর্কের রহস্য আদৌ কখনও প্রকাশ্যে স্বীকার করা হবে কিনা।
পুতিনের সঙ্গে তো নয়ই। অনেক রাশিয়ানের মতে, তাই তিনি রাশিয়ার অঘোষিত ফার্স্টলেডি। কিন্তু পুতিনের ব্যক্তিগত অনেক বিষয়ের মতো, অ্যালিনাকেও জনসাধারণের আড়াল করে রাখা হয়েছে। তার ব্যক্তিগত জীবন লুকিয়ে রাশিয়ায় পুতিনের ইমেজটা খুব সতর্কভাবে তৈরি করা হয়েছে। তাকে দেখা হয়, তার দেশের শক্তিমান নায়ক হিসেবে। রাশিয়ান সাংবাদিকদের মতে, পুতিনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে রিপোর্ট করার চেয়ে, রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত বিষয় নিয়ে রিপোর্ট করা সহজ! কেননা, যারা পুতিনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করার সাহস দেখিয়েছে, তারা এর ফল পেয়েছে। তবুও তথ্যের প্রবাহ আটকানো যায়নি। গত সপ্তাহে জার্মানির একটি টেলিভিশনে প্রচারিত হলো পুতিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি। সেখানে দাবি জার্মান গোয়েন্দা সংস্থা বিএনডি’র দলিলাদির উদ্ধৃত দিয়ে দাবি করা হয়েছে, তার সাবেক স্ত্রী ল্যুদমিলাকে বিয়ের পর প্রথম কয়েক বছর মারধর করতেন তিনি। পুতিনের স্ত্রীর দোভাষী হিসেবে কাজ করা এক ছদ্মবেশী নারী এজেন্ট এ তথ্য দিয়েছিলেন। ওই ডকুমেন্টারিতে আরও দাবি করা হয়েছে, পুতিন নিজের বুড়িয়ে যাওয়া নিয়ে বেশ আতঙ্কিত। তারুণ্য জিইয়ে রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা, ব্যায়াম ছাড়াও গরম ও ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করেন তিনি। এ ছাড়া পশ্চিমা একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন মোতাবেক, তিনি এমনকি ২০১০ সালে কপাল ও চোখের নিচের চামড়ার ভাঁজ হয়ে যাওয়া রোধে কিছুটা পরিবর্তন আনিয়েছেন। অনেকে ধারণা করছেন, শরীরের দাগ ও চামড়ার ভাঁজ কমাতে তিনি ওষুধ নিচ্ছেন। নিজের বয়সের প্রায় অর্ধেক বয়সী প্রেমিকার জন্য তার এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য। এ ছাড়া প্রায় তিন দশক ধরে সংসারিক জীবনের পর সাবেক স্ত্রী ল্যুদমিলাকে ডিভোর্সের ঘটনা তো আছেই।
২০১৩ সালের জুনে পুতিন ও ল্যুদমিলা আলাদা হয়ে যান। তাদের সংসারে দুই মেয়ে রয়েছে, তাদের সমপর্কেও কখনও বিস্তারিত জানা যায়নি। নিজেদের বিয়ে-বিচ্ছেদের ঘোষণা দেয়ার সময় পুতিন ও ল্যুদমিলাকে বেশ স্বাভাবিক মনে হচ্ছিল। তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এর পেছনের কাহিনী আরও রগরগে।
গত বছর এ গুজব বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছিল যে, পুতিনের এমন হঠাৎ বিবাহবিচ্ছেদের পর কাবায়েভার সঙ্গে তার সমপর্কের ব্যাপারে আরও বিস্তারিত আসতে পারে। কিন্তু কাবায়েভা সমপর্কে এরপর বলতে গেলে কিছুই জানা যায়নি। ১৯৮৩ সালে তিনি উজবেকিস্তানে জন্মগ্রহণ করেন। সে বছরই পুতিনের সঙ্গে বিয়ে হয় ল্যুদমিলার। গত সাত বছর ধরে পুতিনের সঙ্গে তার কথিত সমপর্ক নিয়ে মস্কোর রাজনীতিক ও সাংবাদিকদের মধ্যে আলোচনা ছিল বেশ তুঙ্গে। আনুষ্ঠানিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পুতিন ও সাবেক শরীরবিদ কাবায়েভার যেসব ছবি প্রকাশিত হয়েছে, তখন তার সামনে পুতিনকে মনে হচ্ছিল স্কুলবালকের মতো লাজুক! প্রেসিডেন্ট পুতিনের আশীর্বাদ নিয়ে তিনি এখন বহু সমপদের মালিক।
২০০৫ সালে জিমন্যাস্টিক থেকে অবসর নেয়ার পর কাবায়েভা হয়ে যান পুতিনের ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির সংসদ সদস্য। গত সেপ্টেম্বরে তার অল্প বয়স ও অভিজ্ঞতার ঘাটতি সত্ত্বেও ক্রেমলিনমুখী একটি বড় মিডিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান বানানো হয় তাকে। গুজব রয়েছে, কাবায়েভার ঘরে পুতিনের অন্তত একটি সন্তান রয়েছে। তবে ২০১১ সালের জানুয়ারিতে, রাশিয়ান ভোগ ম্যাগাজিনের মূল সাক্ষাৎকারে তিনি মা হওয়ার খবর অস্বীকার করেছিলেন। তার দাবি, তার সঙ্গে যে ছোট ছেলে থাকে, সে তার ভাগ্নে। সামপ্রতিক বছর সমূহে পুতিনের সঙ্গে কাবায়েভার সমপর্কের আরও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। গত বছরের শীতকালীন অলিমিপকে তিনি অলিমিপক মশাল বহন করেছিলেন। অথচ, ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকার সময় কাবায়েভা বলবর্ধক ওষুধ সেবনের দায়ে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। সেসময় তার দিকে পুতিনের সহাস্যে তাকিয়ে থাকা কম মানুষেরই নজর এড়িয়েছে। এর কয়েক মাস আগে, রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনে কাবায়েভার ৩০তম জন্মদিন পালন উপলক্ষে তার উপর নির্মিত স্তুতিমূলক ডকুমেন্টারি প্রচারিত হয়েছে। তাকে যে সাংবাদিকই তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন করেছে, কেউই সরাসরি পুতিনের সঙ্গে নাম উল্লেখ করে প্রশ্ন করার সাহস পাননি। তবে কাবায়েভা একবার বলেছিলেন, তিনি একজনকে খুবই ভালবাসেন। সাংবাদিকরা সে ভালবাসার মানুষটির নাম শুনতে চাইলে, কাবায়েভা হেসে কেবল বলেছিলেন, যাক, অবশেষে আপনারা এ প্রশ্ন করতে পেরেছেন! ভাল! গত বছরের ডিসেম্বরে সশস্ত্র বাহিনীর বহর নিয়ে মধ্যরাতে কফি কিনতে দেখা গেছে তাকে। অপরদিকে সমপ্রতি এক সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেছেন যে, তিনিও একজনকে ভালবাসেন এবং তাকেও একজন খুব ভালবাসে। তবে তার পক্ষ থেকে কাবায়েভার বিষয়ে সরাসরি কোন জবাব নেই। ২০০৮ সালে রাশিয়ার ছোট সংবাদপত্র প্রথমবারের মতো এ জুটিকে নিতে সংবাদ প্রকাশ করে। তখন ভুলক্রমে সেখানে বলা হয়েছিল ল্যুদমিলার সঙ্গে পুতিনের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে এবং পুতিন তার দ্বিতীয় বিয়ে করবেন শিগগিরই। এর ফলে পত্রিকার মালিককে বাধ্য করা হয়েছিল পত্রিকাটি বন্ধ করতে। তবে পুতিনের এ গোপন সমপর্কের বিষয়টি ক্রমেই প্রকাশিত হয় বিভিন্ন পত্রিকায়। ২০০৮ সালের জুলাইয়ে অপর একটি পত্রিকা দাবি করে, কাবায়েভা তার উপস্থাপিত একটি অনুষ্ঠান থেকে সরে এসেছেন, কারণ তিনি গর্ভবতি ছিলেন। তবে এক পর্যায়ে ওই প্রতিবেদন ইন্টারনেট থেকে হাওয়া হয়ে যায়! তবে তার গর্ভধারণের আরেকটি প্রমানও ছিল। ২০০৯ সালের ফ্লাইট রেকর্ড থেকে দেখা যায় কাবায়েভা পুতিনের সবচেয়ে বিশ্বস্ত দুই বন্ধুর সঙ্গে প্রাগ থেকে এসেছেন রাশিয়ায়। নিউ ইয়র্ক পোস্টের একটি প্রতিবেদন মোতাবেক, ২০০৯ সালে কাবায়েভা পুতিনের এক পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এছাড়া ২০১২ সালে এক কন্যা সন্তানের জন্মের খবরও প্রকাশিত হয়। এছাড়াও আরও অনেক গুঞ্জন রয়েছে কাবায়েভা ও পুতিনের সমপর্ক নিয়ে। কিন্তু কেউই জানে না, এ সমপর্কের রহস্য আদৌ কখনও প্রকাশ্যে স্বীকার করা হবে কিনা।
No comments