পাসপোর্ট অধিদফতরে অনিয়ম-দুর্নীতি
পাসপোর্ট অধিদফতরের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি ও অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হওয়ার খবর দুঃখজনক। অধিদফতরের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার যোগসাজশে নিয়োগ ও বদলি নিয়ে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে, তা খতিয়ে দেখা দরকার। জানা গেছে, উক্ত কর্মকর্তা গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দায়িত্বে অধিষ্ঠিত থেকে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল বিত্তের মালিক হয়েছেন। এসব করতে গিয়ে তিনি নিয়োগের ক্ষেত্রে পোষ্য, জেলা, প্রতিবন্ধী, মহিলা- এমনকি মুক্তিযোদ্ধা কোটাও লংঘন করেছেন। বদলির ক্ষেত্রেও প্রচলিত বিধিমালা ও নিয়মনীতি যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি। আর্থিক সুবিধা লাভের বিপরীতে চাকরির প্রবিধানমালা লংঘন করা অমার্জনীয় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত। আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকা) নির্দেশনা অনুসারে এ বছর নভেম্বর মাসের পর থেকে বিশ্বের কোনো এয়ারলাইন্স হাতে লেখা পাসপোর্টধারীকে তাদের উড়োজাহাজে ভ্রমণ করার সুযোগ দেবে না। এ নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার বিদেশগামী সবার হাতে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিলেও এক্ষেত্রে তেমন কোনো অগ্রগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে না- বরং দেখা যাচ্ছে, অধিদফতরের লোকজন অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়েই অধিক তৎপর রয়েছেন। বিষয়টি দুঃখজনক। অবশ্য শুধু পাসপোর্ট অধিদফতর নয়, দেশের অধিকাংশ সরকারি প্রতিষ্ঠান বর্তমানে নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির ভারে ন্যুব্জ। দুর্নীতি আমাদের উন্নয়ন ও অগ্রগতি মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে। এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হলে সরকারকেই উদ্যোগী হতে হবে।
সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল সম্ভব নয়- বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে থাকা ব্যক্তিবর্গের অনুধাবন করা উচিত। শুধু মুখে দুর্নীতিবিরোধী কথা না বলে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার উদ্যোগ নেয়া হলে সুফল পাওয়া যাবে- এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। এজন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন রাজনৈতিক অঙ্গীকার। সেই সঙ্গে স্বাধীন বিচার বিভাগ ও জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তোলা জরুরি। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে এমন আইন প্রণয়ন করা উচিত, যাতে তারা আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে যেতে না পারে। তবে শুধু আইন নয়, দেশ থেকে দুর্নীতি হটাতে হলে এর বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তোলার ওপরও গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশের জন্য আশার বিষয় হচ্ছে- জনগণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণে আগ্রহী। দেশের মানুষের এ আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে পাসপোর্ট অধিদফতরসহ দেশের অন্যান্য ক্ষেত্রে বিরাজমান দুর্নীতি নির্মূলে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নেবে- এটাই প্রত্যাশা।
সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল সম্ভব নয়- বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে থাকা ব্যক্তিবর্গের অনুধাবন করা উচিত। শুধু মুখে দুর্নীতিবিরোধী কথা না বলে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার উদ্যোগ নেয়া হলে সুফল পাওয়া যাবে- এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। এজন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন রাজনৈতিক অঙ্গীকার। সেই সঙ্গে স্বাধীন বিচার বিভাগ ও জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তোলা জরুরি। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে এমন আইন প্রণয়ন করা উচিত, যাতে তারা আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে যেতে না পারে। তবে শুধু আইন নয়, দেশ থেকে দুর্নীতি হটাতে হলে এর বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তোলার ওপরও গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশের জন্য আশার বিষয় হচ্ছে- জনগণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণে আগ্রহী। দেশের মানুষের এ আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে পাসপোর্ট অধিদফতরসহ দেশের অন্যান্য ক্ষেত্রে বিরাজমান দুর্নীতি নির্মূলে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নেবে- এটাই প্রত্যাশা।
No comments