আলোচনা ছাড়া কিছুই বদলানো সম্ভব নয় : অমর্ত্যসেন
(সোমবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ মিলনায়তনে নিজের লেখা বইয়ের অনূদিত সংস্করণ ভারত: উন্নয়ন ও বঞ্চনা-এর প্রকাশনা উৎসবে বক্তব্য দেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। ছবি : প্রথম আলো) নোবেল
পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. অমর্ত্য সেন বলেছেন, গণতন্ত্রের নানা দিক
আছে। একদিক দিয়ে ভারতে নানারকম গণতন্ত্র চালু আছে। আবার গণতন্ত্রের অভাব তো
নানান দিক দিয়েও আছে। গবীর লোকদের কথা শুনছেন কিনা? বাংলাদেশ ও ভারতের
গণতন্ত্র খুব কিছু দিনের মধ্যে পারফেক্ট হবে তা বলা যায় না। তিনি বলেন,
গণতন্ত্রে তর্কাতর্কি করা ক্ষমতা একটা বড় জিনিষ। মূখ খুলে কথা বলতে পারছি,
কাউকে বন্ধ করা হচ্ছে না। কাগজগুলো চলছে। তিনি বলেন, বহুজিনিষ পার্থক্য
থাকতে পারে। যেগুলো এখন করা সম্ভব, যার জন্য অপেক্ষার করার কোনো প্রয়োজন
নেই। তিনি বলেন, যে কোনো জিনিষ যদি বদলাতে হয়, বিশেষ করে গণতন্ত্রের আলোচনা
দরকার। আলোচনা না করলে তার ব্যত্যয় হবে।
রাজধানীর ফার্মগেটের খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সোমবার বিকেলে অমর্ত্য সেন ও জিয়েন দ্রেজির যৌথভাবে রচিত ‘ভারত: উন্নয়ন ও বঞ্চনা’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘অর্থনৈতিক প্রগতি ও মানবিক প্রগতি’ শীর্ষক বক্তব্য দিতে গিয়ে বিশ্ববরেণ্য চিন্তাবিদ ড. অমর্ত্য সেন এ কথা বলেন। প্রথম আলো ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সিডিপির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রথম আলো’র সম্পাদক মতিউর রহমান ও সিপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান।
বরেণ্য রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার কণ্ঠে তিনটি রবীন্দ্র সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। বিভিন্ন প্রশ্নোত্তরসহ প্রায় দু’ঘন্টা বক্তব্য রাখেন বিশ্ববরেণ্য বাঙ্গালী অর্থনীতিবিদ ড. অমর্ত্য সেন।
বত্তৃতায় অমর্ত্য সেন অর্থনৈতিক প্রগতি ও মানবিক প্রগতির পারস্পরিক সম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, মানবিক প্রগতির অভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থেমে যেতে পারে। অর্থনৈতিক প্রগতিতে আমাদের অর্থ এনে দেয়। তা মানবিক প্রগতিতে ব্যবহার করা যায়। মানবিক প্রগতির জন্য দেশের সব নাগরিকের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ মানব উন্নয়ন– সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিশ্চিত করা দরকার। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে অবশ্যই সরকারের প্রধান ভূমিকা পালন করতে হয়।
ভারতের উদাহরণ টেনে এনে অমর্ত্য সেন বলেন, ভারত ১৯৪৭ সালের পর থেকে ক্রমান্বয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে পারলেও মানবিক প্রগতি সুনিশ্চিত করতে পারেনি। কিন্তু পিচিয়ে থাকলেও বর্তমানে এগিয়ে আছে।
অ্যাডাম স্মিথের বইয়ের উদাহরণ তুলে ধরে অমর্ত্য সেন বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলে একদিকে যেমন মানুষের জীবনযাত্রা সহজ হয়, ঠিক তেমনি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো মানবিক প্রগতির জন্য কাজ করতে সরকার টাকা পায়। তিনি বলেন, নাগরিকদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের সুব্যবস্থার দায়িত্ব সরকারের নেয়া উচিত। বেসরকারিভাবে তা সবার জন্য নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, উন্নতি করার অনেক সুযোগ আছে। কিন্তু আমরা সেই সুযোগ নেই না। তিনি বলেন, বঞ্চনা মানে ৮০ শতাংশ লোক উন্নয়ন থেকে বাদ পড়ছে। সেটার উপর আমাদের নজর দেয়া উচিত।
এক প্রশ্নের জবাবে অমর্ত্য সেন বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতিকে বুঝতে গেলে অর্থনীতির চর্চার গন্ডি আমাদের বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, ১৭৭৬ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়নি। মাথাপিছু আয় বেড়েছে মাত্র ০.০১ শতাংশ। বিভক্ত ভারতে কিভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানো যায় সেটার উদ্যোগ নেয়া হয়। সে সময় এটা ৩ শতাংশ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়।
রাজধানীর ফার্মগেটের খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সোমবার বিকেলে অমর্ত্য সেন ও জিয়েন দ্রেজির যৌথভাবে রচিত ‘ভারত: উন্নয়ন ও বঞ্চনা’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘অর্থনৈতিক প্রগতি ও মানবিক প্রগতি’ শীর্ষক বক্তব্য দিতে গিয়ে বিশ্ববরেণ্য চিন্তাবিদ ড. অমর্ত্য সেন এ কথা বলেন। প্রথম আলো ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সিডিপির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রথম আলো’র সম্পাদক মতিউর রহমান ও সিপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান।
বরেণ্য রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার কণ্ঠে তিনটি রবীন্দ্র সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। বিভিন্ন প্রশ্নোত্তরসহ প্রায় দু’ঘন্টা বক্তব্য রাখেন বিশ্ববরেণ্য বাঙ্গালী অর্থনীতিবিদ ড. অমর্ত্য সেন।
বত্তৃতায় অমর্ত্য সেন অর্থনৈতিক প্রগতি ও মানবিক প্রগতির পারস্পরিক সম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, মানবিক প্রগতির অভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থেমে যেতে পারে। অর্থনৈতিক প্রগতিতে আমাদের অর্থ এনে দেয়। তা মানবিক প্রগতিতে ব্যবহার করা যায়। মানবিক প্রগতির জন্য দেশের সব নাগরিকের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ মানব উন্নয়ন– সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিশ্চিত করা দরকার। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে অবশ্যই সরকারের প্রধান ভূমিকা পালন করতে হয়।
ভারতের উদাহরণ টেনে এনে অমর্ত্য সেন বলেন, ভারত ১৯৪৭ সালের পর থেকে ক্রমান্বয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে পারলেও মানবিক প্রগতি সুনিশ্চিত করতে পারেনি। কিন্তু পিচিয়ে থাকলেও বর্তমানে এগিয়ে আছে।
অ্যাডাম স্মিথের বইয়ের উদাহরণ তুলে ধরে অমর্ত্য সেন বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলে একদিকে যেমন মানুষের জীবনযাত্রা সহজ হয়, ঠিক তেমনি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো মানবিক প্রগতির জন্য কাজ করতে সরকার টাকা পায়। তিনি বলেন, নাগরিকদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের সুব্যবস্থার দায়িত্ব সরকারের নেয়া উচিত। বেসরকারিভাবে তা সবার জন্য নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, উন্নতি করার অনেক সুযোগ আছে। কিন্তু আমরা সেই সুযোগ নেই না। তিনি বলেন, বঞ্চনা মানে ৮০ শতাংশ লোক উন্নয়ন থেকে বাদ পড়ছে। সেটার উপর আমাদের নজর দেয়া উচিত।
এক প্রশ্নের জবাবে অমর্ত্য সেন বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতিকে বুঝতে গেলে অর্থনীতির চর্চার গন্ডি আমাদের বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, ১৭৭৬ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়নি। মাথাপিছু আয় বেড়েছে মাত্র ০.০১ শতাংশ। বিভক্ত ভারতে কিভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানো যায় সেটার উদ্যোগ নেয়া হয়। সে সময় এটা ৩ শতাংশ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়।
No comments