মাহমুদুর রহমান মান্না কোথায়?
নাগরিক
ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না কোথায় আছেন, দীর্ঘ ১৫ ঘণ্টায়ও তা
জানা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁকে আটকের কথা অস্বীকার করছে।
পুলিশ-র্যাবের দাবি, মান্না কোথায় আছেন, তা তাদের জানা নেই। তবে পুলিশ
বলছে, মান্নাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। আর র্যাব বলছে, নির্দেশনা
পেলে তারা এ ব্যাপারে কাজ করবে। এ অবস্থায় সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা
বলছেন, মান্না কোথায় আছেন, তা খুঁজে বের করার দায়িত্ব সরকারেরই। আর
মান্নার অবস্থান না-জানা নিয়ে পুলিশের বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছে
বিএনপি। মান্নার স্ত্রী মেহের নিগার জানান, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত
সাড়ে তিনটার দিকে বনানীতে মান্নার ভাতিজির বাসা থেকে তাঁর স্বামীকে তুলে
নিয়ে যায় সাদা পোশাকধারী পুলিশ। এ সময় তারা কোনো পরোয়ানা দেখায়নি। ঢাকা
মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার ও ডিএমপির মুখপাত্র
মনিরুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার সকালে দাবি করেন, মান্নাকে আটক বা গ্রেপ্তার করার
কোনো তথ্য তাঁর কাছে নেই। পরিবারের অভিযোগের বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখছেন।
তবে ১৫ ঘণ্টা পরও এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি পুলিশ।
আজ সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে যোগাযোগ করা হলে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার লুৎফুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘যেহেতু পরিবারের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে, সেহেতু তাঁকে খুঁজে বের করা আমাদের দায়িত্ব। সে অনুযায়ী আমাদের কাজ চলছে। ’
আজ সন্ধ্যায় র্যাবের পরিচালক (গণমাধ্যম) কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে কোনো কিছু জানি না। ’ তিনি এ প্রতিবেদকের কাছে জানতে চান, এ বিষয়ে কোনো মামলা হয়েছে কি না। সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে জানালে তিনি বলেন, নির্দেশনা এলে অবশ্যই তাঁরা এ ব্যাপারে কাজ করবেন।
মান্নাকে ‘তুলে নিয়ে যাওয়ার’ পর আজ দুপুরে মান্নার ভাই মোবায়েদুর রহমানের স্ত্রী সুলতানা এ বিষয়ে বনানী থানায় জিডি করেন। জিডিতে উল্লেখ করা হয়, গতকাল রাত তিনটার দিকে ডিবি পরিচয় দিয়ে চার থেকে পাঁচজন ব্যক্তি মাহমুদুর রহমান মান্নাকে মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যান।
পরিবারের সদস্যরাও এখন পর্যন্ত মান্নার কোনো খোঁজ পাননি বা তাঁর সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগও হয়নি। মান্নার স্ত্রী মেহের নিগার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, থানা থেকে তাঁদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। তাঁরা সন্ধ্যায় থানায় খবর নিয়েছেন, কিন্তু পুলিশ কিছু জানাতে পারেনি।
দীর্ঘ ১৫ ঘণ্টায় মান্নার অবস্থান সম্পর্কে কোনো কিছু নিশ্চিত না করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান বলেন, ‘সরকারের অবশ্যই জানা উচিত মান্না কোথায়। না জানলে সেটিও বলা উচিত। কারণ জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। জানমালের নিরাপত্তা বিধান সরকারের কর্তব্য। ’
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আরেক উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, ‘মান্না তো বাচ্চা ছেলে না। নিশ্চয় যারা নিয়ে গেছে তাদের পরিচয় নিশ্চিত জেনেই তিনি তাদের সঙ্গে গেছেন। এখন খুঁজে বের করার দায়িত্ব সরকারের। ’ এভাবে ডিবি পরিচয়ে মানুষ তুলে নিয়ে যাওয়া বন্ধ করারও আহ্বান জানান তিনি।
চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় সংলাপের অন্যতম উদ্যোক্তা মান্নার সঙ্গে বিএনপির নেতা সাদেক হোসেন খোকা ও অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির কথোপকথনের অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়। এর ভিত্তিতে বিভিন্ন গণমাধ্যম একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ফোনে এই আলাপচারিতা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। ইউটিউবে প্রকাশিত এই অডিও টেপ নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে আলোচনা চলছে। কথাবার্তার একপর্যায়ে বোঝা গেছে, আলোচনার বেশির ভাগ অংশ ভাইবারে হয়েছে। সেখান থেকেই তাঁদের কথোপকথন ধারণ করে ইন্টারনেটে ছাড়া হয়েছে। দুটি টেলিফোন আলাপচারিতায় বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের সাম্প্রতিক আন্দোলন পরিস্থিতি, সংলাপ, নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগ, সরকারের পদক্ষেপ, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংগঠন ও বিভিন্ন দেশের উদ্যোগ ও ভূমিকা, আন্দোলন চাঙা করার জন্য করণীয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া ও সেনাবাহিনীর ভূমিকাসহ নানা বিষয় উঠে আসে।
আজ সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে যোগাযোগ করা হলে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার লুৎফুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘যেহেতু পরিবারের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে, সেহেতু তাঁকে খুঁজে বের করা আমাদের দায়িত্ব। সে অনুযায়ী আমাদের কাজ চলছে। ’
আজ সন্ধ্যায় র্যাবের পরিচালক (গণমাধ্যম) কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে কোনো কিছু জানি না। ’ তিনি এ প্রতিবেদকের কাছে জানতে চান, এ বিষয়ে কোনো মামলা হয়েছে কি না। সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে জানালে তিনি বলেন, নির্দেশনা এলে অবশ্যই তাঁরা এ ব্যাপারে কাজ করবেন।
মান্নাকে ‘তুলে নিয়ে যাওয়ার’ পর আজ দুপুরে মান্নার ভাই মোবায়েদুর রহমানের স্ত্রী সুলতানা এ বিষয়ে বনানী থানায় জিডি করেন। জিডিতে উল্লেখ করা হয়, গতকাল রাত তিনটার দিকে ডিবি পরিচয় দিয়ে চার থেকে পাঁচজন ব্যক্তি মাহমুদুর রহমান মান্নাকে মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যান।
পরিবারের সদস্যরাও এখন পর্যন্ত মান্নার কোনো খোঁজ পাননি বা তাঁর সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগও হয়নি। মান্নার স্ত্রী মেহের নিগার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, থানা থেকে তাঁদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। তাঁরা সন্ধ্যায় থানায় খবর নিয়েছেন, কিন্তু পুলিশ কিছু জানাতে পারেনি।
দীর্ঘ ১৫ ঘণ্টায় মান্নার অবস্থান সম্পর্কে কোনো কিছু নিশ্চিত না করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান বলেন, ‘সরকারের অবশ্যই জানা উচিত মান্না কোথায়। না জানলে সেটিও বলা উচিত। কারণ জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। জানমালের নিরাপত্তা বিধান সরকারের কর্তব্য। ’
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আরেক উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, ‘মান্না তো বাচ্চা ছেলে না। নিশ্চয় যারা নিয়ে গেছে তাদের পরিচয় নিশ্চিত জেনেই তিনি তাদের সঙ্গে গেছেন। এখন খুঁজে বের করার দায়িত্ব সরকারের। ’ এভাবে ডিবি পরিচয়ে মানুষ তুলে নিয়ে যাওয়া বন্ধ করারও আহ্বান জানান তিনি।
চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় সংলাপের অন্যতম উদ্যোক্তা মান্নার সঙ্গে বিএনপির নেতা সাদেক হোসেন খোকা ও অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির কথোপকথনের অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়। এর ভিত্তিতে বিভিন্ন গণমাধ্যম একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ফোনে এই আলাপচারিতা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। ইউটিউবে প্রকাশিত এই অডিও টেপ নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে আলোচনা চলছে। কথাবার্তার একপর্যায়ে বোঝা গেছে, আলোচনার বেশির ভাগ অংশ ভাইবারে হয়েছে। সেখান থেকেই তাঁদের কথোপকথন ধারণ করে ইন্টারনেটে ছাড়া হয়েছে। দুটি টেলিফোন আলাপচারিতায় বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের সাম্প্রতিক আন্দোলন পরিস্থিতি, সংলাপ, নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগ, সরকারের পদক্ষেপ, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংগঠন ও বিভিন্ন দেশের উদ্যোগ ও ভূমিকা, আন্দোলন চাঙা করার জন্য করণীয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া ও সেনাবাহিনীর ভূমিকাসহ নানা বিষয় উঠে আসে।
No comments