কূটনৈতিক তৎপরতায় নতুন মাত্রা
রাজনৈতিক
দলগুলোর মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির কূটনৈতিক তৎপরতায় নতুন মাত্রা এসেছে। এ
তৎপরতায় পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ উন্নয়ন
সহযোগী জাপান ও অন্যতম বিনিয়োগকারী দক্ষিণ কোরিয়া। রাজনৈতিক অস্থিতিশীল
পরিবেশে চরমপন্থার উত্থান, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে প্রতিবন্ধকতা ও বিনিয়োগ
পরিবেশ বিনষ্ট হওয়া আশঙ্কা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দেশ দু’টিকে এই
বিরোধ নিষ্পত্তির কূটনৈতিক তৎপরতায় সক্রিয় করেছে। সম্প্রতি
প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার চেয়ে ১৬ দেশের মিশনপ্রধানেরা চিঠি দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপের ১৪টি পশ্চিমা দেশের সাথে এ
প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। একই ধরনের চিঠি বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কাছেও দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া
চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী গত রোববার
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এই ১৬ দেশের মিশনপ্রধানদের দেয়া এক ব্রিফিংয়ে
দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন এবং তাদের
বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। আর গত মঙ্গলবার বেগম খালেদা জিয়া কূটনীতিকদের
সাথে সরাসরি কথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দূতাবাসগুলোর সাথে আলাপ করে জানা গেছে, মুক্তিপণের দাবিতে গত মাসে ইসলামি স্টেটের (আইএস) হাতে দু’জন জাপানি নাগরিকের শিরশ্ছেদ করে হত্যা এবং বিশ্বের যেখানেই জাপানি নাগরিক পাওয়া যাবে সেখানেই হামলা হবে- আইএসের এমন হুমকি অন্যান্য দেশের মতো ঢাকায় অবস্থিত জাপানের দূতাবাসকেও চিন্তিত করে তুলেছে। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির কাছে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়কে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা এবং তার স্ত্রীকে গুরুতর জখম করার ঘটনা চরমপন্থার উত্থানের একটি নমুনা হিসেবে দেখছে জাপান। রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিবেশে চরমপন্থার দ্রুত বিস্তারে পশ্চিমা দেশগুলোর মতো তারাও আতঙ্কিত। পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প থেকে অস্ত্র-বিস্ফোরক দ্রব্যসহ চরমপন্থীদের আটকের ঘটনা এ আতঙ্ক আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। বিরোধী দলের লাগাতার রাজনৈতিক কর্মসূচি মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত হওয়া চরমপন্থীদের বিকাশে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করছে বলে মনে করছে তারা। এ অবস্থায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে প্রধান দলগুলোর মধ্যে বিরোধ নিরসনকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন কূটনীতিকরা। অভিজিৎ হত্যার বিষয়কে গুরুত্বের সাথে নিয়ে তদন্তে সহায়তার জন্য এফবিআইকে সম্পৃক্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটে এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া চায় জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। এ ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে তারা সহমত পোষণ করে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিতর্কিত নির্বাচনের পরপরই এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে দেশ দুটো। ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত শিরো সাডোশিমা এ সময় দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো সমঝোতায় পৌঁছতে না পারায় আমরা খুবই অসন্তুষ্ট।
সহিংসতার ভীতি ছাড়া প্রতিনিধি নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষের তীব্র আকাক্সক্ষার প্রতি সজাগ রয়েছে জাপান। রাজনৈতিক দলগুলো বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার নিশ্চিত করতে দলমত নির্বিশেষে জরুরি উদ্যোগ নেবে বলে জাপান আশা করে। একই সময়ে ঢাকায় নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি ইউন-ইয়ং ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদি বন্ধু দেশ কোরিয়া মনে করে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসে দ্রুত শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারবে।
এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টোকিও সফর এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ঢাকা সফরে দুই সরকারের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়ন হলেও বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার নিশ্চিত করার পূর্বঘোষিত অবস্থান থেকে জাপান সরে আসেনি। সুযোগ পেলেই বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপর্যায়কে তারা বিষয়টি অবহিত করছে। আর চূড়ান্তভাবে রাজনৈতিক বিরোধ নিষ্পত্তিতে দেশটি পশ্চিমাদের সাথে কূটনৈতিক তৎপরতায় সক্রিয় হয়েছে।
অন্য দিকে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটে এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার ব্যাপারে কোরিয়া বরাবরই সোচ্চার। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ব্রিফিংয়ে দেশটির রাষ্ট্রদূত বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটের রাজনৈতিক অধিকার খর্ব ও তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দূতাবাসগুলোর সাথে আলাপ করে জানা গেছে, মুক্তিপণের দাবিতে গত মাসে ইসলামি স্টেটের (আইএস) হাতে দু’জন জাপানি নাগরিকের শিরশ্ছেদ করে হত্যা এবং বিশ্বের যেখানেই জাপানি নাগরিক পাওয়া যাবে সেখানেই হামলা হবে- আইএসের এমন হুমকি অন্যান্য দেশের মতো ঢাকায় অবস্থিত জাপানের দূতাবাসকেও চিন্তিত করে তুলেছে। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির কাছে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়কে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা এবং তার স্ত্রীকে গুরুতর জখম করার ঘটনা চরমপন্থার উত্থানের একটি নমুনা হিসেবে দেখছে জাপান। রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিবেশে চরমপন্থার দ্রুত বিস্তারে পশ্চিমা দেশগুলোর মতো তারাও আতঙ্কিত। পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প থেকে অস্ত্র-বিস্ফোরক দ্রব্যসহ চরমপন্থীদের আটকের ঘটনা এ আতঙ্ক আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। বিরোধী দলের লাগাতার রাজনৈতিক কর্মসূচি মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত হওয়া চরমপন্থীদের বিকাশে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করছে বলে মনে করছে তারা। এ অবস্থায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে প্রধান দলগুলোর মধ্যে বিরোধ নিরসনকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন কূটনীতিকরা। অভিজিৎ হত্যার বিষয়কে গুরুত্বের সাথে নিয়ে তদন্তে সহায়তার জন্য এফবিআইকে সম্পৃক্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটে এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া চায় জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। এ ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে তারা সহমত পোষণ করে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিতর্কিত নির্বাচনের পরপরই এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে দেশ দুটো। ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত শিরো সাডোশিমা এ সময় দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো সমঝোতায় পৌঁছতে না পারায় আমরা খুবই অসন্তুষ্ট।
সহিংসতার ভীতি ছাড়া প্রতিনিধি নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষের তীব্র আকাক্সক্ষার প্রতি সজাগ রয়েছে জাপান। রাজনৈতিক দলগুলো বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার নিশ্চিত করতে দলমত নির্বিশেষে জরুরি উদ্যোগ নেবে বলে জাপান আশা করে। একই সময়ে ঢাকায় নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি ইউন-ইয়ং ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদি বন্ধু দেশ কোরিয়া মনে করে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসে দ্রুত শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারবে।
এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টোকিও সফর এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ঢাকা সফরে দুই সরকারের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়ন হলেও বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার নিশ্চিত করার পূর্বঘোষিত অবস্থান থেকে জাপান সরে আসেনি। সুযোগ পেলেই বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপর্যায়কে তারা বিষয়টি অবহিত করছে। আর চূড়ান্তভাবে রাজনৈতিক বিরোধ নিষ্পত্তিতে দেশটি পশ্চিমাদের সাথে কূটনৈতিক তৎপরতায় সক্রিয় হয়েছে।
অন্য দিকে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটে এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার ব্যাপারে কোরিয়া বরাবরই সোচ্চার। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ব্রিফিংয়ে দেশটির রাষ্ট্রদূত বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটের রাজনৈতিক অধিকার খর্ব ও তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
No comments