ব্লগার অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী গুরুতর আহত
ব্লগার
অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় দুর্বৃত্তদের হামলায়
গুরুতর আহত হয়েছেন তার স্ত্রী ব্লগার রাফিদা আহমেদ বন্যা। বৃহস্পতিবার রাত
৯টার দিকে নিরাপত্তা বেষ্টিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় এ ঘটনা
ঘটে। নিহতের ঘনিষ্টরা জানিয়েছেন, ব্লগে প্রগতিশীল লেখালেখির কারণে এই
হামলার অনেক আগেই তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলো দুর্বৃত্তরা।
অভিজিতের স্ত্রী আহত বন্যা জানান, বইমেলা থেকে বের হয়ে ঘটনার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি’র বটতলায় বসে চা পান করছিলেন অভিজিৎ ও তার স্ত্রী বন্যা। কিছু বুঝে উঠার আগেই কয়েকজন যুবক তাদের উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সহযোগিতায় এই দম্পতিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সঙ্কটাপন্ন অভিজিৎকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্রোপচার কক্ষে নিয়ে যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে অভিজিৎ মারা যান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তার স্ত্রী বন্যাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বন্যা মাথায় আঘাতে পেয়েছেন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার একটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়েছে। দুর্বৃত্তরা অভিজিতের মাথায়, পিঠে ও গলায় ছুরিকাঘাত করেছে। তার মাথার আঘাতটি গুরুতর ছিল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে সিআইডির একটি টিম আলামত সংগ্রহ করেছে।
কি কারণে, কারা তাকে হত্যা করেছে এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান তার পিতা শিক্ষাবিদ অজয় রায় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক আমজাদ আলীসহ স্বজনরা। তাৎক্ষণিকভাবে পুত্রশোকে কাতর অজয় রায় এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক আমজাদ আলী মানবজমিনকে জানান, অভিজিৎ রায় ব্লগে লেখালেখি করতেন। প্রগতিশীল লেখালেখির কারণে একটি মহল তার উপর ক্ষুব্ধ ছিল। তার জের ধরইে অভিজিতকে হত্যা করা হতে পারে। অধ্যাপক আমজাদ আলী আরও জানান, ব্লগে লেখালেখির কারণে আমেরিকা থাকাকালীন ফোনে তাকে হুমকি দেয়া হয়েছিল। নিহতের ঘনিষ্টদের ধারণা, দেশে আসার পর থেকেই তাকে দুস্কৃতিকারীরা তাকে অনুসরণ করছিল। ঘটনার সময় বইমেলা থেকে অনুসরণ করেই টিএসসি এলাকায় তার উপর হামলা করা হয় বলে তারা মনে করেন। বইমেলা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হওয়া সত্ত্বেও অভিজিৎ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তার স্বজনরা।
অভিজিৎ রায় হত্যার সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি অ্যান্ড প্রসিকিউশন) শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসান। এসময় তিনি বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক। নৃশংসভাবে কুপিয়ে অভিজিৎ রায়কে হত্যা করা হয়েছে। তার হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশের পাশাপাশি ডিবির অভিযান চলছে। একইভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গিয়ে ডিএমপির রমনা জোনের এসি শিবলী নোমান বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অভিজিতকে হত্যা করা হয়েছে। একটি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি স্কুল ব্যাগ এবং দু’টি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত অভিজিৎ আমেরিকা প্রবাসী ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি সামপ্রদায়িকতা, সমকামিতা ও ধর্ম বিষয়ে দীর্ঘদিন থেকেই লেখালেখি করতেন। লেখালেখির জন্য প্রগতিশীল এই লেখককে বিভিন্ন মাধ্যমে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল দুষ্কৃতিকারীরা। এবার অমর একুশে গ্রন্থমেলায় দুটি বই প্রকাশ হয়েছে। অভিজিৎ রায়ের প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে, আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী, মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে, স্বতন্ত্র ভাবনা : মুক্তচিস্তা ও বুদ্ধির মুক্তি, সমকামিতা : বৈজ্ঞানিক এবং সমাজ-মনস্তাত্ত্বিক অনুসন্ধান, অবিশ্বাসের দর্শন, বিশ্বাসের ভাইরাস, ভালবাসা কারে কয় ইত্যাদি। নিহত অভিজিৎ রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক অজয় রায়ের পুত্র। বইমেলা উপলক্ষে গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি দেশে আসেন তিনি। দেশে এলে স্ত্রীকে নিয়ে মা-বাবা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে ধানমন্ডিতে থাকতেন তিনি।
অভিজিতের স্ত্রী আহত বন্যা জানান, বইমেলা থেকে বের হয়ে ঘটনার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি’র বটতলায় বসে চা পান করছিলেন অভিজিৎ ও তার স্ত্রী বন্যা। কিছু বুঝে উঠার আগেই কয়েকজন যুবক তাদের উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সহযোগিতায় এই দম্পতিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সঙ্কটাপন্ন অভিজিৎকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্রোপচার কক্ষে নিয়ে যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে অভিজিৎ মারা যান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তার স্ত্রী বন্যাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বন্যা মাথায় আঘাতে পেয়েছেন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার একটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়েছে। দুর্বৃত্তরা অভিজিতের মাথায়, পিঠে ও গলায় ছুরিকাঘাত করেছে। তার মাথার আঘাতটি গুরুতর ছিল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে সিআইডির একটি টিম আলামত সংগ্রহ করেছে।
কি কারণে, কারা তাকে হত্যা করেছে এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান তার পিতা শিক্ষাবিদ অজয় রায় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক আমজাদ আলীসহ স্বজনরা। তাৎক্ষণিকভাবে পুত্রশোকে কাতর অজয় রায় এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক আমজাদ আলী মানবজমিনকে জানান, অভিজিৎ রায় ব্লগে লেখালেখি করতেন। প্রগতিশীল লেখালেখির কারণে একটি মহল তার উপর ক্ষুব্ধ ছিল। তার জের ধরইে অভিজিতকে হত্যা করা হতে পারে। অধ্যাপক আমজাদ আলী আরও জানান, ব্লগে লেখালেখির কারণে আমেরিকা থাকাকালীন ফোনে তাকে হুমকি দেয়া হয়েছিল। নিহতের ঘনিষ্টদের ধারণা, দেশে আসার পর থেকেই তাকে দুস্কৃতিকারীরা তাকে অনুসরণ করছিল। ঘটনার সময় বইমেলা থেকে অনুসরণ করেই টিএসসি এলাকায় তার উপর হামলা করা হয় বলে তারা মনে করেন। বইমেলা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হওয়া সত্ত্বেও অভিজিৎ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তার স্বজনরা।
অভিজিৎ রায় হত্যার সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি অ্যান্ড প্রসিকিউশন) শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসান। এসময় তিনি বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক। নৃশংসভাবে কুপিয়ে অভিজিৎ রায়কে হত্যা করা হয়েছে। তার হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশের পাশাপাশি ডিবির অভিযান চলছে। একইভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গিয়ে ডিএমপির রমনা জোনের এসি শিবলী নোমান বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অভিজিতকে হত্যা করা হয়েছে। একটি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি স্কুল ব্যাগ এবং দু’টি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত অভিজিৎ আমেরিকা প্রবাসী ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি সামপ্রদায়িকতা, সমকামিতা ও ধর্ম বিষয়ে দীর্ঘদিন থেকেই লেখালেখি করতেন। লেখালেখির জন্য প্রগতিশীল এই লেখককে বিভিন্ন মাধ্যমে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল দুষ্কৃতিকারীরা। এবার অমর একুশে গ্রন্থমেলায় দুটি বই প্রকাশ হয়েছে। অভিজিৎ রায়ের প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে, আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী, মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে, স্বতন্ত্র ভাবনা : মুক্তচিস্তা ও বুদ্ধির মুক্তি, সমকামিতা : বৈজ্ঞানিক এবং সমাজ-মনস্তাত্ত্বিক অনুসন্ধান, অবিশ্বাসের দর্শন, বিশ্বাসের ভাইরাস, ভালবাসা কারে কয় ইত্যাদি। নিহত অভিজিৎ রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক অজয় রায়ের পুত্র। বইমেলা উপলক্ষে গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি দেশে আসেন তিনি। দেশে এলে স্ত্রীকে নিয়ে মা-বাবা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে ধানমন্ডিতে থাকতেন তিনি।
No comments