উত্তরপাড়ার কথা বলে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সম্মানহানি করেছেন
উত্তরপাড়ার
ক্ষমতা দখলের আশঙ্কা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের
সম্মানহানি করেছেন বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক
বিবৃতিতে দলের যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন,
প্রধানমন্ত্রী উত্তরপাড়ার ক্ষমতা দখলের আশঙ্কা প্রকাশ করে রাষ্ট্রীয়
প্রতিষ্ঠানের সম্মানহানি করেছেন। প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে দখলকৃত অবৈধ
ক্ষমতা হারানোর শঙ্কা ও আসন্ন নির্মম পরিণতির ভাবনার কথাই তাতে প্রকাশিত
হয়েছে স্বাভাবিকভাবেই। তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, বহুদলীয়
গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠাকারী দেশের একটি নিয়মতান্ত্রিক সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক
দল। অগণতান্ত্রিক কোন পন্থাকে বিএনপি কখনও স্বীকৃতি দেয়নি। বরং আওয়ামী
লীগের স্বৈরতান্ত্রিক, একনায়কতান্ত্রিক ও নৈরাজ্যকর মানসিকতা ও কর্মকাণ্ডের
কারণেই অগণতান্ত্রিক শক্তির উদয় হয়েছে প্রতিবার। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন,
এদেশের জনগণ জানে- আওয়ামী লীগের পক্ষে শেখ হাসিনা ১৯৮২ সালে সামরিক সরকারকে
স্বাগতম জানিয়েছিলেন। ১৯৮৬ সালে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে ৭ম সংশোধনীর
মাধ্যমে এরশাদের স্বৈরশাসনকে বৈধতা দিয়েছিলেন। তিনিই ২০০৭ সালের মইন
উদ্দিন-ফখরুদ্দীনের ওয়ান-ইলেভেনের মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকে স্বাগত
জানিয়েছিলেন। সেদিন বলেছিলেন- তাদের লগী-বৈঠার নরহত্যার আন্দোলনের ফসল ছিল
সেই সরকার। তাদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পুরোপুরি বৈধতা দেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, মইন উদ্দিন-ফখরুদ্দীনের সরকারের সকল কর্মকাণ্ডের
বৈধতা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায়
অধিষ্ঠিত হয়। বলাবাহুল্য, তিনি তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেননি বরং
তাদেরকে পুরস্কৃত করে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন। সুতরাং কারা অসাংবিধানিক ও
অগণতান্ত্রিক শক্তিকে বারবার আহ্বান করেছে, স্বাগত জানিয়েছে এবং বৈধতা
দিয়েছে সেই ইতিহাস এদেশের জনগণ জানে। বিএনপির এ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, দেশ ও
জাতির গর্ব সেনাবাহিনী তাদের সুনাম অক্ষুণ্ন রেখে নিজেদের উপর অর্পিত
দায়িত্ব পালন করে আসছে। রাষ্ট্রের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার
অতন্দ্রপ্রহরী জাতীয় সেনাবাহিনীকে আমরা কখনোই বিতর্কে জড়াতে চাই না।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক ক্ষমতার বাইরে
গণশক্তির ক্ষমতার ধারণা এদেশের জনগণ ১৯৬৯, ৭১ এবং ৯০-এ প্রমাণ করেছে।
রাষ্ট্রীয় শ্বেতসন্ত্রাস ও গণহত্যার বিরুদ্ধে আজ গণশক্তির বহুমাত্রিক
উত্থান হয়েছে। সেই গণশক্তির প্রচণ্ড সুনামিতে আওয়ামী লীগের অবৈধ ক্ষমতার
মসনদ ভেসে যাবে অচিরেই। তিনি বলেন, ১৯৯৫-৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার
প্রতিষ্ঠার দাবি মেনে নিয়ে আমরা সংবিধান সংশোধন করেছিলাম। সেই দাবিতে
আওয়ামী লীগ আন্দোলন করে জামায়াত-জাতীয় পার্টিকে সঙ্গে নিয়ে। আওয়ামী লীগ
ক্ষমতা দখলের সুবিধার্থে সেই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করে পঞ্চদশ
সংশোধনীর মাধ্যমে এবং সংবিধানের এক তৃতীয়াংশ অপরিবর্তনযোগ্য করে ভবিষ্যৎ
সংসদের ক্ষমতা হরণ করা হয়েছে। যা সরাসরি বেআইনি। তাই সেই সংবিধানের দোহাই
দিয়ে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকাও বেআইনি। কোন সংবিধানই অপরিবর্তনযোগ্য নয়,
জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ী সংবিধান সংশোধন বর্তমান সময়ের দাবি। সালাহউদ্দিন
বলেন, নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের সকল দরজা বন্ধ করে, বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা
হরণ, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বাজেয়াপ্ত, গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ ও
নিয়ন্ত্রণ, বিচার ব্যবস্থা দলীয়করণ এবং শুধুমাত্র বন্দুকের নল ব্যবহার করে
অবৈধ সরকার প্রকারান্তরে অগণতান্ত্রিক শক্তি ও উগ্রবাদকে উৎসাহিত করছে। যার
পরিণামে গণতন্ত্রের যাত্রা ব্যাহত হলে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।
বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, মিরপুর থানা পুলিশ মিরপুর ১০নং ওয়ার্ড শ্রমিক দলের
সভাপতিকে থানায় ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে ক্রসফায়ারের গল্প সাজিয়েছে।
আরও ৩ জনকে একইভাবে গুলি করে হত্যা করার পর গণপিটুনির কাহিনী সাজিয়েছে
মিরপুর থানা পুলিশ। আমরা এ ধরনের ঘৃণ্য নরহত্যার প্রতিবাদ ও নিন্দা
জানাচ্ছি। বন্দুকযুদ্ধ, গণপিটুনি, ছিনতাইকারী ইত্যাদি নাম দিয়ে মূলত
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করছে সরকারি বাহিনী।
কিন্তু প্রত্যেকটি হত্যাকাণ্ডের হিসাব রাখা হচ্ছে। সময়ের পরিবর্তন হলে
প্রত্যেকটি হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের উপযুক্ত আদালতে বিচারের
আওতায় আনা হবে। সালাহউদ্দিন বলেন, কেরানীগঞ্জে র্যাবের হাতে ঢাকা জেলা
ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুর হোসেন পেট্রলবোমাসহ ধরা পড়লেও এ বিষয়ে
সরকারের কোন বক্তব্য নেই। ইতিপূর্বে দেশের বিভিন্ন জেলায় পেট্রলবোমা,
আগ্নেয়াস্ত্র ও ককটেলসহ হাতেনাতে ঘটনাস্থল থেকে ধৃত আওয়ামী
লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে আটক করা হলেও তাদেরকে উপরের
নির্দেশে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সরকারি পরিকল্পনায় পরিচালিত নাশকতার ষড়যন্ত্র
এখন জনগণের সামনে দিবালোকের মতো পরিষ্কার। প্রধানমন্ত্রী
র্যাব-পুলিশ-বিজিবিকে রক্ষীবাহিনী স্টাইলে গণহত্যার হুকুম দিয়ে তার দায়ভার
নিজের কাঁধে নিলেও কেউই গণহত্যার বিচার থেকে রেহাই পাবে না। তিনি বলেন,
প্রত্যেক ঘরে ঘরে গণতন্ত্রের মুক্তি আন্দোলন গড়ে উঠেছে। অবরুদ্ধ ও
বিলুপ্তপ্রায় গণতন্ত্রের মুক্তির সংগ্রাম ভোটাধিকার, মৌলিক মানবাধিকার ও
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত জনগণের
ন্যায্য আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী কি উত্তরপাড়ার ভয় পাচ্ছেন: স্বেচ্ছাসেবক দল
এদিকে প্রধানমন্ত্রী উত্তরপাড়ার ভয় পাচ্ছেন কিনা প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল। গতকাল এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু বলেন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ, মানবাধিকার লঙ্ঘন, বলপূর্বক গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গণগ্রেপ্তার চালানোর পরও গণআন্দোলন দমাতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। এখন বিশ্ব সম্প্রদায়ের চাপ সামলাতে না পেরে প্রধানমন্ত্রী কি উত্তরপাড়ার ভয় পাচ্ছেন? প্রধানমন্ত্রীর অবস্থা এখন ‘ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাই না।’ নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের জনগণ যখন সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। সরকার যখন দেখছে তাদের গনেশ উল্টে যাচ্ছে তখনই ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। বিবৃতিতে পতনোন্মুখ সরকারকে বিদায় করতে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে রাজপথে সক্রিয় থাকারও আহ্বান জানান শীর্ষ নেতৃত্ব।
প্রধানমন্ত্রী কি উত্তরপাড়ার ভয় পাচ্ছেন: স্বেচ্ছাসেবক দল
এদিকে প্রধানমন্ত্রী উত্তরপাড়ার ভয় পাচ্ছেন কিনা প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল। গতকাল এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু বলেন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ, মানবাধিকার লঙ্ঘন, বলপূর্বক গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গণগ্রেপ্তার চালানোর পরও গণআন্দোলন দমাতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। এখন বিশ্ব সম্প্রদায়ের চাপ সামলাতে না পেরে প্রধানমন্ত্রী কি উত্তরপাড়ার ভয় পাচ্ছেন? প্রধানমন্ত্রীর অবস্থা এখন ‘ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাই না।’ নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের জনগণ যখন সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। সরকার যখন দেখছে তাদের গনেশ উল্টে যাচ্ছে তখনই ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। বিবৃতিতে পতনোন্মুখ সরকারকে বিদায় করতে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে রাজপথে সক্রিয় থাকারও আহ্বান জানান শীর্ষ নেতৃত্ব।
No comments