পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের তাৎপর্য by এম হুমায়ূন কবির
বাংলাদেশ
ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কতভাবে লাভবান
হতে পারে, এ বিষয়গুলো বহুল আলোচিত। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের জনগণের উপকৃত
হওয়ার যেসব সম্ভাবনা রয়েছে তা কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে
হবে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশে আসার পর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এতে তার আন্তরিকতার বিষয়টি বিশেষভাবে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আশা করা যায়, তার আন্তরিকতার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের কোনো কোনো ব্যবসায়ী মিডিয়াকে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার সময় পশ্চিমবঙ্গে স্থলবন্দরের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। এ সমস্যা সমাধানে পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন গতি আসবে এটাই স্বাভাবিক।
বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গের মানুষ একই ভাষা ও সংস্কৃতির উত্তরাধিকার বহন করে। যে কোনো বিষয়ে পারস্পরিক বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে এটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। ভাষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে মিল থাকার কারণে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের জনগণ কী কীভাবে উপকৃত হতে পারে, তা খুঁজে বের করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে বইয়ের পাঠকগোষ্ঠীর কথা উল্লেখ করা যায়। বাংলাদেশের বিভিন্ন লেখকের বইয়ের প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মানুষের যেমন ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে তেমনি কলকাতার অনেক লেখক বাংলাদেশে জনপ্রিয়। কাজেই বাংলাদেশের বই পশ্চিমবঙ্গে এবং পশ্চিমবঙ্গের বই বাংলাদেশের পাঠকের কাছে সহজলভ্য করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার কী কী উদ্যোগ নেবে এদিকেও রয়েছে কৌতূহলী পাঠকের বিশেষ দৃষ্টি। সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের জনগণ বিশেষভাবে উপকৃত হতে পারে, এ বিষয়টিও বহুল আলোচিত। সংস্কৃতির আদান-প্রদানসহ এ বিষয়ক বিভিন্ন ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, এটাও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যকার যে কোনো দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বাস্তবায়নে দুদেশের জনগণের উষ্ণতা ও বিশ্বাসও কার্যকর ভূমিকা রাখবে এটাই স্বাভাবিক। গত শতকের নব্বইয়ের দশকে আমি কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালনকালে যে ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা লাভ করেছি তা উল্লেখ করতে চাই। তখন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের বই নিয়ে বইমেলার আয়োজন করার সময় পশ্চিমবঙ্গের জনগণের ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করেছি। মনে আছে, অন্তত ত্রিশ মাইল দূর থেকেও অনেকে সপরিবারে বইমেলায় এসে হাজির হয়েছেন এবং নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী বই ক্রয় করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের অনেক বয়স্ক মানুষ বাংলাদেশের মানচিত্র হাতে নিয়ে বিভিন্ন বয়সী ছেলেমেয়েদের বাংলাদেশে তাদের আদি নিবাসের সঙ্গে পরিচিত করানোর সময় যেভাবে আবেগাপ্লুত হয়েছেন তাতে শেকড়ের প্রতি তাদের বিশেষ আন্তরিকতাই স্পষ্ট হয়েছে।
বাংলাদেশে বসবাসকারী যেসব নাগরিকের আদি নিবাস পশ্চিমবঙ্গে, তারাও মাতৃভূমির প্রতি বিশেষ আকর্ষণ অনুভব করেন এটাই স্বাভাবিক। তাদের এই অনুভূতি কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের জনগণ কতভাবে উপকৃত হতে পারে তাও খুঁজে বের করতে হবে।
শিক্ষাক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগ নিয়ে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের জনগণ বিশেষভাবে উপকৃত হতে পারে। বিশেষ করে তথ্য-প্রযুক্তি খাতে পশ্চিমবঙ্গের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমরা উপকৃত হতে পারি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে উপকৃত হওয়ার যে সম্ভাবনা রয়েছে তা কাজে লাগানোর জন্যও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
সাধারণভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের অভিন্ন নদী ব্যবস্থাপনার প্রসঙ্গ এলে কয়েকটি নদীর নামই বারবার আসে। বাংলাদেশ ও ভারতের অভিন্ন ৫৪টি নদীর যৌথ ব্যবস্থাপনার বিষয়টি আলোচনায় না আসার কারণ সম্ভবত অনেকেই এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে অবগত নন। কাজেই বাংলাদেশের জনগণের সামনে এ বিষয়ক বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার জন্যও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া দরকার। বাংলাদেশ ও ভারতের অভিন্ন নদীর ন্যায্য হিস্যা আদায়ে এ দেশের জনগণকে সোচ্চার হতে হবে। অভিন্ন নদীর ব্যবস্থাপনায় কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হলেই সব পক্ষ এর সুফল পাবে।
সাগরপথে বাংলাদেশ ও ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে আলোচনা চলছে। সাগরপথে বাংলাদেশ ও ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হলে তা পর্যটন খাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। পর্যটন খাতে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার যৌথ উদ্যোগ নিলে এতে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের জনগণ বিশেষভাবে উপকৃত হবে। বিশেষ করে নদীপথে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে যেসব সম্ভাবনা রয়েছে তা কাজে লাগানোর জন্য পদক্ষেপ নেয়া দরকার।
নেপাল ও ভুটান থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রে ভারত সরকারের সহযোগিতার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা দরকার। বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্যের প্রতি পশ্চিমবঙ্গের জনগণের আগ্রহ বাড়ছে। এই ব্যাপক আগ্রহ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ বিশেষভাবে উপকৃত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের যৌথ উদ্যোগে আরও কী কী পদক্ষেপ নেয়া দরকার তা চিহ্নিত করার জন্যও যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া দরকার।
এম হুমায়ূন কবির : সাবেক রাষ্ট্রদূত
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশে আসার পর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এতে তার আন্তরিকতার বিষয়টি বিশেষভাবে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আশা করা যায়, তার আন্তরিকতার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের কোনো কোনো ব্যবসায়ী মিডিয়াকে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার সময় পশ্চিমবঙ্গে স্থলবন্দরের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। এ সমস্যা সমাধানে পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন গতি আসবে এটাই স্বাভাবিক।
বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গের মানুষ একই ভাষা ও সংস্কৃতির উত্তরাধিকার বহন করে। যে কোনো বিষয়ে পারস্পরিক বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে এটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। ভাষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে মিল থাকার কারণে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের জনগণ কী কীভাবে উপকৃত হতে পারে, তা খুঁজে বের করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে বইয়ের পাঠকগোষ্ঠীর কথা উল্লেখ করা যায়। বাংলাদেশের বিভিন্ন লেখকের বইয়ের প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মানুষের যেমন ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে তেমনি কলকাতার অনেক লেখক বাংলাদেশে জনপ্রিয়। কাজেই বাংলাদেশের বই পশ্চিমবঙ্গে এবং পশ্চিমবঙ্গের বই বাংলাদেশের পাঠকের কাছে সহজলভ্য করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার কী কী উদ্যোগ নেবে এদিকেও রয়েছে কৌতূহলী পাঠকের বিশেষ দৃষ্টি। সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের জনগণ বিশেষভাবে উপকৃত হতে পারে, এ বিষয়টিও বহুল আলোচিত। সংস্কৃতির আদান-প্রদানসহ এ বিষয়ক বিভিন্ন ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, এটাও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যকার যে কোনো দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বাস্তবায়নে দুদেশের জনগণের উষ্ণতা ও বিশ্বাসও কার্যকর ভূমিকা রাখবে এটাই স্বাভাবিক। গত শতকের নব্বইয়ের দশকে আমি কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালনকালে যে ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা লাভ করেছি তা উল্লেখ করতে চাই। তখন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের বই নিয়ে বইমেলার আয়োজন করার সময় পশ্চিমবঙ্গের জনগণের ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করেছি। মনে আছে, অন্তত ত্রিশ মাইল দূর থেকেও অনেকে সপরিবারে বইমেলায় এসে হাজির হয়েছেন এবং নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী বই ক্রয় করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের অনেক বয়স্ক মানুষ বাংলাদেশের মানচিত্র হাতে নিয়ে বিভিন্ন বয়সী ছেলেমেয়েদের বাংলাদেশে তাদের আদি নিবাসের সঙ্গে পরিচিত করানোর সময় যেভাবে আবেগাপ্লুত হয়েছেন তাতে শেকড়ের প্রতি তাদের বিশেষ আন্তরিকতাই স্পষ্ট হয়েছে।
বাংলাদেশে বসবাসকারী যেসব নাগরিকের আদি নিবাস পশ্চিমবঙ্গে, তারাও মাতৃভূমির প্রতি বিশেষ আকর্ষণ অনুভব করেন এটাই স্বাভাবিক। তাদের এই অনুভূতি কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের জনগণ কতভাবে উপকৃত হতে পারে তাও খুঁজে বের করতে হবে।
শিক্ষাক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগ নিয়ে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের জনগণ বিশেষভাবে উপকৃত হতে পারে। বিশেষ করে তথ্য-প্রযুক্তি খাতে পশ্চিমবঙ্গের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমরা উপকৃত হতে পারি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে উপকৃত হওয়ার যে সম্ভাবনা রয়েছে তা কাজে লাগানোর জন্যও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
সাধারণভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের অভিন্ন নদী ব্যবস্থাপনার প্রসঙ্গ এলে কয়েকটি নদীর নামই বারবার আসে। বাংলাদেশ ও ভারতের অভিন্ন ৫৪টি নদীর যৌথ ব্যবস্থাপনার বিষয়টি আলোচনায় না আসার কারণ সম্ভবত অনেকেই এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে অবগত নন। কাজেই বাংলাদেশের জনগণের সামনে এ বিষয়ক বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার জন্যও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া দরকার। বাংলাদেশ ও ভারতের অভিন্ন নদীর ন্যায্য হিস্যা আদায়ে এ দেশের জনগণকে সোচ্চার হতে হবে। অভিন্ন নদীর ব্যবস্থাপনায় কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হলেই সব পক্ষ এর সুফল পাবে।
সাগরপথে বাংলাদেশ ও ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে আলোচনা চলছে। সাগরপথে বাংলাদেশ ও ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হলে তা পর্যটন খাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। পর্যটন খাতে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার যৌথ উদ্যোগ নিলে এতে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের জনগণ বিশেষভাবে উপকৃত হবে। বিশেষ করে নদীপথে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে যেসব সম্ভাবনা রয়েছে তা কাজে লাগানোর জন্য পদক্ষেপ নেয়া দরকার।
নেপাল ও ভুটান থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রে ভারত সরকারের সহযোগিতার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা দরকার। বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্যের প্রতি পশ্চিমবঙ্গের জনগণের আগ্রহ বাড়ছে। এই ব্যাপক আগ্রহ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ বিশেষভাবে উপকৃত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের যৌথ উদ্যোগে আরও কী কী পদক্ষেপ নেয়া দরকার তা চিহ্নিত করার জন্যও যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া দরকার।
এম হুমায়ূন কবির : সাবেক রাষ্ট্রদূত
No comments