জোট নেত্রীর সাথে কূটনীতিকদের সাক্ষাৎ- দমন-পীড়ন নয়, সংলাপে বসুন
যুক্তরাষ্ট্রসহ
৯টি প্রভাবশালী রাষ্ট্র ও সংস্থার কূটনীতিকেরা গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ২০
দলীয় জোট নেত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দুই ঘণ্টার
বেশি সময় বৈঠক করেছেন। তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা
হচ্ছে, এমন জোর গুঞ্জরনের মধ্যে তারা এ দীর্ঘ সাক্ষাৎ করলেন। গণতান্ত্রিক
অধিকার হরণকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট রাজনৈতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত দেশে সমঝোতার
মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আরো আগে থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সব পক্ষ
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে। বিরোধীদলীয় রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে
পুরোদমে দমন-নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে। অপর দিকে, সমঝোতার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত
সরকার কোনো ধরনের সাড়া দেয়নি। এ অস্বাভাবিক অবস্থায় দেশের মানুষের মধ্যে
উদ্বেগ, হতাশা ও শঙ্কা বিরাজ করছে।
ঢাকায় নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাটের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি, ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক ও ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতেরা বেগম জিয়ার সাথে বৈঠক করেন। দুই ঘণ্টা তারা চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকের পর অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার গ্রেগ কক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা গত ১ মার্চ চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেছি। এর ধারাবাহিকতায়ই আমরা বিএনপি চেয়ারপারসনের সাথে সাক্ষাৎ করেছি। আমরা আলোচনা করেছি দেশের স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধি, মানবাধিকার রক্ষা ও গণতন্ত্র বিকাশে করণীয় নিয়ে। আমরা মনে করি, এসবের জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা তৈরি করা। আর সহিংসতা এ পথে বাধা।’ আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্রে এ দেশগুলো বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাদের বক্তব্য ও মনোভাবের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বপরিসরে তারা বাংলাদেশের স্বার্থে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে সক্ষম। সর্বোপরি, তারা সবাই বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। যে সময় খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের তোড়জোড় চলছে, ঠিক সে সময় তার সাথে তাদের সাক্ষাৎ অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। বরাবরের মতো তাদের বক্তব্য হচ্ছে, সমঝোতার জন্য সংলাপ প্রয়োজন। জাতিসঙ্ঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র আগেই এ আহ্বান জানিয়েছে। নাগরিক সমাজসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছ থেকে একই আহ্বান ধনিত হচ্ছে বারবার।
এত দিনে বিষয়টি আর কেউ অস্বীকার করার সুযোগ নেই যে, চলমান সঙ্কট একটি রাজনৈতিক সমস্যা। এর মূলে রয়েছে গণতান্ত্রিক পরিবেশের অনুপস্থিতি। আরো নির্দিষ্ট করে বললে, ভোটারবিহীন ও বড় রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ ব্যতিরেকে অনুষ্ঠিত একটি নির্বাচন। এ অবস্থার সমাধান হতে পারে কেবল নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের সত্যিকার উদ্যোগ নেয়ার মাধ্যমে। এখন পর্যন্ত সরকারের অবস্থান এর ধারে-কাছেও নেই। ক্ষমতাসীনেরা বিরোধী দলের আন্দোলনকে সন্ত্রাস ও নাশকতা বলে উড়িয়ে দিতে চাইছেন। অথচ দেশ-বিদেশের সবাই একবাক্যে এটিকে রাজনৈতিক সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে এর শান্তিপূর্ণ সমাধানে সরকারকে তাগিদ দিচ্ছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তাগিদের সাথে সাথে দেশের মানুষের উৎকণ্ঠা ও শঙ্কাকে সরকার অচিরেই আমলে নেবে, এমন প্রত্যাশা সবার।
ঢাকায় নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাটের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি, ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক ও ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতেরা বেগম জিয়ার সাথে বৈঠক করেন। দুই ঘণ্টা তারা চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকের পর অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার গ্রেগ কক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা গত ১ মার্চ চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেছি। এর ধারাবাহিকতায়ই আমরা বিএনপি চেয়ারপারসনের সাথে সাক্ষাৎ করেছি। আমরা আলোচনা করেছি দেশের স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধি, মানবাধিকার রক্ষা ও গণতন্ত্র বিকাশে করণীয় নিয়ে। আমরা মনে করি, এসবের জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা তৈরি করা। আর সহিংসতা এ পথে বাধা।’ আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্রে এ দেশগুলো বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাদের বক্তব্য ও মনোভাবের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বপরিসরে তারা বাংলাদেশের স্বার্থে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে সক্ষম। সর্বোপরি, তারা সবাই বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। যে সময় খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের তোড়জোড় চলছে, ঠিক সে সময় তার সাথে তাদের সাক্ষাৎ অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। বরাবরের মতো তাদের বক্তব্য হচ্ছে, সমঝোতার জন্য সংলাপ প্রয়োজন। জাতিসঙ্ঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র আগেই এ আহ্বান জানিয়েছে। নাগরিক সমাজসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছ থেকে একই আহ্বান ধনিত হচ্ছে বারবার।
এত দিনে বিষয়টি আর কেউ অস্বীকার করার সুযোগ নেই যে, চলমান সঙ্কট একটি রাজনৈতিক সমস্যা। এর মূলে রয়েছে গণতান্ত্রিক পরিবেশের অনুপস্থিতি। আরো নির্দিষ্ট করে বললে, ভোটারবিহীন ও বড় রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ ব্যতিরেকে অনুষ্ঠিত একটি নির্বাচন। এ অবস্থার সমাধান হতে পারে কেবল নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের সত্যিকার উদ্যোগ নেয়ার মাধ্যমে। এখন পর্যন্ত সরকারের অবস্থান এর ধারে-কাছেও নেই। ক্ষমতাসীনেরা বিরোধী দলের আন্দোলনকে সন্ত্রাস ও নাশকতা বলে উড়িয়ে দিতে চাইছেন। অথচ দেশ-বিদেশের সবাই একবাক্যে এটিকে রাজনৈতিক সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে এর শান্তিপূর্ণ সমাধানে সরকারকে তাগিদ দিচ্ছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তাগিদের সাথে সাথে দেশের মানুষের উৎকণ্ঠা ও শঙ্কাকে সরকার অচিরেই আমলে নেবে, এমন প্রত্যাশা সবার।
No comments