৬৯-এর ২৩ ফেব্রুয়ারি, গণঅভ্যুত্থান ও আজকের বাংলাদেশ by তোফায়েল আহমেদ
রতি
বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি যখন ফিরে আসে দিনটি আমি গভীরভাবে স্মরণ করি। এ দিনটি
আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন। ১৯৬৯-এর ২৩ ফেব্রুয়ারি ইতিহাসের মহামানব, বাংলার
মুকুটহীন সম্রাট জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পক্ষ থেকে
‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছিল। প্রিয় নেতা তার যৌবনের চৌদ্দটি
মূল্যবান বছর পাকিস্তানের কারাগারে অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কাটিয়েছেন। কারাগারের
অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বসে যে নেতা প্রিয় মাতৃভূমি বাংলার ছবি হৃদয় দিয়ে
এঁকেছেন, ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন, সেই
নেতাকেই জাতির পক্ষ থেকে সেদিন কৃতজ্ঞচিত্তে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করা
হয়েছিল।
তিনি শুধু বাঙালি জাতিরই মহান নেতা ছিলেন না, সারা বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতা ছিলেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরপরই তিনি হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করেছিলেন এ পাকিস্তান বাঙালিদের জন্য হয়নি। একদিন বাঙালিকেই বাংলার ভাগ্যনিয়ন্তা হতে হবে। সেই লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের সুদীর্ঘ পথে নেতৃত্ব দিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন সংঘটিত করে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন।
আজকের বাংলাদেশে আন্দোলনের নামে যা চলছে তাতে দেশের মানুষের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ’৬৯-এর মহান গণআন্দোলনে বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়টিই মুখ্য ছিল। দেশের সমগ্র জনগোষ্ঠীর স্বার্থে আমরা ১১ দফা প্রণয়ন করে পাকিস্তানের ভিত কাঁপিয়ে দিয়ে তথাকথিত ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের পতন ঘটিয়েছিলাম। সেই আন্দোলন ছিল প্রকৃতপক্ষেই জনগণের ভোটাধিকারসহ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। ’৬৯-এর গণআন্দোলন ছিল একটি কণ্ঠকে বাঁচানোর জন্য আন্দোলন। সেই কণ্ঠটি ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুিজবুর রহমানের কণ্ঠ। তার বজ্রকণ্ঠে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হয়ে উচ্চারিত হতো সারা দেশের মানুষের কণ্ঠ। এ কণ্ঠটিকে যখন ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে নিস্তব্ধ করতে চেয়েছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী, তখন জাগ্রত ছাত্রসমাজ বাংলার গণমানুষকে সংগঠিত করে বাংলার মানুষের নয়নের মণি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ সব রাজনৈতিক বন্দিকে কারাগার থেকে মুক্ত করেছিল। সেদিনও আমরা হরতাল করেছি। বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করেছি। সেসব কর্মসূচিতে মানুষের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। আমরা যখন তৎকালীন জিন্নাহ এভিনিউ যা আজকের বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে কোনো কর্মসূচি দিতাম, তখন সচিবালয়সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্প-কল-কারখানা থেকে সর্বশ্রেণী ও পেশার মানুষ মিছিল করে বেরিয়ে আসত। আমাদের কর্মসূচি স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করত। রাস্তায় কোনো গাড়ি চলত না, অফিস-আদালত বন্ধ হয়ে যেত। এমনকি প্রত্যন্ত গ্রামে কৃষক পথে লাঙল ফেলে, জেলে জাল গুটিয়ে, মাঝি নৌকা সড়কে তুলে দিয়ে নজিরবিহীন অবরোধ সৃষ্টি করেছিল। পল্টনে যখন আমরা জনসভা দিতাম, সেই জনসভা কানায়-কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যেত। কারণ সেই আন্দোলন ছিল জনগণের সার্বিক মুক্তির আন্দোলন। যে আন্দোলনের পথ বেয়ে পরবর্তী সময়ে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ অর্জন করেছি। এবং এ কারণেই আমাদের জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে ’৬৯-এর গণআন্দোলন এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। কারণ ওই কালপর্বটি ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের ‘ড্রেস রিহার্সেল।’
গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার যে আন্দোলন তার একটি রাজনৈতিক-সংস্কৃতি থাকে। যা অভিব্যক্ত হয় নিয়মতান্ত্রিকতা তথা গণতান্ত্রিক আচরণের মাধ্যমে। যা আমরা অর্জন করেছি জাতির জনকের নেতৃত্বে দীর্ঘ চব্বিশ বছরব্যাপী জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে। কিন্তু আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশে কী দেখছি? এ কোন মানসিকতার আন্দোলন দেখছি? আজকে হরতাল-অবরোধের নামে পৈশাচিক কর্মকাণ্ড করা হচ্ছে। এগুলো আমাদের সময় চিন্তার মধ্যেও ছিল না। যেদিন ’৬৯-এর ২০ জানুয়ারি আসাদকে গুলি করে হত্যা করা হল, ২৪ জানুয়ারি মতিয়ুর-মকবুল-রুস্তমকে হত্যা করল, সেদিন দাবানলের মতো আগুন জ্বলে উঠেছিল। সারা দেশের মানুষ রাজপথে নেমে গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত করেছিল। সেটিই ছিল মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সত্যিকারের আন্দোলন। সেসব দিনের কথা আজ স্মৃতির পাতায় ভেসে ওঠে।
আমরা তখন ছাত্রদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছি। আর আজকে দেখি ১৫ থেকে ১৬ লাখ নিষ্পাপ ছাত্রছাত্রী- তাদের পরীক্ষার দিনেও একটি দল লাগাতার হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি দিয়ে তাদের পরীক্ষাকে বাধাগ্রস্ত করছে। পবিত্র হজের পর ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম সম্মিলন বিশ্ব ইজতেমার দিনেও-যে দিনে লাখ লাখ নিরপরাধ ধর্মপ্রাণ মানুষ একটি স্থানে সমবেত হয়, একত্রিত হয়- সে দিনটিতেও হরতাল-অবরোধ দিয়ে বিএনপি-জামায়াত মানুষ পুড়িয়ে মারে। এমনকি মহান একুশে ফেব্র“য়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসও তাদের হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি থেকে রেহাই পায়নি। এ ধরনের ন্যক্কারজনক গণবিরোধী কর্মসূচি দেশের মানুষ অতীতেও মানেনি, এখনও মানছে না, ভবিষ্যতেও কোনোদিন মেনে নেবে না। আজ যখন ২৩ ফেব্রুয়ারি ফিরে এসেছে তখন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কথা, সুমহান সংগ্রামের গৌরবোজ্জ্বল দিনগুলোর কথা গভীরভাবে আমাকে নাড়া দেয়। কারণ সংগ্রামমুখর ওই দিনগুলোতে আমরা দেখেছি, শিখেছি মানুষের ভালোবাসায় কীভাবে সিক্ত হতে হয়। বাঙালি জাতির ইতিহাসে ২৩ ফেব্রুয়ারি একটি ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ দিন। যতদিন বেঁচে থাকব হৃদয়ের গভীরে লালিত এ দিবসটিকে স্মরণ করব।
তোফায়েল আহমেদ : আওয়ামী লীগ নেতা, মন্ত্রী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
tofailahmed69@gmail.com
তিনি শুধু বাঙালি জাতিরই মহান নেতা ছিলেন না, সারা বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতা ছিলেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরপরই তিনি হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করেছিলেন এ পাকিস্তান বাঙালিদের জন্য হয়নি। একদিন বাঙালিকেই বাংলার ভাগ্যনিয়ন্তা হতে হবে। সেই লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের সুদীর্ঘ পথে নেতৃত্ব দিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন সংঘটিত করে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন।
আজকের বাংলাদেশে আন্দোলনের নামে যা চলছে তাতে দেশের মানুষের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ’৬৯-এর মহান গণআন্দোলনে বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়টিই মুখ্য ছিল। দেশের সমগ্র জনগোষ্ঠীর স্বার্থে আমরা ১১ দফা প্রণয়ন করে পাকিস্তানের ভিত কাঁপিয়ে দিয়ে তথাকথিত ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের পতন ঘটিয়েছিলাম। সেই আন্দোলন ছিল প্রকৃতপক্ষেই জনগণের ভোটাধিকারসহ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। ’৬৯-এর গণআন্দোলন ছিল একটি কণ্ঠকে বাঁচানোর জন্য আন্দোলন। সেই কণ্ঠটি ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুিজবুর রহমানের কণ্ঠ। তার বজ্রকণ্ঠে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হয়ে উচ্চারিত হতো সারা দেশের মানুষের কণ্ঠ। এ কণ্ঠটিকে যখন ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে নিস্তব্ধ করতে চেয়েছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী, তখন জাগ্রত ছাত্রসমাজ বাংলার গণমানুষকে সংগঠিত করে বাংলার মানুষের নয়নের মণি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ সব রাজনৈতিক বন্দিকে কারাগার থেকে মুক্ত করেছিল। সেদিনও আমরা হরতাল করেছি। বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করেছি। সেসব কর্মসূচিতে মানুষের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। আমরা যখন তৎকালীন জিন্নাহ এভিনিউ যা আজকের বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে কোনো কর্মসূচি দিতাম, তখন সচিবালয়সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্প-কল-কারখানা থেকে সর্বশ্রেণী ও পেশার মানুষ মিছিল করে বেরিয়ে আসত। আমাদের কর্মসূচি স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করত। রাস্তায় কোনো গাড়ি চলত না, অফিস-আদালত বন্ধ হয়ে যেত। এমনকি প্রত্যন্ত গ্রামে কৃষক পথে লাঙল ফেলে, জেলে জাল গুটিয়ে, মাঝি নৌকা সড়কে তুলে দিয়ে নজিরবিহীন অবরোধ সৃষ্টি করেছিল। পল্টনে যখন আমরা জনসভা দিতাম, সেই জনসভা কানায়-কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যেত। কারণ সেই আন্দোলন ছিল জনগণের সার্বিক মুক্তির আন্দোলন। যে আন্দোলনের পথ বেয়ে পরবর্তী সময়ে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ অর্জন করেছি। এবং এ কারণেই আমাদের জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে ’৬৯-এর গণআন্দোলন এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। কারণ ওই কালপর্বটি ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের ‘ড্রেস রিহার্সেল।’
গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার যে আন্দোলন তার একটি রাজনৈতিক-সংস্কৃতি থাকে। যা অভিব্যক্ত হয় নিয়মতান্ত্রিকতা তথা গণতান্ত্রিক আচরণের মাধ্যমে। যা আমরা অর্জন করেছি জাতির জনকের নেতৃত্বে দীর্ঘ চব্বিশ বছরব্যাপী জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে। কিন্তু আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশে কী দেখছি? এ কোন মানসিকতার আন্দোলন দেখছি? আজকে হরতাল-অবরোধের নামে পৈশাচিক কর্মকাণ্ড করা হচ্ছে। এগুলো আমাদের সময় চিন্তার মধ্যেও ছিল না। যেদিন ’৬৯-এর ২০ জানুয়ারি আসাদকে গুলি করে হত্যা করা হল, ২৪ জানুয়ারি মতিয়ুর-মকবুল-রুস্তমকে হত্যা করল, সেদিন দাবানলের মতো আগুন জ্বলে উঠেছিল। সারা দেশের মানুষ রাজপথে নেমে গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত করেছিল। সেটিই ছিল মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সত্যিকারের আন্দোলন। সেসব দিনের কথা আজ স্মৃতির পাতায় ভেসে ওঠে।
আমরা তখন ছাত্রদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছি। আর আজকে দেখি ১৫ থেকে ১৬ লাখ নিষ্পাপ ছাত্রছাত্রী- তাদের পরীক্ষার দিনেও একটি দল লাগাতার হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি দিয়ে তাদের পরীক্ষাকে বাধাগ্রস্ত করছে। পবিত্র হজের পর ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম সম্মিলন বিশ্ব ইজতেমার দিনেও-যে দিনে লাখ লাখ নিরপরাধ ধর্মপ্রাণ মানুষ একটি স্থানে সমবেত হয়, একত্রিত হয়- সে দিনটিতেও হরতাল-অবরোধ দিয়ে বিএনপি-জামায়াত মানুষ পুড়িয়ে মারে। এমনকি মহান একুশে ফেব্র“য়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসও তাদের হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি থেকে রেহাই পায়নি। এ ধরনের ন্যক্কারজনক গণবিরোধী কর্মসূচি দেশের মানুষ অতীতেও মানেনি, এখনও মানছে না, ভবিষ্যতেও কোনোদিন মেনে নেবে না। আজ যখন ২৩ ফেব্রুয়ারি ফিরে এসেছে তখন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কথা, সুমহান সংগ্রামের গৌরবোজ্জ্বল দিনগুলোর কথা গভীরভাবে আমাকে নাড়া দেয়। কারণ সংগ্রামমুখর ওই দিনগুলোতে আমরা দেখেছি, শিখেছি মানুষের ভালোবাসায় কীভাবে সিক্ত হতে হয়। বাঙালি জাতির ইতিহাসে ২৩ ফেব্রুয়ারি একটি ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ দিন। যতদিন বেঁচে থাকব হৃদয়ের গভীরে লালিত এ দিবসটিকে স্মরণ করব।
তোফায়েল আহমেদ : আওয়ামী লীগ নেতা, মন্ত্রী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
tofailahmed69@gmail.com
No comments