ওসি নিজেই যেখানে নিরাপত্তাহীন by মহিউদ্দীন জুয়েল
আতঙ্কে
আছেন থানার ওসি। ভুগছেন নিরাপত্তাহীনতায়। বাধ্য হয়ে তাই থানায় দায়ের
করেছেন জিডি। চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিনকে নিয়ে চলছে
এমনি ঘটনা। গত কয়েক দিন ধরে তার মোবাইল ফোনে কে বা কারা তাকে হত্যার হুমকি
দিচ্ছে। একইসঙ্গে একটি ফেইসবুকে তাকে দেখে নেয়ার কথা বলায় দুশ্চিন্তা
বেড়েছে পুলিশ বিভাগেও।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ বিভাগে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন ওসি মহসিন। নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে তার ভূমিকাকে বড় করে দেখছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। কিন্তু গত ১৫ দিনের বেশি সময় ধরে নামসর্বস্ব একটি ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে ওসি মহসিনের নানা কর্মকাণ্ডের ছবি পোস্ট করছে কে বা কারা। এসব ছবিতে হরতালে তার নানা অ্যাকশানের দৃশ্য ফুটে উঠছে। সর্বশেষ গত ২৪শে ফেব্রুয়ারি তার দুটি ছবি পোস্ট করা নিয়ে শুরু হয় তোলপাড়।
ছবিটি ছিল শহরের শাহ আমানত সেতু এলাকায়। সেখানে হরতাল ও নাশকতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন ওসি মহসিন। তার পাশে ছিলেন নগর পুলিশের উপ-কমিশনার কামরুল আমিন ও সহকারী কমিশনার শাহ আবদুর রউফ। ওই ছবিতে তাকে লালগোল চিহ্নিত করে কুখ্যাত বলা হয়েছে। একই সঙ্গে একজন লিখেছেন জনতা আজ জেগে উঠেছে। আর ছাড় দেয়া হবে না। যত পরিবারের সে চোখের পানি ঝরিয়েছে তা ফিরিয়ে দেয়া হবে অবিলম্বে।
এই ঘটনার পরই গত ৩রা মার্চ রাতে বাকলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন ওসি মহসিন। এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, বাঁশের কেল্লা নামের একটি পেইজ থেকে এসব হুমকি দেয়া হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে পোস্ট করা সব ছবি ও লেখা জনৈক শামস নুরুল ইসলাম ও ওমর ফারুক সুজন নামে দুজন ফেসবুক ব্যবহারকারীর সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। ঘটনাটি জীবনের জন্য হুমকি বলে মনে করছি। একই সঙ্গে সম্মান হানিকর।
জানতে চাইলে ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, আমি হুমকিকে ভয় পাই না। তবে গত কয়েক দিন ধরে আমাকে নিয়ে যেভাবে লেখা হচ্ছে তাতে খানিক বিচলিত। হরতাল, অবরোধে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। সামনেও করবো।
তিনি আরও বলেন, যারা এসব ছবি পোস্ট করছে তারা খুবই কৌশলী। পুলিশ বিভাগের ওপর এদের নজর রয়েছে। বিশেষ করে আমরা যেখানেই যাচ্ছি সেখান থেকেই ছবি পোস্ট করে নানা ধরনের অশ্লীল মন্তব্য লিখছে। বিষয়টি ওপরের মহলকে জানানো হয়েছে।
নগর পুলিশের একটি সূত্র জানায়, বাকলিয়া থানার ওসি মহসিনের জিডি দায়েরের ঘটনাটি পুলিশ বিভাগে জোর আলোচনা চলছে। ফেইসবুকে মন্তব্যকারীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বনজ কুমার মজুমদার বলেন, মহসিন সাহেবের ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান শুরু করেছি।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ বিভাগে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন ওসি মহসিন। নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে তার ভূমিকাকে বড় করে দেখছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। কিন্তু গত ১৫ দিনের বেশি সময় ধরে নামসর্বস্ব একটি ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে ওসি মহসিনের নানা কর্মকাণ্ডের ছবি পোস্ট করছে কে বা কারা। এসব ছবিতে হরতালে তার নানা অ্যাকশানের দৃশ্য ফুটে উঠছে। সর্বশেষ গত ২৪শে ফেব্রুয়ারি তার দুটি ছবি পোস্ট করা নিয়ে শুরু হয় তোলপাড়।
ছবিটি ছিল শহরের শাহ আমানত সেতু এলাকায়। সেখানে হরতাল ও নাশকতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন ওসি মহসিন। তার পাশে ছিলেন নগর পুলিশের উপ-কমিশনার কামরুল আমিন ও সহকারী কমিশনার শাহ আবদুর রউফ। ওই ছবিতে তাকে লালগোল চিহ্নিত করে কুখ্যাত বলা হয়েছে। একই সঙ্গে একজন লিখেছেন জনতা আজ জেগে উঠেছে। আর ছাড় দেয়া হবে না। যত পরিবারের সে চোখের পানি ঝরিয়েছে তা ফিরিয়ে দেয়া হবে অবিলম্বে।
এই ঘটনার পরই গত ৩রা মার্চ রাতে বাকলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন ওসি মহসিন। এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, বাঁশের কেল্লা নামের একটি পেইজ থেকে এসব হুমকি দেয়া হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে পোস্ট করা সব ছবি ও লেখা জনৈক শামস নুরুল ইসলাম ও ওমর ফারুক সুজন নামে দুজন ফেসবুক ব্যবহারকারীর সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। ঘটনাটি জীবনের জন্য হুমকি বলে মনে করছি। একই সঙ্গে সম্মান হানিকর।
জানতে চাইলে ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, আমি হুমকিকে ভয় পাই না। তবে গত কয়েক দিন ধরে আমাকে নিয়ে যেভাবে লেখা হচ্ছে তাতে খানিক বিচলিত। হরতাল, অবরোধে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। সামনেও করবো।
তিনি আরও বলেন, যারা এসব ছবি পোস্ট করছে তারা খুবই কৌশলী। পুলিশ বিভাগের ওপর এদের নজর রয়েছে। বিশেষ করে আমরা যেখানেই যাচ্ছি সেখান থেকেই ছবি পোস্ট করে নানা ধরনের অশ্লীল মন্তব্য লিখছে। বিষয়টি ওপরের মহলকে জানানো হয়েছে।
নগর পুলিশের একটি সূত্র জানায়, বাকলিয়া থানার ওসি মহসিনের জিডি দায়েরের ঘটনাটি পুলিশ বিভাগে জোর আলোচনা চলছে। ফেইসবুকে মন্তব্যকারীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বনজ কুমার মজুমদার বলেন, মহসিন সাহেবের ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান শুরু করেছি।
No comments